বিষয়বস্তুতে চলুন

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MS Sakib (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
MS Sakib (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৩৯ নং লাইন: ৩৯ নং লাইন:
* তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারতের আমদানি নীতি বিশ্ব জুড়ে তার দামের আরও চড়ে যাওয়া আটকেছে। কারণ, এই বাজারে ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে হয়নি। ফলে বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও ভারতের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের তো তাই ধন্যবাদ প্রাপ্য। সে জন্য অপেক্ষা করছি! ... ভারত যদি রাশিয়ার থেকে অশোধিত তেল না কিনত, তা হলে তার দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলত। কারণ ওই পরিমাণ তেল কিনতে সেই সব বাজারেই যেতে হত, যেখান থেকে ইউরোপও কিনছে। ফলে ইউরোপকে আমাদের থেকেও বেশি অর্থ দিতে হত।
* তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারতের আমদানি নীতি বিশ্ব জুড়ে তার দামের আরও চড়ে যাওয়া আটকেছে। কারণ, এই বাজারে ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে হয়নি। ফলে বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও ভারতের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের তো তাই ধন্যবাদ প্রাপ্য। সে জন্য অপেক্ষা করছি! ... ভারত যদি রাশিয়ার থেকে অশোধিত তেল না কিনত, তা হলে তার দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলত। কারণ ওই পরিমাণ তেল কিনতে সেই সব বাজারেই যেতে হত, যেখান থেকে ইউরোপও কিনছে। ফলে ইউরোপকে আমাদের থেকেও বেশি অর্থ দিতে হত।
** [https://www.anandabazar.com/business/foreign-minister-s-jaishankar-highlighted-indias-role-in-keeping-the-international-market-of-oil-and-natural-gas-stable-in-uk-visit/cid/1475060 ধন্যবাদ প্রাপ্য ভারতের: জয়শঙ্কর] - আনন্দবাজার পত্রিকা। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এক আলোচনায় জয়শঙ্কর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের প্রভাবশালী অবস্থান নিয়ে সরব হন।
** [https://www.anandabazar.com/business/foreign-minister-s-jaishankar-highlighted-indias-role-in-keeping-the-international-market-of-oil-and-natural-gas-stable-in-uk-visit/cid/1475060 ধন্যবাদ প্রাপ্য ভারতের: জয়শঙ্কর] - আনন্দবাজার পত্রিকা। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এক আলোচনায় জয়শঙ্কর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের প্রভাবশালী অবস্থান নিয়ে সরব হন।
* ৭ অক্টোবর যেটা হয়েছিল সেটা বড় মাপের সন্ত্রাসবাদ। গোটা অঞ্চলকে যা ভিন্ন অভিমুখে ঠেলে দেয়। তবে অবশ্যই সবাই আশা করছেন, একটা সময়ের পরে সবাই বুঝবেন যা ঘটছে তা অঞ্চলের পক্ষে অশুভ। সহযোগিতার মাধ্যমে কিছুটা স্থিতি আসবে। ... সন্ত্রাসবাদ আমরা মেনে নিতে পারি না। তার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে। আবার [[ফিলিস্তিন|প্যালেস্টাইনের]] দিকটিও রয়েছে। সে দেশের মানুষের
* ৭ অক্টোবর যেটা হয়েছিল সেটা বড় মাপের সন্ত্রাসবাদ। গোটা অঞ্চলকে যা ভিন্ন অভিমুখে ঠেলে দেয়। তবে অবশ্যই সবাই আশা করছেন, একটা সময়ের পরে সবাই বুঝবেন যা ঘটছে তা অঞ্চলের পক্ষে অশুভ। সহযোগিতার মাধ্যমে কিছুটা স্থিতি আসবে। ... সন্ত্রাসবাদ আমরা মেনে নিতে পারি না। তার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে। আবার [[ফিলিস্তিন|প্যালেস্টাইনের]] দিকটিও রয়েছে। সে দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতেই হবে। আমাদের মত হল, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান করতে হবে। সেটা আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমেই করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের মাধ্যমে নয়। মানবিক আইন বলবৎ হওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে ভারসাম্যের অভাব থাকাটা ঠিক নয়।
** [https://www.anandabazar.com/world/israel-palestine-conflict-s-jaishankars-message-to-keep-balance/cid/1471914 ভারসাম্যের বার্তা জয়শঙ্করের] - আনন্দবাজার পত্রিকা। ৩ নভেম্বর ২০২৩ এ রাতে রোমে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত প্রসঙ্গে বলেন।
সমস্যার সমাধান করতেই হবে। আমাদের মত হল, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান করতে হবে। সেটা আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমেই করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের মাধ্যমে নয়। মানবিক আইন বলবৎ হওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে ভারসাম্যের অভাব থাকাটা ঠিক নয়।
* আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয় যে, এই দুই দেশ (ভারত-আমেরিকা)-এর সম্পর্ক কোথায় চলেছে? এই সম্পর্কের সীমা নির্ধারণ বা সংজ্ঞা দেওয়া বা এই নিয়ে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করা আমার পক্ষে কঠিন। কারণ এই সম্পর্ক সব দিক থেকে সমস্ত প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সে কারণে আজ দুই দেশের সম্পর্কের সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করি না। আমরা এই সম্পর্কের মাত্রা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছি। ... আমরা নতুন ক্ষেত্র খুঁজে চলেছি। এই কাজটা যতই এক সঙ্গে করব, ততই বেশি সফল হব। ... '''ইসরোর চন্দ্রযানের মতোই ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।'''
** [https://www.anandabazar.com/world/israel-palestine-conflict-s-jaishankars-message-to-keep-balance/cid/1471914 ভারসাম্যের বার্তা জয়শঙ্করের] - আনন্দবাজার পত্রিকা। ৩ নভেম্বর ২০২৩ এ রাতে রোমে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাত প্রসঙ্গে বলেন
* [https://www.anandabazar.com/india/s-jaishankar-draws-a-chandrayaan-parallel-on-india-us-relationship-dgtl/cid/1464020 ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক ইসরোর চন্দ্র অভিযানের মতোই, ওয়াশিংটনে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের] - আনন্দবাজার পত্রিকা।


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৬:১০, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর (জন্ম ৯ জানুয়ারী ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় কূটনীতিক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য এবং ২০১৯ সালের সালের ৫ জুলাই থেকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য। এর আগে তিনি ২০১৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

উক্তি

  • আপনি গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের দ্বিধাবিভক্তি ব্যবহার করেছেন। আপনি একটি সত্য উত্তর চান? এটা ভণ্ডামি। আমাদের কাছে বিশ্বের একদল স্ব-নিযুক্ত রক্ষক রয়েছে যাদের পক্ষে এটা হজম করা খুব কঠিন যে ভারতে কেউ তাদের অনুমোদন খুঁজছে না। তারা যে খেলাটি খেলতে চায় তা খেলতে ইচ্ছুক নয়। সুতরাং তারা তাদের নিয়ম, তাদের প্যারামিটারগুলো আবিষ্কার করে, তাদের রায়গুলো পাস করে এবং এটিকে এমন দেখায় যেন এটি কোনও ধরণের বৈশ্বিক অনুশীলন।
  • আমরা কেবল একটি ডকুমেন্টারি বা একটি বক্তৃতা নিয়ে বিতর্ক করছি না যা কেউ ইউরোপীয় শহরে দিয়েছে বা একটি সংবাদপত্র কোথাও সম্পাদনা করে -- আমরা বিতর্ক করছি, আসলে রাজনীতি, যা মিডিয়া হিসাবে প্রকাশ্যভাবে পরিচালিত হচ্ছে -- সেখানে একটি শব্দবন্ধ আছে 'অন্য উপায়ে যুদ্ধ' এটি অন্য উপায়ে রাজনীতি -- আমি বলতে চাচ্ছি আপনি একটি হ্যাচেট কাজ করবেন, আপনি একটি হ্যাচেট কাজ করতে চান এবং বলুন এটি সত্যের জন্য আরেকটি অনুসন্ধান যা আমরা 20 বছর পরে এই সময়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
  • দেখুন, তারা (চীন) বড় অর্থনীতি। আমি কি করতে পারি? ছোট অর্থনীতি হিসেবে আমি কি বড় অর্থনীতির সঙ্গে লড়াই করতে যাচ্ছি? এটা প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার প্রশ্ন নয়, এটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন।
    • ভারতের চীন নীতি সম্পর্কে, উদ্ধৃত হিসাবে"Mollycoddling China is not the solution"দ্য স্টেটসম্যান। ৭ মার্চ ২০২৩। 
  • এটা পশ্চিম নয় যে এশিয়া ও আফ্রিকাকে বিপুল পরিমাণে পণ্যের দ্বারা প্লাবিত করছে। আমি মনে করি আমাদের অতীতের লক্ষণটি কাটিয়ে উঠতে হবে যে, পশ্চিমারা খারাপ লোক এবং এর বিপরীত দিকে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। পৃথিবী যত জটিল, সমস্যা তার থেকেও অনেক বেশি জটিল।
  • বর্তমানে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভারতীয় উপমহাদেশে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী।
  • বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। যেটি অনেক বড় একটি ঘটনা
  • সমুদ্রসীমা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল। বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আদালতে যাই। আদালতের যে রায় হবে, সেটি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আমরা উভয়ে একমত হই। শেষ পর্যন্ত সমুদ্রসীমা নিয়ে যখন রায় এল, তখন সেটি আমরা মেনেও নিয়েছি। যদিও অনেক কিছুই আমাদের পক্ষে ছিল না। এটি দুটি দেশ ও আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদাহরণ।
  • আমি মনে করি না আমাদের চীনকে ভয় পাওয়া উচিত। বরং আমাদের মনে করা উচিত বিশ্ব রাজনীতি একটি প্রতিযোগিতামূলক খেলা। আপনি আপনার সেরাটা করুন এবং আমি আমার সেরাটা করব। চীন একটি প্রধান অর্থনীতি, সে তার মতো চেষ্টা করছে। চীন যা করছে তা নিয়ে অভিযোগ না করে বরং আমাকে এর চেয়ে ভাল করতে দিন।
  • রাজনীতি আসলে রাজনীতিই। আমি কখনওই গ্যারান্টি দিতে পারব না যে, সব দেশে প্রতিদিন প্রত্যেক মানুষ আমাদের সমর্থন করবেন, বা আমাদের পাশে থাকবেন। ... গত ১০ বছর ধরে আমরা যেটা চেষ্টা করেছি, তা হল দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করা। এর ফলে কখনও রাজনৈতিক চাপানউতর হলেও, সেই দেশের মানুষের যাতে ভারতের প্রতি সুন্দর অনুভূতি থাকে, তাঁরা যাতে বোঝেন যে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে।
  • বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক সময়ে বিভিন্ন দেশ তাদের সুবিধে অনুযায়ী নীতিকে তুলে ধরে। ভারতের জমি দখল করে বসেছিল একটি দেশ। তা নিয়ে বিশ্ব কিন্তু কোনও দিন রা কাড়েনি।
  • আমাদের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত বলে রাষ্ট্রপুঞ্জকে (জাতিসঙ্ঘ) বলে দিতে হবে না। আমাদের কাছে ভারতের জনগণ আছে। ভারতের জনগণ নিশ্চিত করবে যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তাই, এ নিয়ে কারও চিন্তা করার দরার নেই।
  • কানাডা তাদের রাজনীতিতে এমন উগ্রপন্থী বিচারধারার শক্তিকে জায়গা করে দিচ্ছে যে তাতে তাদেরই ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাবে। যে সব চরমপন্থী ভাবধারার মানুষ সন্ত্রাসবাদের প্রশংসা করে, তাদের গণতান্ত্রিক সমাজে জায়গা দেওয়া বিপজ্জনক। যারা জায়গা দিচ্ছে, তাদের জন্যই বিপজ্জনক।
  • দেশভাগের সময় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাশ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। ... আমারও নীতি আছে। দেশভাগের সময় যে সব মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন, সেই সব মানুষের জন্যই সিএএ। ... শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও ধর্ম এবং জাতির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ... আমি কারও নীতি বা গণতন্ত্রের আদর্শ নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেকের সঠিক ধারণা নেই। বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে এমন অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে, তা শুনে মনে হচ্ছে ভারতে কোনওদিন দেশভাগ হয়নি। দেশভাগের সময় এমন কোনও সমস্যা হয়নি, যা সিএএ সমাধান করতে পারবে না?
  • ভারত দীর্ঘ সময় ধরে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলে এসেছে। আমরা দশকের পর দশক ধরে এই অবস্থানেই অনড় রয়েছি। আর এখন বিশ্বের আরও অনেক দেশ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথাই বলছে। এটা দিন দিন আরও জরুরি হয়ে পড়ছে। ... ইসরায়েল-গাজার যুদ্ধ যেন দেশের মধ্যে বা তার সীমা ছাড়িয়ে চার দিকে আরও ছড়িয়ে না-পড়ে। দু’টি রাষ্ট্রের সমাধান প্রয়োজন, যেখানে প্যালেস্টাইনের মানুষেরা সুরক্ষিত সীমান্তের ভিতরে বাস করতে পারবেন। মানবাধিকার রক্ষার আইনকে সব সময়ে শ্রদ্ধা করতে হবে।
  • এশিয়ার দেশগুলির আরও বেশি করে রাশিয়ার সঙ্গে সংলগ্ন হওয়া প্রয়োজন। এটা অবশ্যই ভারতের জাতীয় স্বার্থের জন্য জরুরি। তবে শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক স্বার্থের জন্যও প্রয়োজনীয়। ... আজ রাশিয়ায় যা ঘটছে, তা হল রাশিয়ার জন্য পশ্চিমের অনেক দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন আমরা তা জানি।
  • ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে আমরা গভীর ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্বাস করি এটা এক দিন শেষ হবে। প্রত্যেকে এই সংঘাতের কারণে ভুগছে। তবে আমি জানি না, ঠিক কী ভাবে এই যুদ্ধ শেষ হবে। গোটা প্রক্রিয়াটির ততটা গভীরে আমরা নেই, যে জানব। ... ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ইউরোপ তাদের তেল রফতানির জন্য পূর্ব এশিয়ার মুখাপেক্ষী হল। আমরা কী করতাম? বহু ক্ষেত্রে পূর্ব এশিয়া ইউরোপকে অগ্রাধিকার দিয়েছে কারণে তারা অধিক মূল্য দিতে সক্ষম। তাহলে হয় আমাদের তেল কেনা বন্ধ করে দিতে হত, কারণ সামনে লম্বা লাইন, অথবা ইউরোপের মতো চড়া দাম দিতে হত।
  • আমরা ওখানে (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদে) পৌঁছব। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত সে ব্যাপারে। তবে এটাও বলতে চাই যে কাজটি খুব সহজ হবে না। দুনিয়া জোড়া প্রতিযোগিতা চলছে। অনেকেই আমাদের আটকাতে চাইবে। তারা স্থায়ী আসন পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তাটাকে কঠিন করে তুলবে, বাধা দেবে। অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করবে। তবে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে আজ আমি অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। পাঁচ বা দশ বছর আগে যতটা ছিলাম তার চেয়ে বেশিই।
  • গত ৭৫ বছরের ভারত-চীন সম্পর্কে অনেক অধ্যায় আছে। একটা অধ্যায় বাস্তববোধ সম্পন্ন। আর একটি রোম্যান্টিসিজমে ভরা, বাস্তববোধহীন। যা শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই। চিনকে কী ভাবে সামলাতে হবে সেটা নিয়ে নেহরু এবং পটেলের মধ্যে বিস্তর মতবিরোধ ছিল। নেহেরুর চীন নীতির তীব্র বিরোধী ছিলেন সর্দার পটেল। আজ মোদী সরকার অনেকটাই বাস্তবোচিত পদক্ষেপ করছে। যেটা শুরু করতে চেয়েছিলেন সর্দার পটেল।
  • ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক কেবলমাত্র রাজনীতি, কূটনীতি কিংবা অর্থনীতির বিষয় নয়। তার থেকেও গভীরতর কিছু। বর্তমান বিশ্বের ভূকৌশলগত পরিস্থিতির সাপেক্ষে আমাদের দু’টি দেশের উচিত পরস্পরকে বোঝা। এটা খুবই জরুরি। ... আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এখন ভারতের বৈশিষ্টের কথা মাথায় রেখে তৈরি হওয়া উচিত। আপনারা ভারতের দিকে তাকান। আমাদের অর্থনীতি ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁতে চলেছে। আগামী ২৫ বছরের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হওয়ার চেষ্টা করছি। ... আজ আমরা বহুমেরু বিশ্বের কথা বলে থাকি। তাই গোটা বিশ্বের নতুন করে ভারসাম্য তৈরি হওয়া প্রয়োজন। কয়েকটি দেশ, সমাজ এবং ঐতিহ্যই এখানে রাজত্ব করবে— এমনটা তো চলতে পারে না।
  • তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারতের আমদানি নীতি বিশ্ব জুড়ে তার দামের আরও চড়ে যাওয়া আটকেছে। কারণ, এই বাজারে ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে হয়নি। ফলে বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও ভারতের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের তো তাই ধন্যবাদ প্রাপ্য। সে জন্য অপেক্ষা করছি! ... ভারত যদি রাশিয়ার থেকে অশোধিত তেল না কিনত, তা হলে তার দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলত। কারণ ওই পরিমাণ তেল কিনতে সেই সব বাজারেই যেতে হত, যেখান থেকে ইউরোপও কিনছে। ফলে ইউরোপকে আমাদের থেকেও বেশি অর্থ দিতে হত।
    • ধন্যবাদ প্রাপ্য ভারতের: জয়শঙ্কর - আনন্দবাজার পত্রিকা। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এক আলোচনায় জয়শঙ্কর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের প্রভাবশালী অবস্থান নিয়ে সরব হন।
  • ৭ অক্টোবর যেটা হয়েছিল সেটা বড় মাপের সন্ত্রাসবাদ। গোটা অঞ্চলকে যা ভিন্ন অভিমুখে ঠেলে দেয়। তবে অবশ্যই সবাই আশা করছেন, একটা সময়ের পরে সবাই বুঝবেন যা ঘটছে তা অঞ্চলের পক্ষে অশুভ। সহযোগিতার মাধ্যমে কিছুটা স্থিতি আসবে। ... সন্ত্রাসবাদ আমরা মেনে নিতে পারি না। তার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে। আবার প্যালেস্টাইনের দিকটিও রয়েছে। সে দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতেই হবে। আমাদের মত হল, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান করতে হবে। সেটা আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমেই করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের মাধ্যমে নয়। মানবিক আইন বলবৎ হওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে ভারসাম্যের অভাব থাকাটা ঠিক নয়।
  • আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয় যে, এই দুই দেশ (ভারত-আমেরিকা)-এর সম্পর্ক কোথায় চলেছে? এই সম্পর্কের সীমা নির্ধারণ বা সংজ্ঞা দেওয়া বা এই নিয়ে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করা আমার পক্ষে কঠিন। কারণ এই সম্পর্ক সব দিক থেকে সমস্ত প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সে কারণে আজ দুই দেশের সম্পর্কের সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করি না। আমরা এই সম্পর্কের মাত্রা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছি। ... আমরা নতুন ক্ষেত্র খুঁজে চলেছি। এই কাজটা যতই এক সঙ্গে করব, ততই বেশি সফল হব। ... ইসরোর চন্দ্রযানের মতোই ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
  • ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক ইসরোর চন্দ্র অভিযানের মতোই, ওয়াশিংটনে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের - আনন্দবাজার পত্রিকা।

বহিঃসংযোগ