স্টেম ক্ষেত্রে নারী
সমাজে নারী |
---|
|
অনেক গবেষক ও নীতিনির্ধারক লক্ষ্য করেছেন যে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (স্টেম ক্ষেত্রে) ক্ষেত্রের চাকুরিবাজারে পুরুষের আধিপত্যতা চোখে পড়ার মতো। ঐতিহাসিকভাবে নারীদের অংশগ্রহণ আলোকিত যুগ থেকেই এইসব ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম। উল্লেখ্য যে, চিকিৎসা ক্ষেত্রের মতোই, স্টেম কর্মক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরী দক্ষতার দরকার হয়।
১৯৭০ সালের নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে নারী ও পুরুষের শিক্ষার সুযোগ বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রায় সমান হয়ে এসেছে। কিছু কিছু দেশে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের স্নাতক অর্জনের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি।[১] যদিও তা নির্ভর করে কোনো বিষয়ের উপর শিক্ষা নেয়া হচ্ছে।
গবেষকেরা স্টেম ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ব্যবধানের একাধিক কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যারা নারী-পুরুষ ব্যবধানের কারণ বৈষম্য মনে করেন তারা এই ক্ষেত্রেও নারী -পুরুষ বৈষম্যর দিকের জোর দেন। যা মূলতঃ বিশ্বজুড়ে চাকুরিবাজারে তৈরি আগ্রহ সহ একাধিক সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির দিকে ইঙ্গিত দেয়।[২] আবার কারো কারো দৃষ্টিতে এই বৈচিত্র্যতা মানবকল্যাণের নিমিত্ত এবং ইতিহাস ও বর্তমানের কারণ কিংবা সীমাবদ্ধতার উর্দ্ধে উঠে আরো বেশি বৈচিত্র্যতা প্রয়োজন মনে করেন।
স্টেম ক্ষেত্রে লিঙ্গ অসমতা
[সম্পাদনা]নারী শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানের মত বিষয়ে সফলতার হার একাধিক প্রভাবে প্রভাবান্বিত বলে গবেষণায় দেখা গেছে। পরিবারের উৎসাহ, গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক, শিক্ষানীতি, বাস্তবমুখি হাতে-কলমে শিক্ষাদান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতে অর্জন ইত্যাদি এক্ষেত্রে অন্যতম।[৩] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়, গণিত ও বিজ্ঞানে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের উপরে করা গবেষণার ফলাফল বেশ মিশ্র। দেশজুড়ে চালানো একাধিক সমীক্ষায়, এক গবেষক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শুরুর দিকে মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি খুব কম হারে ভিন্ন আচরণ দেখায় বলে লক্ষ করেন।[৩] গণিত ও বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ শিক্ষার্থীদের মাঝে গড়ে মূলতঃ শিক্ষার্থীরা কোন কোর্স মাধ্যমকে নিচ্ছে এবং সেগুলোর উপর কিরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তার উপর।
১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, মেয়ে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে তাদে আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করে কেননা তারা বিশ্বাস করতে শুরু করে পুরুষেরা নারী অপেক্ষা প্রযুক্তির দিকে দিয়ে অধিক বুদ্ধিমান।[৪] প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ক্যারিয়ার গঠনে পুরুষেরা এগিয়ে থাকায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ভুল ধারণা আরো বেশি পাকাপোক্ত হয়েছে। নারীবাদী গবেষকেরা ব্যাখ্যা করেন, সাংস্কৃতিকগতভাবে ছেলেরা শ্রেনীকক্ষের বাইরেও হাতের কাজ করাতে বেশি উৎসাহ পায়, যা তাদের এইসব ক্ষেত্রে দক্ষ হতে সাহায্য করে।[৫] গবেষণায় দেখা গেছে, উপযুক্ত শিক্ষা পেলে মেয়েরাও একই রকম দক্ষতা অর্জন করতে পারে।[৬][৭]
স্টেম ক্যারিয়ারে নারীর সংখ্যালঘু উপস্থিতির প্রভাব
[সম্পাদনা]স্কটল্যান্ডে বিশাল সংখ্যক নারীরা স্টেম ক্ষেত্র থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও এর চাকুরিক্ষেত্রে প্রবেশ করেনি। যার ফলাফলে দেশটির জাতীয় আয়ের বাৎসরিক ক্ষতি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।[৮]
পুরুষ ও নারীর আয়
[সম্পাদনা]নারী স্নাতক ডিগ্রীধারী একজন পুরুষ স্নাতকধারী অপেক্ষা গড়ে কম উপার্জন করে।যদিও ১৯৮০তে তারা উপার্জন বৃদ্ধিতে সমভাবে অবদান রেখেছে। উপার্জনের এই ভিন্নতার অন্যতম কারণ নারী ও পুরুষের চাকুরিবাজার ভিন্নতা। সাম্প্রতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিদ্যায় ডিগ্রীধারীগণের মধ্যে পুরুষদের চেয়ে নারীরা খুব কম সংখ্যকই বিজ্ঞান কিংবা প্রকৌশলীবিদ্যা সংক্রান্ত চাকুরিতে যোগ দেন। তুলনামূলক বৈজ্ঞানিক পদেও নারী ও পুরুষের বেতনভাতায় একটা ব্যবধান রয়ে যায়। অভিজ্ঞ এবং নতুন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের মাঝেও বেতনভাতার ব্যবধান এতটা বিশাল না যতটা ব্যবধান নারী ও পুরুষ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের বেলায় দেখা যায়।[৯] গণিত, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল পেশায় বেতন সর্বোচ্চ এবং এই সকল ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব সবচেয়ে কম। অস্ট্রেলিয়া পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মধ্যকার লিঙ্গ বৈষম্য শুধুমাত্র স্টেম ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের তথ্যানুসারে প্রায় ৩০.১ শতাংশ, যা ২০১২ সাল অপেক্ষা ৩ শতাংশ বেশি।[১০]
শিক্ষা ও উপলব্ধি
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ শতাংশ স্টেম ক্ষেত্রের পিএইচডি ধারী নারী।[১১] যদিও অন্যসব বিভাগের শিক্ষাক্ষেত্রে এই হার প্রায় ৫২ শতাংশ। একজন নারীকে স্টেম ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলে গতানুগতিক চিন্তাভাবনা এবং শিক্ষাক্ষেত্রের ভিন্নতা অনুপ্রাণিত করে।[১২] টমাস ডি মনে করেন, তৃতীয় শ্রেনী থেকে ছেলে শিশুরা গণিত ও বিজ্ঞানে মেয়ে শিশুদের থেকে বেশি এগিয়ে যেতে শুরু করে।[১৩]
বিশ্বজুড়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব
[সম্পাদনা]ইউনেস্কো, ইউরোপিয়ান কমিশন এবং দ্যা এসোসিয়েশোন অফ একাডেমিক এন্ড সোসাইটিস অফ সায়েন্স ইন এশিয়া (AASSA)সহ একাধিক সংগঠন বিশ্বজুড়ে স্টেম ক্ষেত্রে নারীর অপ্রতুল প্রতিনিধিত্বের কথা বলে আসছে।[১৪][১৫][১৬]
এশিয়া
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের মার্চে ইউনেস্কো কর্তৃক একটি তথ্য সংকলন প্রকাশিত হয়।[১৭] এতে সমগ্র বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের পরিসংখ্যান ফুটে উঠে। এই সমীক্ষায় পৃথিবীর মাত্র ত্রিশ শতাংশ গবেষক নারী। তবে পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে এই ব্যবধান আরো বিশাল। মাত্র বিশ শতাংশ নারী গবেষকের হার এসব অঞ্চলে দেখা যায়। অবশ্য মধ্য এশিয়ায় এই বৈষম্য সবচেয়ে কম, প্রায় ৪৬ শতাংশ নারী গবেষকের পদে আসীন। এই অঞ্চলের আজারবাইজান ও কাজাখাস্তান দেশ দুইটিতে নারী গবেষকের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। অবশ্য পার্থক্যের হার অত্যন্ত কম।[১৭]
দেশ | নারী গবেষকের হার |
---|---|
সেন্ট্রাল এশিয়া | ৪৬% |
সারা বিশ্ব | ৩০% |
দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া | ২০% |
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় | ২০% |
কম্বোডিয়া
[সম্পাদনা]২০০৪ সালের সমীক্ষা মতে কম্বোডিয়ার বিজ্ঞান শিক্ষায় ১৩.৯ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া যায়। ২১ শতাংশ নারী গবেষক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনার সাথে জড়িত। এশিয়ার অন্য দেশ মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় ব্যাপক হারে কম। বৌদ্ধ ধর্মের পুরুষ মাত্র শিক্ষক হতে পারে, দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এরকম সংস্কৃতির কারণেই এখনো স্টেম ক্ষেত্রে পুরুষের আধিপত্য বেশি বলে ইউনেস্কোর রিপোর্ট দাবী করে। ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হওয়ায়, কম্বোডিয়ার শুধু স্টেম ক্ষেত্র নয় বরং অন্যান্য সকল আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এমনকি ঘরেও পুরুষের আধিপত্য বিরাজমান। ইউনেস্কো এই অবস্থাকে একটি "জটিল সমীকরণ" বলে আখ্যায়িত করেছে।[১৪]
ইন্দোনেশিয়া
[সম্পাদনা]ইউনেস্কোর "একটি জটিল সমীকরণ" উল্লেখ করেছে যে, ইন্দোনেশিয়া সরকার নারী পুরুষ সমতা আনয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গতানুগতিকভাবেই নারীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়ে গেছে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও চিরায়ত প্রথার কারণে নারীদের নিজের ক্যারিয়ার গঠনে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। দেখা গেছে, গণিত কিংবা পদার্থবিজ্ঞান অপেক্ষা ফারররমেসী অথবা জীববিজ্ঞান বিষয়কে বিষয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। প্রকৌশলীবিদ্যার ক্ষেত্রে রসায়ন প্রকৌশলবিদ্যায় ৭৮ শতাংশেরও বেশি নারী শিক্ষার্থী থাকলেও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো বিষয়ে মাত্র ৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ২০০৫ সালের সমীক্ষা অনুসারে দেশটির বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রকৌশলীতে ৩৫,৫৬৪ গবেষকের মধ্যে মাত্র ৩১% বা ১০,৮৭৪ জন গবেষক নারী।[১৪]
মালয়েশিয়া
[সম্পাদনা]২০১১ সালের ইউনেস্কোর রিপোর্টে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান শিক্ষায় ৪৮.১৯ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। গত তিন দশকে এই হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একই সাথে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। মালয়েশিয়াতে কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৫০ শতাংশ পুরুষ কাজ করছে এবং স্টেম ক্ষেত্র পুরুষ নির্ভর। অপরদিকে ফার্মেসী বিভাগের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। যদিও মাত্র ৩৬ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী প্রকৌশলীবিদ্যায় অধ্যয়ণরত। অবশ্য ২০১১ এর সমীক্ষা মতে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন গবেষণার ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ পদ নারীদের দখলে।[১৪]
মঙ্গোলিয়া
[সম্পাদনা]২০১২ এবং ২০১১ এর ইউনেস্কো কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গোলিয়ায় ৪০.২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছে।এছাড়াও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রে প্রায় ৪৯ শতাংশ গবেষক নারী। অঈতিহ্যগতভাবে মঙ্গোলিয়ার মানুষেরা যাযাবর ছিল তাই নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়েই বাচ্চা প্রতিপালনের পাশাপাশি গবাদি পশুর দেখাশোনা এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো। নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্রের এই সমতা এখন এই আধুনিক যুগে এসেও বিরাজমান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মঙ্গোলিয়ায় পুরুষদের চেয়ে নারীরা উচ্চ শীক্ষায় এগিয়ে। কলেজ থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত প্রায় ৬৫শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। যদিও নারীরা পুরুষদের চেয়ে প্রায় ১৯-৩০% কম আয় করে। এছাড়াও প্রকৌশলী ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষদের কাজকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। ত্রিশ কিংবা এর চেয়েও কম নারী শিক্ষার্থী কম্পিউটার বিজ্ঞান, স্থাপত্যবিদ্যা কিংবা প্রকৌশলিবিদ্যায় রয়েছে অপরদিকে জীববিজ্ঞান শাখায় চারজন শিক্ষার্থীর মাঝে তিনজনই নারী শিক্ষার্থী।[১৪]
নেপাল
[সম্পাদনা]২০১১ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে নেপালের বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মাঝে ২৬.১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী এবং ১৯ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী প্রকৌশলবিদ্যায় অধ্যয়ণরত। গবেষণায় নারীরা ২০১০ সালের সমীক্ষা অনুসারে ৭.৮ শতাংশ পদে আসীন। নেপালে, স্টেম ক্ষেত্রে আসা নারীরা হয় ফরেস্ট্রি নতুবা মেডিসিন বিষয়ে পড়ালেখা করে। বিশেষ করে নার্সিং পেশায় নারীরা আধিপত্য ধরে রেখেছে।[১৪]
দক্ষিণ কোরিয়া
[সম্পাদনা]২০১২ সালের একটি সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০.৬৩ শতাংশ নারী। এই হার ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে এই হার বেড়েছে। যদিও উচ্চশিক্ষায় নারী পুরুষের লিঙ্গ বৈষম্য বেশ চোখে পড়ার মতো। কনফুসিয়ান বিশ্বাস অনুসারে নারীরা সামাজিক দিক দিয়ে নিচু মর্যাদার, যা স্টেম ক্ষেত্রে নারী সংখ্যার হার কমের কারণ। অন্যান্য দেশের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের মাঝে চিকিৎসাক্ষেত্রে যোগের হার (৬১.৬ %) ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে নারীর যোগদানের হারের (১৫.৪) চেয়ে বেশি। ২০১১ সালের সমীক্ষায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের গবেষণার ক্ষেত্রে নারী শক্তির হার ১৭%। দক্ষিণ কোরিয়ায় স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের বেশিরভাগই "অনিয়মিত" অথবা সাময়িক কর্মী, যা চাকুরি বাজারে নারীদের সম্ভাবনার নিম্ন হারের প্রমাণ।[১৪] গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বিভিন্ন দেশের ছেলে ও মেয়েদের গণিত বিষয়ে দুশ্চিন্তা ও পরীক্ষার পারফর্মেন্স গবেষণা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গণিত স্কোরের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভিন্নতা অনেক বড়। এক্ষেত্রে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বিশাল।[১৮]
উত্তর আমেরিকা
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
[সম্পাদনা]ন্যাশনাল বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে কর্মরত ৪৩ শতাংশ নারী কর্মী ৭৫ বছরের চেয়ে কম বয়স্ক।.[১৯] এই ক্ষেত্রে কর্মরত ৫৬ শতাংশ নারী ২৯ বছরের চেয়ে কম বয়েসী। সাতজন প্রকৌশলীর মাঝে একজন নারী।[২০] শিক্ষাগত আগ্রহের উর্ধ্বে গিয়ে স্টেম ক্ষেত্রে পুরুষের অংশগ্রহণ বেশি। এই ক্ষেত্রের নারীরা পুরুষদের চেয়ে কম উপার্জন করে। যদিও বিস্তৃত ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং বয়স বিবেচনায় রেখে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গড়ে, একজন পুরুষ স্টেম ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩৬.৩৪ মার্কিন ডলার উপার্জন করে, যা নারীদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩১.১১ ডলার।[২০]
স্নাতক ক্ষেত্র | পুরুষ (%) | নারী (%) |
---|---|---|
কৃষি/প্রাকৃতিক সম্পদ | ০.৮ | ০.৭ |
স্থাপত্য | ০.৫ | ০.৩ |
কম্পিউটার ও তথ্য বিজ্ঞান | ৩.১ | ১.০ |
প্রকৌশলবিদ্যা/প্রকৌশল ও প্রযুক্তি | ৬.১ | ১.৮ |
জীববিজ্ঞান/বায়োমেডিকাল বিজ্ঞান | ২.৩ | ৩.৫ |
গণিত/পরিসংখ্যান | ০.৭ | ০.৪ |
ভৌত বিজ্ঞান/সামাজিক বিজ্ঞান | ৪.৯ | ৪.০ |
স্বাস্থ্যবিদ্যা | ১.২ | ৫.৫ |
সর্বমোট স্টেম | ১৯.৪ | ২১.২ |
ব্যবসা | ১০.০ | ৯.৮ |
শিক্ষা | ১.৮ | ৬.৫ |
অন্যান্য | ১৩.১ | ১৮.৩ |
সর্বমোট স্টেম নয় এমন | ২৪.৯ | ৩৪.৬ |
মোট ডিগ্রীধারী (%) | ৪৪.৩ | ৫৫.৭ |
মোট ডিগ্রীধারী (হাজার) | ৬৪০৩.৩ | ৮০৬২.৫ |
স্নাতক পর্যায়ের স্টেম ক্ষেত্রে নারীর প্রাধান্য লক্ষণীয় বলে জাতীয় শিক্ষা সমীক্ষা অধিদপ্তর ব্যাখ্যা করে আসলেও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমনঃ কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং গণিতে নারীদের অংশগ্রহণ অপ্রতুল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেম ক্ষেত্রে এশিয়ান নারীদের প্রতিনিধিত্ব হার আফ্রিকান আমেরিকান, হিস্পানিক, প্যাসিফিক আইল্যান্ডার এবং স্থানীয় আমেরিকানদের চেয়ে বেশি। তবে এশিয়ান পুরুষদের মত অতটাও বেশি নয়।[২১] আমেরিকার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ১ শতাংশ এই নারীদের দখলে, যদিও দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ এইসকল নারী দ্বারাই গঠিত।[২২] অবশ্য ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের চাকুরিতে অন্তর্ভুক্তির হার বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। নারীদের (উদাহরণস্বরূপঃ অবিবাহিত, বিবাহিত ও বৈবাহিক বিচ্ছেদ) সমান জীবনযাপনের মান ও সুযোগ নিশ্চিত করতে বর্তমানে ২ঃ১ হারে নারীদের স্টেম ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হচ্ছে।[২৩]
Total | STEM | |||
---|---|---|---|---|
সম্প্রদায়/জাতি | পুরুষ | নারী | পুরুষ | নারী |
শ্বেতবর্ণ | ১.০৫ | ১.৩২ | ১.০৫ | ১.১৫ |
কালো | ০.৪৯ | ০.৭৩ | ০.৪৪ | ০.৬৮ |
হিস্পানিক | ০.৩৭ | ০.৫৪ | ০.৩৭ | ০.৪৮ |
এশিয়ান | ১.৮৫ | ১.৯৪ | ৩.১২ | ২.৬১ |
প্যাসিফিক আইল্যান্ডার | ০.৩২ | ০.৪৪ | ০.৩৮ | ০.৫২ |
আমেরিকান ইন্ডিয়ান/আলাস্কা স্থানীয় | ০.৩২ | ০.৪৬ | ০.২৭ | ০.৪৪ |
অন্যান্য | ১.০০ | ১.৩৫ | ১.০২২ | ১.৩৩ |
দুই বা অধিক জাতীয়তা | ০.৯৭ | ১.১৫ | ১.১১ | ১.১৯ |
স্টেম সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার অনুষ্ঠানে নারীর স্বল্প প্রতিনিধিত্ব
[সম্পাদনা]স্টেম ক্ষেত্রের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরস্কার ও সম্মাননার দিকে তাকালে দেখা যায় খুব কম সংখ্যক নারীই তা অধিকার করতে পেরেছে। ১৯০১ থে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরস্কারে নারী ও পুরুষের অনুপাত পদার্থবিজ্ঞানে ২ঃ২০৭, রসায়নে ৪ঃ১৭৮, চিকিৎসাবিদ্যায় ১২.২১৪ এবং অর্থনীতিতে ১ঃ৭৯। অপরিদিকে সাহিত্য এই অনুপাত ১৪ঃ১১৪ এবং শান্তিতে ১৬ঃ ১০৪।[২৪] মারইয়াম মির্জাখানি প্রথম নারী ও প্রথম ইরানীয় ব্যক্তি হিসেবে ২০১৪ সালে ফিল্ডস পদক অর্জন করেন।[২৫][২৬] ফিল্ডস পদক, গণিত ক্ষেত্রে অন্যতম সম্মানীয় পদক। শুধুমাত্র ৫৬ বার কোন নারী গণিতবিদ এ মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের মতো প্রতিযোগিতাগুলোতে নারী অংশোগ্রহণকারীর হার অনেক কম। ২০১৭ সালের মাত্র ১০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী ছিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৬ জনের বিজয়ী দলে মাত্র একজন নারী সদস্য ছিল। .[২৭][২৮]
সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নতি
[সম্পাদনা]আব্বিস উল্লেখ করেছেন যে, "প্রতিদিনের কম্পিউটার ব্যবহার নারী প পুরুষ কর্মী সনাক্তের ক্ষেত্রে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও ইমেইল কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য।" [২৯] উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত উভয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষতা ও আত্মনির্ভরশীল হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়য় পর্যায়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়েদের ভর্তির হার কম। ১০ম) ১২তম ক্লাস থেকেই এই হার নিম্নমুখী হতে দেখা যায়। মার্কিন যুক্তরাজ্যের প্যাটেন্ট দরখাস্তের নতুন উদ্ভাবনে নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ২০১৬ সালের হিসেব মতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গতানুগতিকভাবে এই প্যাটেন্ট বেশিরভাগই "নারী বক্ষ অন্তর্বাস নকশা এবং প্রসাধনী" সংক্রান্ত। ৯৪ শতাংশ কম্পিউটার সংক্রান্ত, ৯৬ শতাংশ অটমোটিভ ব্যবহার ও ৯৯ শতাংশ বিধ্বংসীকারী আবিষ্কারের প্যাটেন্ট পুরুষদের দখলে।[৩০]
নারী প্রতিনিধিত্বের হার নিম্ন হওয়ার ব্যাখ্যা
[সম্পাদনা]স্টেম ক্ষেত্রে নারীর স্বল্প প্রতিনিধিত্বের হারের পেছনে একাধিক কারণ চিহ্নিত হয়েছে। বলা বাঞ্ছনীয়,স্টেম ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বের হার কম হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র নিম্নোক্ত শ্রেনীবিভাগে উল্লেখিত কারণগুলো কাজ করছেনা।
সামাজিক
[সম্পাদনা]বৈষম্য
[সম্পাদনা]শিবিংগার দাবী করেন, প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য উভয় প্রকার বৈষম্যই স্টেম ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বের স্বল্পতার কারণ।[৩১]:৩৩ ১৯৮০ সালে গবেষকেরা দেখান যে, সাধারণভাবে যোগ্যতা পরিমাপের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নারীদের বিপক্ষে যায়।[৩২] ২০১২ সালে একটি গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬০ টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ইমেইল পাঠানো হয়। ইমেইল একজন গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টের তরফ থেকে পাঠানো হয় বলে এক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য করার কোন সুযোগ ছিল না। তবে দেখা গেছে, জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুরা এক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়। ককেশিয়ান পুরুষদের তুলনায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হয়।[৩৩] আরেকটি গবেষণায়, বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ম্যানেজার পদে আবেদনপত্রে একই তথ্য দেয়া হয়।[৩৪] প্রতিটি তথ্য একই হলেও প্রতিটি আবেদনপত্র এলোমেলোভাবে নারী ও পুরুষ নাম ব্যবহার করা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করন যে, পুরুষ নাম সম্পন্ন আবেদনকারীদের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা নারী নামসম্পন্ন আবেদনকারীদের চেয়ে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন বলে চিহ্নিত করেন।[৩৪] কোন ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয় দেয়া থাকলে আপনাতেই তার উপর কিছু গতানুগিতিক ধারণ আরোপিত হয়।[৩৫]
২০১৪ সালের একটি গবেষণায়, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরি খাতে পুরুষেরা সুবিধা পায়, যেমন জীববিজ্ঞান ক্ষেত্রে। তবে বেশিরভাগই লিঙ্গবৈষম্যহীন। এক্ষেত্রে বলা হয়, স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের স্বল্প উপস্থিতির কারণ শুধুমাত্র অধ্যাপকদের লিঙ্গ বৈষম্যসুলভ আচরণকেই নির্দেশ করে না।[৩৬]
ওয়েন্ডি উইলিয়ামস এবং স্টেফান সিসির একটি গবেষণা ৮৭২ জন ফ্যাকাল্টি, ৩৭১ টি ইন্সটিটিউট এর মোট পঞ্চান্নটি প্রদেশের উপর চালানো হয়। তারা দেখেন, ফ্যাকাল্টি সহকারী অধ্যাপক পদে নারী আবেদনকারীদের প্রাধান্য দেয়। এক্ষেত্রে সমযোগ্যতা সম্পন্ন পুরুষদের তুলনায় নারীরা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের গড় অনুপাত ২ঃ১। ৯০এর দশকের আগ অব্দি একই ধরনের প্রাধান্য নারীরা পেয়ে আসছিলো।[২৩]
গতানুগতিকতা
[সম্পাদনা]স্টেম ক্ষেত্রে প্রচলিত গতানুগতিক ধারণার তীব্রতা এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বতন্ত্রের উন্নতি ও উৎকর্ষকে প্রায়শঃই ঊহ্য রাখে।[৩৭] গতানুগতিক ধারণার বিজ্ঞানী কিংবা ব্যক্তি স্টেম ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তি মাত্রই পুরুষ বলে মনে করে নেন।[৩৮] স্টেম ক্ষেত্রে নারীরা কারো কারো বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা গণিতজ্ঞের যেরকমটা হওয়া উচিত ঠিক সেরকম হন না। দ্যা রোল কনগ্রুইটি থিওরি অব প্রিজুডিস বলে, একটি নির্দিষ্ট চরিত্রে বা কর্মক্ষেত্রে কোন পদের লৈঙ্গিক অসামঞ্জস্য সেই পদে বা চরিত্রে আসীন ব্যক্তির যোগ্যতাকে ঋণাত্মকভাবে যাচাই করে।[৩৯][৪০][৪১] একই সাথে স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি ঋণাত্মক ধারণা তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও উৎসাহও কমিয়ে দেয়।[৪২] নারী ও পুরুষ উভয়ই নিজেদের গতানুগতিক ধারার বাইরে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে বৈষম্যের শিকার হন। ব্যক্তিক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কর্মের জন্য নির্দিষ্ট লৈঙ্গিক পরিচয়ের মানুষের প্রাধান্য বরাবরই দেয়া হয়।[৪৩][৪৪] একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের জন্য লক্ষ্য করে করা চাকুরি বিজ্ঞাপনে "লক্ষ্য" ও "নেতৃত্ব" এই ধরনের শব্দমালা ব্যবহার হয়।[৪৩] ১৯৯১ সালে প্রস্তাবিত সামাজিক চরিত্রায়ন তত্ত্বমতে, পুরুষকর্মীদের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুণ ও নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে যোগাযোগ গুণাবলিকে প্রাধান্য দেয়া হয়।[৪৫][৪৬] ২০০১৯ সালের নারী ও পুরুষ চাকুরিপ্রার্থীর লেটার অব রেকমেন্ডেশন পর্যালোচনা করে একই প্রভাব দেখতে পাওয়া গেছে। গবেষকেরা এটাও লক্ষ করেন, যোগাযোগে গুণ একাডেমিক ক্ষেত্রে প্রক্ক্রিতপক্ষে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলে।[৪৬] যদিও ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের জন্য প্রচলিত পদে আসীন নারীদেরকে "সত্যিকারের" নারী বলা হয় না এবং তা কর্মরত নারীদের ততোটা বিরক্ত করে না। তবে একই ধরনের বক্তব্য কোন পুরুষ কোন ঐতিহ্যগতভাবে নারীর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে বলা হলে সেই পুরুষদের উপর খুব তীব্র প্রভাব ফেলে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নারীরা খুব সহজেই পুরুষদের জন্য বরাদ্দ কাজে নিজেদে মানিয়ে নিতে পারে যখনই তারা সেই সুযোগ পায়।[৪৭] অপরদিকে, মানব ইতিহাস ঘেটে তেমন কোন কর্মক্ষেত্রে পাওয়া যায় না, যা পূর্বে নারী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও এখন পুরুষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে,যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে যদি পুরুষত্বের বা শক্তিশালী বাহুর প্রয়োজন হয়, তখনই শুধুমাত্র পুরুষদের সেই কর্মক্ষেত্রে যোগদানের প্রবণতা দেখা গেছে।[৪৮]
যদিও নারীতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের তাদের পুরুষত্বের জন্য ঋণাত্মকভাবে সমাজে দেখা হয় তাও তারা কিছু বেশ সুবিধা ও সুযোগ পেয়ে থাকে।১৯৯২ সালে এভাবে বলা হয় যে, নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস সিলিংঃ ভাঙতে আঘাত হানে আর পুরুষেরা নারীতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস এস্কেলেটর" ভাঙতে আঘাত হানে।[৪৯] এক্ষেত্রে "গ্লাস সিলিং" ভাঙা একজন নারীর জন্য কষ্টসাধ্য, কেননা এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে হয়। তবে একটি নারীতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস এসকেলেটরে" পুরুষেরা অন্তত প্রবেশে সুযোগ পায়।
কালো ভেড়া প্রভাব
[সম্পাদনা]কালো ভেড়া প্রভাব বা ব্লাক শিপ এফেক্ট হচ্ছে, যখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য অন্য দলের ব্যক্তি বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া স্বত্তেও নিজস্ব দলের ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়।[৫০][৫১][৫২][৫৩] এছাড়াও, নিজের দলের সদস্য যদি গড়পড়তা দক্ষতা বা যোগ্যতাধারী হয়, তখন তাকে অন্যদলের একই যোগ্যতাসম্পন্ন সদস্যের তুলনায় অনেক বেশি নিচু দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পন্ন বলে চিহ্নিত করা হয়।[৫০][৫১][৫২][৫৩] এই তত্ত্ব দাবী করে, স্টেম ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নারীরা এই ক্ষেত্রে নতুন আগত নারীদের তুলনায় একই যোগ্যতাসম্পন্ন নতুন পুরুষদের সাহায্যে বেশি এগিয়ে যায়। একই ভাবে, প্রতিষ্ঠিত নারীরা এই ক্ষেত্রে নতুন আগত পুরুষদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় যখন নতুন আগত নারীরা একই ধরনের যোগ্যতাও দেখায় না।
নারী মৌমাছি প্রভাব
[সম্পাদনা]নারী মৌমাছি প্রভাব বা কুইন বি এফেক্ট অনেকটা কালো ভেড়া প্রভাবের মতোই। এই প্রভাব ব্যাখ্যা করে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠিত নারীরা তাদের পুরুষ সহকর্মির তুলনায় নারী সহকর্মীদের কম সাহায্য করে।[৫৪][৫৫] ২০০৪ সালের একটি গবেষণায় বিভিন্ন বিভাগের ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কাজ করার সংকল্প এবং কাজের প্রতি সন্তুষ্টতার ক্ষেত্রে কোন লিঙ্গ ভিত্তিক আচরণগত ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা মনে করেন, নারী শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষার্থীদের মতো নিজের কাজের প্রতি লেগে থাকতে পারেন না।[৫৫] বিস্ময়করভাবে এই ধারণা নারী ফ্যকাল্টি সদস্য কর্তৃক পাওয়া গেছে, পুরুষ ফ্যাকাল্টি সদস্য কর্তৃক নয়।[৫৫] এই গতানুগতিক ঋণাত্মক ধারণার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে, ব্যক্তির সাথে নির্দিষ্ট দলের সামাজিক ও মানসিক দূরত্ব। এটা প্রমাণ করে, পুরুষতান্ত্রিক সনাজে প্রতিষ্ঠিত নারীরা নিজেদের সফলতাকে গতানুগতিক ভুল ধারণাকে যে ভুল প্রমাঙ্করে তা বুঝে উঠরে পারে না বরং নিজেদের নিয়মের বাইরে ভিন্ন একজন বলে মনে করেন।[৫৫]
মেন্টরশিপ
[সম্পাদনা]স্টেম ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে একজন মেন্টরের উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রয়োজন যা একজন নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ সাহায্য করে।[৫৬][৫৭] বিশেষ করে অল্পবয়স্ক নারী বিজ্ঞানীদের ক্যারিয়ারের শুরুতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।[৫৮] বিশেষ করে, এইসকল যুব বিজ্ঞানীরা তাদের চেয়ে বড় বিজ্ঞানীদের দিকে উৎসাহ ও সাহায্যের জন্য তাকিয়ে থাকে।
সাহায্যের কমতি
[সম্পাদনা]স্টেম ক্ষেত্রের নারীরা প্রফেশনাল মিটিং এ ডাক না পাওয়া, লিঙ্গ বৈষম্যের স্বীকার, কাজের সময়ের অসংগতি, গোপনে গর্ভধারণ এবং পরিবার ও কাজের মধ্যে ব্যালান্স করা ইত্যাদি কারণে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগোয় না। স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের বাচ্চাদের হয় চাইল্ড কেয়ারে যেতে হয় নতুবা নারীদের লম্বা সময়ের জন্য ছুটি নিতে হয়। সাধারণত দেখা যায় যে, নারীরা তাদের চাকুরি ছেড়ে দেয় যেন তারা নিজেদের সন্তানের সাথে বেশি সময় কাটাতে পারে।[৫৯] নারীদের তাদের ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়ার পেছনে এটা অন্যতম একটি কারণ। স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে কম অর্থ উপার্জন করে বলেই এমনটা হয়। পুরুষদের নিজেদের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যাপারে ১৯৯৩ সালের আইনে বলা হয়েছে, সদ্যপ্রসূত কিংবা দত্তক নেয়া শিশুর জন্য একজন মা ১২ সপ্তাহ ছুটি নিতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে তাকে কোন বেতন দেয়া হবে না।[৬০] এটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পৃথিবীতে সবচেয়ে নিচু স্তরের ব্যবস্থা। একজন মা যদি বাড়তি কোন অর্থসংযোগের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে কিছু ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ মাতৃত্বকালীন ছুটি নাও পেতে পারেন।[৬১]
উক্তত্যতা
[সম্পাদনা]১৯৯৩ সালে দ্যা নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন ইঙ্গিত দেয় যে, চারভাগের তিনভাগ নারী শিক্ষার্থী তাদের মেডিকেল স্কুলে ট্রেনিং এর সময় উক্তত্যের শিকার হন।[৬২]
অনুপ্রেরণাদায়ী উদাহরণের অভাব
[সম্পাদনা]১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রকৌশল ও বিজ্ঞান শিক্ষায় অন্তত ৫০ শতাংশ নারীরা লেকচারার অথবা নির্দেশকের দায়িত্ব পালন করেন। শুধুমাত্র ১০ শতাংশ নারী অধ্যাপক পদ পর্যন্ত যান। উল্লেখ্য যে, মেডিকেল স্কুলগুলোতে ডিপার্টমেন্ট চেয়ারে নারীর সংখ্যা ১৯৭৬ থেলে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত থেকেছে।[৬৩] এছাড়াও যে সকল নারীরা উচ্চপদে আসীন হন না, তারা অনেক ক্ষেত্রেই সহকর্মী দ্বারা হেনস্থার শিকার হন। উপর পর্যায় থেকে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পান না।[৬৪] অবশ্য জাতীয় পর্যায়ে তুমুল গবেষণার পর ২০০০ সালের রিপোর্টে বলা হয়, আগের সেই বৈষম্য এখন বিশাল ব্যবধানে কমে এসেছে।[৬৫] সম্প্রতি উইলিয়াম এন্ড সেসি দেখিয়েছেন একাডেমিক ক্ষেত্রে নিয়োগে এবং গবেষণামূলক ক্ষেত্রে নারীরা এখন প্রায় সমান পর্যায়ে পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।[২৩] যদিও বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে স্টেম ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নারীরা অল্পবয়স্ক নারীদের উৎসাহ জোগায় তবে গবেষণায় তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।[৬৬] বরং স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের অনাগ্রহের কারণ স্টেম কর্মক্ষত্রে নারীদের প্রতি গতানুগতিকভাবে ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি।[৬৭][৬৮]
পাইপলাইনে জমাটবদ্ধতা ও ফাটল
[সম্পাদনা]১৯৮০ সালের শুরুর দিকে রজিটার পেশাগত বিভেদ নামে একটি ধারণা দেখান। তিনি গবেষণার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, কিছু নির্দিষ্ট গবেষণাক্ষেত্রে একধরনের জমাটবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।[৩১]:৩৪ উদাহরণস্বরূপঃ নারীরা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার তুলনায় সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়ে শিক্ষাপ্রদান ও গবেষণার কাজে যুক্ত হন।[৩১]:৩৪ এছাআড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী কলেজ শিক্ষার্থীরা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা, ইংরেজি, চারুকলা এবং নার্সিং সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ দেখায়।[৬৯] রজিস্টার উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বিভেদ দেখান। যেখানে তিনি ক্ষমতা ও আত্মসম্মাকের ভিত্তিতে নারীদের উপরে ঊথার সংখ্যা কমছে বলে দেখান।[৩১]:৩৩ এটি স্টেম ক্ষেত্রের পাইপলাইনের সাথে সম্পৃক্ত আলোচনা। পাইপলাইন কথাটি একধরনের উপমা যা মূলতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী এবং পাইপলাইনের ফাটল দ্বারা পড়ালেখা শেষ না করা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া বুঝায়।.[৭০] ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর অনুপাত সমান ধরলে ৬০ জন ছেলে এবং ৬২ জন মেয়ে শিক্ষার্থীদের "মেধাবী" বলে উল্লেখ করা হয়।[৭১][৭২][৭৩] প্রথমবর্ষের ৩৩০ জন নারী ও ৩২০ জন পুরুষ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পড়ালেখার আগ্রহ দেখায়।[৭৪] এর মধ্যে মাত্র ১৪২ জন নারী ও ১৩৫ জন পুরুষ শিক্ষার্থী শেষ অব্দি স্নাতক শেষ করতে পারে।[৭২][৭৫] এবং মাত্র ৭ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে।[১১][৭২][৭৬]
মানসিকতা
[সম্পাদনা]নারী আগ্রহ
[সম্পাদনা]একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পুরুষেরা জিনিসের সাথে কাজ করতে পছন্দ করে আর নারীরা মানুষের সাথে। কাজের আগ্রহকে হল্যান্ড কোড দ্বারা শ্রেণিভাগ করে দেখা গেছে পুরুষেরা বাস্তবতাধর্মী ও তদন্তমূলক কাজে আগ্রহ দেখায় যেখানে নারীদের আগ্রহ শিল্পকর্ম, সামাজিকতা ও প্রাথগত কাজে। প্রকৌশল, গণিত ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত ক্ষেত্রে লিঙ্গের পার্থক্য পুরুষদের নিঃসন্দেহে সুবিধা দেয়।[৭৭]
একটি ৩ বছরের ইন্টারভিউ গবেষণায়, সিমোর ও হেইয়িট (১৯৯৭) নন-স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের শিক্ষায় তুলনামূলক বেশি করে দেখা গেছে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। যা নারী শিক্ষার্থীডের স্টেম ক্ষেত্রে থে নন-স্টেম ক্ষেত্রে চলে যাওয়ার প্রবণতার অন্যতম কারণ।[৭৮] ২০০৪ সালে প্রিস্টন ১,৬৮৮ জনের উপর করা সমীক্ষায় দেখা যায় ৩০ শতাংশ নারী "অন্য ক্ষেত্র অধিক আগ্রহ উদ্দীপক" বলে ব্যাখ্যা করেন।[৭৯]
আত্মবিশ্বাসের অভাব
[সম্পাদনা]গবেষণায় দেখা যায় যে, নারীরা স্টেম ক্ষেত্রে যোগ দেয় না কারণ তারা নিজেদেরপকে এর জন্য যোগ্য মনে করে না। গবেষণায় আরো দেখা যায়, মেয়েদেরকে উৎসাহ দিলেই তাদের গণিতের মতো ক্লাসে অংশগ্রহণের হার বেড়ে যায়।[৮০] Tদেখা গেছে শিক্ষকেরাও মেয়েদের তুলনায় ছেলে শিক্ষার্থীদের বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। কোন সমস্যা সমাধানে ছেলে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহ দিলেও মেয়ে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বলেন।[৩১]:৫৬ শিক্ষকেরাও মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের কাছ থেকে প্রশ্ন গ্রহণে আগ্রহী।[৬৩] এটা সম্ভবত লিঙ্গ ভিত্তিক আশা যে, ক্লাসে ছেলে শিক্ষার্থীরা মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি এক্টিভ থাকবে।[৬৪] ১৯৮৫ সালের আগ পর্যন্ত পরীক্ষাগারে মেয়ে শিক্ষার্থীদের খুব কমই সুযোগ দেয়া হত।[৬৩] মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, গণিত, মেকানিক্স এবং কম্পিউটার কোর্সে শুধু হেলে শিক্ষার্থীর আধিক্যই না বরং শিক্ষকেরাও বেশিরভাগ পুরুষ।[৮১] স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগের অভাব তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে যার ফলে তারা বিজ্ঞান ও গণিত ক্ষেত্রে প্রবেশের সাহস দেখায় না।[৬৩] স্টেম ক্ষেত্রে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৫ শতাংশ নারী ক্যালকুলাস বুঝতে সমস্যা হয় বলে এ পথে আর এগোয় না। অন্যদিকে মাত্র ১৪ শতাংশ পুরুষ এই একই কারণ দেখায়।[৮২] গবেষণায় দেখা গেছে ব্যক্তি বিশেষে আত্মবিশ্বাস তাদের পারফর্মেন্সে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।[৮২] আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, একই দক্ষতা সম্পন্ন নারী ও পুরুষদের গণিতে তাদের দক্ষতার বিচার করতে দিলে, নারীরা নিজেদের অনেক কম নম্বর দেন।[৮৩] গণিতে দুশ্চিন্তা নিরসন এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের গণিতে পারফরমেন্স বৃদ্ধিতে কার্যকরী।[৮৪]
স্টেম ক্ষেত্রে প্রবেশেই শুধু আত্মবিশ্বাসের অভাব ভূমিকা রাখে তা নয়। স্টেম ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অনেক নারী এই গতানুগতিক চিন্তাধার প্রভাবান্বিত হন এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।[৮৫]
গতানুগতিক হুমকি
[সম্পাদনা]গতানুগতিক হুমকি নিজের কোন কাজের প্রভাবে ঋণাত্মক গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গির উৎপত্তির আশংকাকে বলা হয়। এই ভয় ব্যক্তির কাজে বাড়তি দুশ্চিন্তা ও চাপ ফেলে।[৮৬][৮৭][৮৮]
একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি থাকা ঋণাত্মক গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি সেই দলের সদস্যকে সবসময় একটি আশঙ্কার ভেতর রাখে। এই গতানুগতিক হুমকির আশঙ্কা স্টেম ক্ষেত্রের নারীদের সদা একধরনের চাপের মাঝে রাখে। যার ফলে, গণিত ও বিজ্ঞানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ফলাফলের হার অতটা আশাব্যঞ্জক হয় না।[৪২][৮৯] ব্যক্তিগতক্ষেত্রে যারা গণিত বা এরকম ক্ষেত্রে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দক্ষতা রাখে, দেখা গেছে তারাই এই সামাজিক হুমক দ্বারা বেশি প্রভাবান্বিত হয়।[৮৮] এর অর্থ অত্যন্ত অনুপ্রাণিত নাড়ি শিক্ষার্থীও গতানুগতিক ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির হুমকিতে প্রভাবান্বিত হয়ে স্টেম ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল নাও করতে পারে।[৮৮] গণিত ও বিজ্ঞানের কোর্সে এই গতানুগতিক ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি শুধু পরীক্ষায় খারাপ ফলাফলই না একই সাথে নারী শিক্ষার্থীদের স্টেম ক্ষেত্রে আগ্রহকেও কমিয়ে দেয়।[৯০] গবেষণায়্য দেখা গেছে, কোন গণিত পরীক্ষায় কোন লিঙ্গ বৈষম্য নেই জানানো হলে সেই নির্দিষ্ট পরীক্ষার ফলাফলে কোন ধরনের লিঙ্গ বৈষম্য দেখতে পাওয়া যায় না।[৮৯] এতদ্বারা প্রমাণিত, শিক্ষা পরিবেশ একটি কোর্সে নারী শিক্ষার্থীদের সফলতা অর্জনে ভূমিকা রাখে।
তত্ত্বীয়ভাবে এই গতানুগতিকতা ব্যাপক হারে সমালোচিত।[৯১][৯২] একাধিক পরীক্ষা এই ত্ত্বের উপর করার চেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে।[৯২][৯৩][৯৪][৯৫] এই তত্ত্বকে সমর্থিত প্রকাশনা পক্ষপাতদুষ্টও বলা হয়।[৯৫][৯৬]
একটি গবেষণায়[৮৫] দেখা গেছে কীভাবে গতানুগতিক হুমকি এবং গাণিতিক পরিচয় স্টেম ক্ষেত্রে শিক্ষারত নারীদের উপর প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে নারীদের উপর পরীক্ষা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে নারীদের গতানুগতিক ক্যালকুলাস সমস্যা সমাধা করতে দেয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের পূর্বে তাদের আগের ফলাফল পুরুষদের চেয়ে বেশ ভালো ছিল বলে জানানো হয়। আরেকটি দলকে পুরুষরা নারীদের চেয়ে ভালো করেছে বলা হয়। তৃতীয় দলকে কোন ধরনের লিঙ্গ নির্ভর তথ্য দেয়া হয় না। দেখা গেছে, নারীরা সবচেয়ে ভালো করেছে যখন কোন ধরনের তথ্য তাদের দেয়া হয় নাই। যেই নারীদের জানানো হয়, পুরুষেরা এর আগে তাদের চেয়ে ভালো করেছে, দেখা গেছে সেই নারী দল সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, পুরুষচালিত স্টেম ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস নারীদের উন্নয়নে বিরাত পাথেয়।[৮২]
সহজাত বনাম শেখা দক্ষতা
[সম্পাদনা]গবেষণায় দেখা গেছে, স্টেম ক্ষেত্রে (বিশেষ করে গণিত এবং দর্শনের মতো বিষয়ে) শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়েরই দক্ষতার চেয়ে প্রতিভার বেশি প্রয়োজন হয়।[৯৭] এই ধারনার সাথে নারীদের কম দক্ষতা যুক্ত হয়ে স্টেম ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদে নারীদের প্রবেশ কঠিন হয়ে যায়। এলিস, ফসডিক এবং রাউসম্যান একটি গবেষণায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, শক্ত দক্ষতা না থাকলে নারীরা স্টেম ক্ষেত্রে তাদের পুরুষ সহকর্মীদের ন্যায় ভালো করতে পারে না। এই কারণে এই ক্ষেত্রে খুব বেশি নারী ক্যারিয়ার গড়তে যায় না।[৮২] ক্যালকুলাস এমন একটি বিষয়, অধিকাংশ নারী এই কোর্সের পরই সিদ্ধান্ত নেয় তারা স্টেম ক্ষেত্রে এগোবো কি না।[৮২]
স্টেম ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং সফলতা নিয়ে বিতর্ক আছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লরেন্স সামারস দাবী করেন একাধিক দক্ষতার সমষ্টি উচ্চ পর্যায়ের পপুলেশন ভিন্নতা তৈরিতে অবদান রাখে। .[৯৮] গুগলের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার জেইমস ড্যামোর একটি মেমো লিখেন যা গুগলের আদর্শিক প্রতিধ্বনি চেম্বার নামে পরিচিত। তিনি বলেন নারী ও পুরুষের ভিন্ন ট্রেইট বিতরণ স্টেম ক্ষেত্রে লিঙ্গ পার্থক্যের অন্যতম কারণ। এতে বলা হয়, লিঙ্গ বৈষম্য কমানো হলে স্টেম ক্ষেত্রে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পুরুষের মাঝের বৈষম্য কমে আসবে।[৯৯] ড্যামোরকে এই বার্তা প্রদানের জন্য চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
নারী প্রতিনিধিত্বের হার বৃদ্ধিতে কৌশল
[সম্পাদনা]একাধিক কারণে স্টেম ক্যারিয়ারে নারীদের প্রতিনিধিত্বের সংখ্যালঘুতা চোখে পড়ার মতো। এনি-ম্যারি স্লটার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম কোন নারী।[১০০] তার মতে, কিছু কৌশল বাণিজ্যিক ও পরিবেশগত অবলম্বন করলে নারীদের দক্ষতা ও সামর্থ্যগত দায়িত্বের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।[১০১] একাডেমিক গবেষণা পরিবেশ নারীদের সুবিধার্তে কিছু উপদেশ দেয়া হয়।
সামজিক ও মনস্তাত্ত্বিক মধ্যস্থতা
[সম্পাদনা]একটি সহজ মধ্যস্ততা হচ্ছে নির্দিষ্ট ব্যক্তিবিশেষে গতানুগতিক হুমকির ব্যাওয়ারে শিক্ষা অরদান করা। অবশয় গবেষকেরা দেখেছেন, নারীদের এই গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানানো হলে তাদের কর্মক্ষেত্রে এর প্রভাব ঋণাত্মকভাবে পড়ে। অপরদিকে, নারীদের এ ব্যাপারে অবহিত করা না হলে তাদের কর্মক্ষেত্রে ধনাত্মক প্রভাব দেখা যায়।[১০২]
অনুপ্রেরণাময়ী উদাহরণ
[সম্পাদনা]এই গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে অনুপ্রেরণাময়ী উদাহরণ সামনে তুলে আনার কথা কেউ কেউ বলেছেন। দেখা গেছে, নারীদের গণিত পরীক্ষা যদি কোন নারী পর্যালোক কর্তৃক পর্যালোচনা করতে দেয়া হয়, তাহলে নারী পরীক্ষার্থীরা তুলনামূলক ভালো ফল করে।[১০৩] এছাড়াও, এটা শুধু নারী পর্যবেক্ষকের দৈহিক উপস্থিতিই না বরং তার উপস্থিতি গতানুগতিক ধারণাকে ভেঙে দেয়- তারই প্রভাব।[১০৩] অবশ্য অন্য আরেকটি গবেষণায় অনুপ্রেরণাময় উদাহরণ প্রকৃতপক্ষে কোন বড় অবদান রাখে না বলে দেখায়। বরং দেখা গেছে, একটি মেয়েদের দল কোন সমস্যা সমাধানে একটি ছেলে-মেয়ের দলে থাকা মেয়দের চেয়ে বেশি দক্ষতা দেখায়।[১০৪] কেননা, প্রথম দলের মেয়েরা নিজেদের মাঝেই অনুপ্রেরণাময়ী মেয়ে চরিত্র খুঁজে পেয়েছে যা দ্বিতীয় দলের মেয়েরা পায়নি।[১০৪] একইভাবে দলীয় কাজের অর্জন গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে ভূমিকা রাখে। একইভাবে, নারী শিক্ষার্থী যারা অনুপ্রেরণামূলক নারী চরিত্র সম্পর্কে অবহিত হয়, তারা পরবর্তীতে ভালো ফলাফল অর্জনে সমর্থ হয়।[১০৫] পাঠ্যবইয়ের ছবির উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বইয়ে নারী বিজ্ঞানীদের ছবি কিংবা গতানুগতিক ধারণা ভাঙার মতো ছবি থাকলে তা নারী শিক্ষার্থীদের উপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলে।[৩৮] অন্য গবেষকেরা দেখান, স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের চাকরিতে নিয়োগ এবং তাতে বহাল রাখতে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। তারা দেখান যে, নারী অনুপ্রেরণাদায়ী চরিত্র থাকলে এসব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগ দিতে সুবিধা হয়।[১০৬]
স্ব-সমর্থন
[সম্পাদনা]গবেষকেরা স্ব-সমর্থন গতানুগতিক চিন্তাধারা পাল্টাতে ভূমিকা রাখতে পারে। দেখা গেছে, আত্মশক্তিতে বলীয়ান নারীরা গণিত পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো ফলাফল দেখায়।[১০৭] একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কলেজ শিক্ষার্থীদের ভেতর ছোট রচনা লেখার অভ্যেস তাদে পদার্থবিদ্যার কোর্সে উন্নত ফলাফল এনে দেয়। শুধু তাই না, এই রচনা লেখার অভ্যাস শিক্ষার্থীদের মধ্যকার লিঙ্গ বৈষম্যকেও কমিয়ে আনে।[১০৮] গবেষকেরা বিশ্বাস করেন, স্ব-সমর্থনের অনুশীলন ব্যক্তিক্ষেত্রে ক্ষতিকর গতানুগতিক ধারণার বাইরে উঠে আসতে সাহায্য করে। আরেকটি গবেষণায় নারীদের ভেতরে, যারা নিজেদের অনুপ্রেরণামূলক নকশা করতে পেরেছে, তাদের গণিতে অবদান ক্ষমতা কমে নাই।[১০৯] অবশ্য যেসকল নারীরা এরকম নকশা বানাতে পারেন নি, তাদের গণিতে অবদান খুব নিম্নমানের হয়েছিল।[১০৯][১০৯]
প্রাতিষ্ঠানিক চেষ্টা
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠান যেমনঃ গার্লস হু কোড, স্টেমবক্স,[১১০] ব্লসম, ইঞ্জিনিয়ার গার্ল এবং কোড উইদ ক্লোসি (সুপার মডেল কারলি ক্লোসি কর্তৃক প্রচারিত) নারীদের স্টেম ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে উৎসাহদিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠান গ্রীশ্মকালীন ক্যাম্প, বৃত্তি ইত্যাদির আয়োজন করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্টেম ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলার জন্য। মার্কিন সরকার শিক্ষা ও সংস্কৃতিমূলক দপ্তর টেকগার্ল ও টেকউম্যান নামক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম আয়োজন করে। এতে মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকান মেয়েদের স্টেম ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তুলতে তাদের দক্ষতার উন্নয়নে কাজ করা হয়।[১১১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]টিকা
[সম্পাদনা]- ↑ National Center for Education Statistics, Digest of Education Statistics. Retrieved 18-Nov-2017
- ↑ Gürer, Denise and Camp, Tracy (2001). Investigating the Incredible Shrinking Pipeline for Women in Computer Science. Final Report – NSF Project 9812016. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে
- ↑ ক খ S.L. Hanson, "Lost Talent, Women in the Sciences", Philadelphia, PA.: Temple University Press, 1996.
- ↑ Pajares, F (১৯৯৬)। "Self-efficacy beliefs and mathematical problem-solving of gifted students"। Contemporary Educational Psychology। 21 (4): 325–44। ডিওআই:10.1006/ceps.1996.0025।
- ↑ Hill, Catherine, and Christianne Corbett. Why so Few? Women in Science, Technology, Engineering, and Mathematics. Washington, D.C.: AAUW, 2010.
- ↑ Sorby, S. A. (২০০৯)। "Educational research in developing 3-D spatial skills for engineering students"। International Journal of Science Education। 31 (3): 459–80। ডিওআই:10.1080/09500690802595839।
- ↑ "Stem Talent Girl: to empower girls and women to ensure they develop their talent"। ২০১৭। ৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Tapping All our Talents
- ↑ National Science Foundation, Women, Minorities and Persons with Disabilities in Science and Engineering: 1996, Washington, D.C.: 1996, appendix table 5-8.
- ↑ "Women in STEM in Australia" (পিডিএফ)। Professionals Australia।
- ↑ ক খ "TABLE 7-3. Doctoral degrees awarded to men, by field: 2004–14"। National Science Foundation। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "Table 318.30. Bachelor's, master's, and doctor's degrees conferred by postsecondary institutions, by sex of student and discipline division: 2014-15"। National Center for Education Statistics। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ Dee, Thomas S. “Teachers and the Gender Gaps in Student Achievement.” The Journal of Human Resources, vol. 42, no. 3, 2007, pp. 528–554., www.jstor.org/stable/40057317.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "A Complex Formula: Girls and Women in Science, Technology, Engineering and Mathematics in Asia" (পিডিএফ)। UNESCO। UNESCO Bangkok Office। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "She figures 2012 - Research policy and organisation - EU Bookshop"। ডিওআই:10.2777/38520।
- ↑ "Women in Science and Technology in Asia"। The InterAcademy Partnership। AASSA, Gyeonggi-Do। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৩১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Women in Science" (পিডিএফ)। UNESCO।
- ↑ Stoet, Gijsbert; Bailey, Drew H.; Moore, Alex M.; Geary, David C. (২০১৬-০৪-২১)। "Countries with Higher Levels of Gender Equality Show Larger National Sex Differences in Mathematics Anxiety and Relatively Lower Parental Mathematics Valuation for Girls"। PLOS ONE। 11 (4): e0153857। আইএসএসএন 1932-6203। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0153857। পিএমআইডি 27100631। পিএমসি 4839696 ।
- ↑ "Table 9-9. Employment status of scientists and engineers, by age, sex, ethnicity, race, and disability status"। National Science Foundation। ২০১৫। ১৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ ক খ Beede, David, Tiffany Julian, David Langdon, George McKittrick, Beethika Khan, and Mark Doms. U.S. Department of Commerce Economics and Statistics Administrations. www.esa.doc.gov. "Women in STEM: A Gender Gap to Innovation", 2009.
- ↑ ক খ গ "Number of persons 25 to 34 years old and percentage with a bachelor's or higher degree, by undergraduate field of study, sex, race/ethnicity, and U.S. nativity and citizenship status: 2014"। National Center for Education Statistics। ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ Towns, Marcy (Spring ২০১০)। "Where Are the Women of Color? Data on African American, Hispanic, and Native American Faculty in STEM" (পিডিএফ)। National Science Teachers Association। ২২ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ গ Williams, Wendy M.; Ceci, Stephen J. (২০১৫)। "National hiring experiments reveal 2:1 faculty preference for women on STEM tenure track"। Proceedings of the National Academy of Sciences। 112 (17): 5360–5365। আইএসএসএন 0027-8424। ডিওআই:10.1073/pnas.1418878112।
- ↑ "Nobel Prize Facts"। NobelPrize.org। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ "The Work of Maryam Mirzakhani. Press Release." (পিডিএফ)। International Mathematical Union। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ UNESCO (২০১৫)। A Complex Formula: Girls and Women in Science, Technology, Engineering and Mathematics in Asia (পিডিএফ)। Paris, UNESCO। পৃষ্ঠা 15, 23–24। আইএসবিএন 978-92-9223-492-8।
- ↑ "International Mathematical Olympiad Timeline"। International Mathematical Olympiad। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ "Korea Takes 1st Place at International Math Olympiad"। Korea Daily। ২৫ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ Abbiss, Jane (২০১১)। "Boys and Machines" (পিডিএফ)। Gender and Education। 23 (5): 601–617। ডিওআই:10.1080/09540253.2010.549108। ১৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Keate, Georgie (২৭ ডিসেম্বর ২০১৬)। "New generation of inventors wanted: women need to apply"। The Times। পৃষ্ঠা 22–23।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Schiebinger, Londa (১৯৯৯)। Has Feminism Changed Science?। Harvard University Press।
- ↑ Swim, J.; Borgida, E.; Maruyama, G.; Myers, D.G. (১৯৮৯)। "Joan McKay versus John McKay: Do gender stereotypes bias evaluations?"। Psychological Bulletin। 105 (3): 409–429। ডিওআই:10.1037/0033-2909.105.3.409।
- ↑ Milkman, K.L; Akinola, M.; Chugh, D. (২০১২)। "Temporal Distance and Discrimination: An Audit Study in Academia"। Psychological Science। 23 (7): 710–717। ডিওআই:10.1177/0956797611434539। পিএমআইডি 22614463।
- ↑ ক খ Moss-Racusin, C.A.; Dovidio, J.F.; Brescoll, V.L.; Graham, M.; Handelsman, J. (২০১২)। "Science faculty's subtle gender biases favor male students"। Proceedings of the National Academy of Sciences। 109: 16474–16479। ডিওআই:10.1073/pnas.1211286109। পিএমআইডি 22988126। পিএমসি 3478626 ।
- ↑ Deaux, K.; Lewis, L.L. (১৯৮৪)। "Structure of gender stereotypes: Interrelationships among components and gender label"। Journal of Personality and Social Psychology। 46 (5): 991–1004। ডিওআই:10.1037/0022-3514.46.5.991।
- ↑ Ceci, S. J.; Ginther, D. K.; Kahn, S.; Williams, W. M. (২০১৪)। "Women in academic science: a changing landscape"। Psychological Science in the Public Interest। 15 (3): 75–141। ডিওআই:10.1177/1529100614541236। পিএমআইডি 26172066।
- ↑ Wells, Gary L. (১৯৮৫)। "The Conjunction Error and the Representativeness Heuristic"। Social Cognition। 3 (3): 266–279। ডিওআই:10.1521/soco.1985.3.3.266।
- ↑ ক খ Good, Jessica J.; Woodzicka, Julie A.; Wingfield, Lylan C. (২০১০)। "The Effects of Gender Stereotypic and Counter-Stereotypic Textbook Images on Science Performance"। Journal of Social Psychology। 150 (2): 132–147। ডিওআই:10.1080/00224540903366552।
- ↑ Eagly, A.H.; Karau, S.J. (২০০২)। "Role congruity theory of prejudice toward female leaders"। Psychological Review। 109 (3): 573–598। ডিওআই:10.1037/0033-295x.109.3.573। পিএমআইডি 12088246।
- ↑ Garcia-Retamero, R.; Lopez-Zafra, E. (২০০৬)। "Prejudice against Women in Male-congenial Environments: Perceptions of Gender Role Congruity in Leadership"। Sex Roles। 55 (1–2): 51–61। ডিওআই:10.1007/s11199-006-9068-1।
- ↑ Ritter, B.A.; Yoder, J.D. (২০০৪)। "Gender Differences in Leader Emergence Persist Even for Dominant Women: An Updated Confirmation of Role Congruity Theory"। Psychology of Women Quarterly। 28 (3): 187–193। ডিওআই:10.1111/j.1471-6402.2004.00135.x।
- ↑ ক খ Miyake, A.; Kost-Smith, L.E.; Finkelstein, N.D.; Pollock, S.J.; Cohen, G.L.; Ito, T.A. (২০১০)। "Reducing the Gender Achievement Gap in College Science: A Classroom Study of Values Affirmation"। Science। 330 (6008): 1234–1237। ডিওআই:10.1126/science.1195996। পিএমআইডি 21109670।
- ↑ ক খ Gaucher, D.; Friesen, J.; Kay, A.C. (২০১১)। "Evidence that gendered wording in job advertisements exists and sustains gender inequality"। Journal of Personality and Social Psychology। 101 (1): 109–128। ডিওআই:10.1037/a0022530। পিএমআইডি 21381851।
- ↑ Lyness, K.S.; Heilman, M.E. (২০০৬)। "When fit is fundamental: Performance evaluations and promotions of upper-level female and male managers"। Journal of Applied Psychology। 91 (4): 777–785। ডিওআই:10.1037/0021-9010.91.4.777। পিএমআইডি 16834505।
- ↑ Eagly, A.H.; Wood, W. (১৯৯১)। "Explaining Sex Differences in Social Behavior: A Meta-Analytic Perspective"। Personality and Social Psychology Bulletin। 17 (3): 306–315। ডিওআই:10.1177/0146167291173011।
- ↑ ক খ Madera, J.M.; Hebl, M.R.; Martin, R.C. (২০০৯)। "Gender and letters of recommendation for academia: Agentic and communal differences"। Journal of Applied Psychology। 94 (6): 1591–1599। ডিওআই:10.1037/a0016539।
- ↑ Cohn, Samuel. 1985. The Process of Occupational Sex-Typing. Philadelphia: Temple University Press.
- ↑ Ehrenreich, Barbara, and Deirdre English. 1978. For Her Own Good: 100 Years of Expert Advice to Women. Garden City, N.Y.: Anchor Press.
- ↑ Williams, Christine (১৯৯২)। "The Glass Escalator: Hidden Advantages for Men in the 'Female' Professions"। Social Problems। 39: 253–267। জেস্টোর 3096961। ডিওআই:10.1525/sp.1992.39.3.03x0034h।
- ↑ ক খ Eidelman, S.; Biernat, M. (২০০৩)। "Derogating black sheep: Individual or group protection?"। Journal of Experimental Social Psychology। 39 (6): 602–609। ডিওআই:10.1016/s0022-1031(03)00042-8।
- ↑ ক খ Kerr, N.L.; Hymes, R.W.; Anderson, A.B.; Weathers, J.E. (১৯৯৫)। "Defendant-juror similarity and mock juror judgments"। Law and Human Behavior। 19 (6): 545–567। ডিওআই:10.1007/bf01499374।
- ↑ ক খ Marques, J.; Abrams, D.; Serodio, R.G. (২০০১)। "Being better by being right: Subjective group dynamics and derogation of in-group deviants when generic norms are undermined"। Journal of Personality and Social Psychology। 81 (3): 436–447। ডিওআই:10.1037/0022-3514.81.3.436।
- ↑ ক খ Taylor, T.S.; Hosch, H.M. (২০০৪)। "An examination of jury verdicts for evidence of a similarity-leniency effect, an out-group punitiveness effect or a black sheep effect"। Law and Human Behavior। 28 (5): 587–598। ডিওআই:10.1023/b:lahu.0000046436.36228.71।
- ↑ Cooper, V.W. (১৯৯৭)। "Homophily or the Queen Bee Syndrome"। Small Group Research। 28 (4): 483–499। ডিওআই:10.1177/1046496497284001।
- ↑ ক খ গ ঘ Ellemers, N.; Van den Heuvel, H.; de Gilder, D.; Maass, A.; Bonvini, A. (২০০৪)। "The underrepresentation of women in science: Differential commitment or the queen bee syndrome?"। British Journal of Social Psychology। 43 (3): 315–338। ডিওআই:10.1348/0144666042037999। পিএমআইডি 15479533।
- ↑ Sonnert, G.; Fox, M.F.; Adkins, K. (২০০৭)। "Undergraduate Women in Science and Engineering: Effects of Faculty, Fields, and Institutions Over Time"। Social Science Quarterly। 88 (5): 1333–1356। ডিওআই:10.1111/j.1540-6237.2007.00505.x।
- ↑ Stout, J.G.; Dasgupta, N.; Hunsinger, M.; McManus, M.A. (২০১১)। "STEMing the tide: Using ingroup experts to inoculate women's self-concept in science, technology, engineering, and mathematics (STEM)"। Journal of Personality and Social Psychology। 100 (2): 255–270। ডিওআই:10.1037/a0021385। পিএমআইডি 21142376।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Griffith2010
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Welsh, Jennifier (১৬ অক্টো ২০১৩)। "These Are The 7 Things Keeping Women Out Of Science Careers"। Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ "Family and Medical Leave Act"। United States Department of Labor। ১৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ "Paid Family Leave - Fathers"। State of California, Employment Development Department। ২৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Schiebinger1999 :৫১
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ ঘ Pell, A N (১৯৯৬)। "Fixing the leaky pipeline: women scientists in academia."। Journal of Animal Science। 74 (11): 2843। আইএসএসএন 0021-8812। ডিওআই:10.2527/1996.74112843x।
- ↑ ক খ Lips, Hilary (২০০৮)। Sex & Gender: An Introduction Sixth Edition। New York: McGraw Hill।
- ↑ Ceci, Stephen (২০১৪)। Psychological Science in the Public Interest। Association for Psychological Science। পৃষ্ঠা 76।
- ↑ Cheryan, Sapna; Siy, John Oliver; Vichayapai, Marissa; Drury, Benjamin J.; Kim, Saenam। "Do Female and Male Role Models Who Embody STEM Stereotypes Hinder Women's Anticipated Success in STEM?"। Social, Psychological, and Personality Science, via Sage Journals। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Page, Lewis (১৫ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Ladies put off tech careers by sci-fi posters, Coke cans"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Page, Lewis (২৭ জুন ২০১৩)। "Trick-cyclist's claim: I have FOUND how to get GIRLS INTO TECH"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Ruchika Tulshyan। "Top 10 College Majors For Women - 10: Liberal Arts and Sciences, General Studies, Humanities"। Forbes.com। ২০১৩-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-০৭।
- ↑ "Table 201.20. Enrollment in grades 9 through 12 in public and private schools compared with population 14 to 17 years of age: Selected years, 1889-90 through fall 2015"। National Center for Education Statistics। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "Table 204.90. Percentage of public school students enrolled in gifted and talented programs, by sex, race/ethnicity, and state: 2004, 2006, and 2011-12"। National Center for Education Statistics। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "TABLE 1-1. Resident population of the United States, by age and sex: 2014"। National Science Foundation। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "TABLE 2-1. Undergraduate enrollment at all institutions, by citizenship, ethnicity, race, sex, and enrollment status: 2004–14"। National Science Foundation। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "TABLE 2-8. Intentions of freshmen to major in S&E fields, by race or ethnicity and sex: 2014"। National Science Foundation। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "TABLE 5-1. Bachelor's degrees awarded, by sex and field: 2004–14"। National Science Foundation। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "TABLE 7-2. Doctoral degrees awarded to women, by field: 2004–14"। National Science Foundation। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ Su, Rong; Rounds, James; Armstrong, Patrick (২০০৯)। "Men and Things, Women and People: A Meta-Analysis of Sex Differences in Interests"। Psychological Bulletin। 135 (6): 859–884। ডিওআই:10.1037/a0017364। পিএমআইডি 19883140।
- ↑ Seymour, Elaine (১৯৯৭)। Talking about leaving : why undergraduates leave the sciences। Boulder, CO, USA: Westview Press। আইএসবিএন 0-8133-6642-9।
- ↑ Preston, Anne (২০০৪)। Leaving science : occupational exit from scientific careers। New York: Russell Sage Foundation। আইএসবিএন 0-87154-694-9।
- ↑ Page, Lewis (২৭ জুলাই ২০১৫)। "New study into lack of women in Tech: It's NOT the men's fault"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ http://www.msnbc.msn.com/id/50056290/ns/local_news-phoenix_az/t/popovich-girls-need-be-shown-path-success-through-stem-education/#.UL2VYYNfCSo। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৫, ২০১২।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[অকার্যকর সংযোগ] - ↑ ক খ গ ঘ ঙ Ellis, Jessica; Fosdick, Bailey K.; Rasmussen, Chris (২০১৬)। "Women 1.5 Times More Likely to Leave STEM Pipeline after Calculus Compared to Men: Lack of Mathematical Confidence a Potential Culprit"। PLOS ONE। 11 (7): 1–14। আইএসএসএন 1932-6203। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0157447।
- ↑ Chipman, Susan (সেপ্টেম্বর ১৯৯২)। "Mathematics Anxiety and Science Careers Among Able College Women"। Psychological Science (0956-7976)। 3(5): 292–295।
- ↑ Kelly, Stephanie (অক্টোবর ২০১৩)। "For Girls in STEM, Belonging, Not Brain Structure, Makes the Difference"। Techniques: Connecting Education & Careers। 88(7): 34–36 – EBSCO Academic Search Complete-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Steinberg, Julia (নভেম্বর–ডিসেম্বর ২০১২)। "Calculus GPA and Math Identification as Moderators of Stereotype Threat in Highly Persistent Women"। Basic & Applied Social Psychology। 34(6): 534–543 – EBSCO Academic Search Complete-এর মাধ্যমে।
- ↑ Schmader, T.; Johns, M. (২০০৩)। "Converging evidence that stereotype threat reduces working memory capacity"। Journal of Personality and Social Psychology। 85 (3): 440–452। ডিওআই:10.1037/0022-3514.85.3.440। পিএমআইডি 14498781।
- ↑ Steele, C.M.; Aronson, J. (১৯৯৫)। "Stereotype Threat and the Intellectual Test Performance of African Americans"। Journal of Personality and Social Psychology। 69 (5): 797–811। ডিওআই:10.1037/0022-3514.69.5.797। পিএমআইডি 7473032।
- ↑ ক খ গ Steele, C.M.; Spencer, S.J.; Aronson, J. (২০০২)। "Contending with group image: The psychology of stereotype and social identity threat"। Advances in Experimental Social Psychology। 34: 379–440। ডিওআই:10.1016/s0065-2601(02)80009-0।
- ↑ ক খ Spencer, S.J.; Steele, C.M.; Quinn, D.M. (১৯৯৯)। "Stereotype threat and women's math performance"। Journal of Experimental Social Psychology। 35 (1): 4–28। ডিওআই:10.1006/jesp.1998.1373।
- ↑ Bork, Christine। "STEM Fields: Where Are the Women?"। Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ আর্থার রবার্ট জেনসেন "দ্যা জি ফ্যাক্টরঃ মানসিক সামর্থ্যের বিজ্ঞান"(১৯৮৮), আইএসবিএন ০-২৭৫-৯৬১০৩-৬, প্রেজার পাবলিশার্স, ৮৮ পোস্ট রোড ওয়েস্ট, ওয়েস্টপোর্ট, CT 06881, pages 513-515: "the phenomenon of stereotype threat can be explained in terms of a more general construct, test anxiety, which has been studied since the early days of psychometrics. Test anxiety tends to lower performance levels on tests in proportion to the degree of complexity and the amount of mental effort they require of the subject. The relatively greater effect of test anxiety in the black samples, who had somewhat lower SAT scores, than the white subjects in the Stanford experiments constitutes an example of the Yerkes-Dodson law ... by conducting the same type of experiment using exclusively white (or black) subjects, divided into lower- and higher-ability groups, it might be shown that the phenomenon attributed to stereotype threat has nothing to do with race as such, but results from the interaction of ability level with test anxiety as a function of test complexity."
- ↑ ক খ Stoet, G.; Geary, D. C. (২০১২)। "Can stereotype threat explain the gender gap in mathematics performance and achievement?"। Review of General Psychology। 16: 93–102। ডিওআই:10.1037/a0026617। Pdf. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে
- ↑ Fryer, R. G.; Levitt, S. D.; List, J. A. (২০০৮)। "Exploring the Impact of Financial Incentives on Stereotype Threat: Evidence from a Pilot Study"। American Economic Review। 98 (2): 370–375। ডিওআই:10.1257/aer.98.2.370।
- ↑ Yong, Ed (৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "A Worrying Trend for Psychology's 'Simple Little Tricks'"। The Atlantic। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Ganley, Colleen M.; Mingle, Leigh A.; Ryan, Allison M.; Ryan, Katherine; Vasilyeva, Marina; Perry, Michelle (১ জানুয়ারি ২০১৩)। "An Examination of Stereotype Threat Effects on Girls' Mathematics Performance." (পিডিএফ)। Developmental Psychology। 49: 1886–1897। ডিওআই:10.1037/a0031412। পিএমআইডি 23356523। ১৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Flore, Paulette C.; Wicherts, Jelte M. (২০১৪)। "Does stereotype threat influence performance of girls in stereotyped domains? A meta-analysis"। Journal of School Psychology। 53 (1): 25–44। আইএসএসএন 0022-4405। ডিওআই:10.1016/j.jsp.2014.10.002। পিএমআইডি 25636259।
- ↑ Miller, David (৯ জুন ২০১৫)। "Beliefs about innate talent may dissuade students from STEM"। The Conversation। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ "Archive of: Remarks at NBER Conference on Diversifying the Science & Engineering Workforce"। জানুয়ারি ৩০, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-৩০।. January 14, 2005.
- ↑ Matsakis, Louise; Koebler, Jason; Emerson, Sarah (৭ আগস্ট ২০১৭)। "Here Are the Citations for the Anti-Diversity Manifesto Circulating at Google"। Vice। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ "Anne-Marie Slaughter"। Princeton University।
- ↑ Finding a work-life-balance, Toronto Star, 11 July 2012
- ↑ Johns, Michael; Schmader, Toni; Martens, Andy (২০০৫)। "Knowing Is Half the Battle: Teaching Stereotype Threat as a Means of Improving Women's Math Performance"। Psychological Science। 16 (3): 175–179। ডিওআই:10.1111/j.0956-7976.2005.00799.x। পিএমআইডি 15733195।
- ↑ ক খ Marx, D.M.; Roman, J.S. (২০০২)। "Female role models: Protecting women's math performance"। Personality and Social bulletin। 28 (9): 1183–1193। ডিওআই:10.1177/01461672022812004।
- ↑ ক খ Huguet, P.; Regner, I. (২০০৭)। "Stereotype threat among schoolgirls in quasi-ordinary classroom circumstances"। Journal of Educational Psychology। 99 (3): 545–560। ডিওআই:10.1037/0022-0663.99.3.545।
- ↑ McIntyre, R.B.; Paulson, R.M.; Lord, C.G. (২০০৩)। "Alleviating women's mathematics stereotype threat through salience of group achievements"। Journal of Experimental Social Psychology। 39 (1): 83–90। ডিওআই:10.1016/s0022-1031(02)00513-9।
- ↑ Drury, Benjamin J.; Siy, John Oliver; Cheryan, Sapna (২০১১)। "When Do Female Role Models Benefit Women? The Importance of Differentiating Recruitment From Retention in STEM"। Psychological Inquiry। 22 (4): 265–269। ডিওআই:10.1080/1047840x.2011.620935।
- ↑ Martens, A.; Johns, M.; Greenberg, J.; Schimel, J. (২০০৬)। "Combating stereotype threat: The effect of self-affirmation on women's intellectual performance"। Journal of Experimental Social Psychology। 42 (2): 236–243। ডিওআই:10.1016/j.jesp.2005.04.010।
- ↑ Miyake, A.; Kost-Smith, L.E.; Finkelstein, N.D.; Pollock, S.J.; Cohen, G.L.; Ito, T.A. (২০১০)। "Reducing the Gender Achievement Gap in College Science: A Classroom Study of Values Affirmation"। Science। 330 (6008): 1234–1237। ডিওআই:10.1126/science.1195996। পিএমআইডি 21109670।
- ↑ ক খ গ Gresky, D.M.; Eyck, L.L.T.; Lord, C.G.; McIntyre, R.B. (২০০৫)। "Effects of salient multiple identities on women's performance under mathematics stereotype threat"। Sex Roles। 53 (9–10): 703–716। ডিওআই:10.1007/s11199-005-7735-2।
- ↑ "Introducing StemBox, Birchbox's Super Smart Little Sister"। ২০১৫-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২২।
- ↑ "Advancing the Status of Women and Girls Around the World"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২৫।
আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]- (ইংরেজি) American Association of University Women (2010). Why So Few?
- (ইংরেজি) Natarajan, Priyamvada, "Calculating Women" (review of Margot Lee Shetterly, Hidden Figures: The American Dream and the Untold Story of the Black Women Mathematicians Who Helped Win the Space Race, William Morrow; Dava Sobel, The Glass Universe: How the Ladies of the Harvard Observatory Took the Measure of the Stars, Viking; and Nathalia Holt, Rise of the Rocket Girls: The Women Who Propelled Us, from Missiles to the Moon to Mars, Little, Brown), The New York Review of Books, vol. LXIV, no. 9 (25 May 2017), pp. 38–39.