বিষয়বস্তুতে চলুন

জংলি টগর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Tabernaemontana divaricata থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জংলি টগর
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Asterids
বর্গ: Gentianales
পরিবার: Apocynaceae
উপপরিবার: Rauvolfioideae
গণ: Tabernaemontana
প্রজাতি: T. divaricata
দ্বিপদী নাম
Tabernaemontana divaricata
R.Br. ex Roem. & Schult.
প্রতিশব্দ[]
তালিকা
    • Ervatamia coronaria (Jacq.) Stapf
    • Ervatamia divaricata (L.) Burkill
    • Ervatamia flabelliformis Tsiang
    • Ervatamia recurva (Roxb. ex Lindl.) Lace
    • Ervatamia siamensis (Warb. ex Pit.) Kerr
    • Jasminum zeylanicum Burm.f.
    • Kopsia cochinchinensis Kuntze
    • Nerium coronarium Jacq.
    • Nerium divaricatum L.
    • Nyctanthes acuminata Burm.f.
    • Reichardia grandiflora Dennst.
    • Reichardia jasminoides Dennst.
    • Taberna discolor (Sw.) Miers
    • Tabernaemontana citrifolia Lunan
    • Tabernaemontana coronaria (Jacq.) Willd.
    • Tabernaemontana discolor Sw.
    • Tabernaemontana flabelliformis (Tsiang) P.T.Li
    • Tabernaemontana gratissima Lindl.
    • Tabernaemontana indica Willd. ex Roem. & Schult. [Illegitimate]
    • Tabernaemontana lurida Van Heurck & Müll.Arg.
    • Tabernaemontana recurva Roxb. ex Lindl.
    • Tabernaemontana siamensis Warb. ex Pit.
    • Testudipes recurva (Roxb. ex Lindl.) Markgr.
    • Vinca alba Noronha

জংলি টগর বা কাঠ মালতি ([Pinwheel Flower, Crape Jasmine, East India Rosebay and Nero's Crown] ত্রুটি: {{Lang-xx}}: text has italic markup (সাহায্য))[][] হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া এবং চীনের একটি চিরসবুজ উদ্ভিদ প্রজাতি। টগর ক্রান্তীয় আমেরিকার প্রজাতি। বড় আকারের গুল্ম, কখনও বৃক্ষসম।

বিবরণ

[সম্পাদনা]
রাতে তোলা চিত্রে জংলী টগরের কুঁড়ি

উদ্ভিদটি সাধারণত ১.৫-৪ মিটার লম্বা এবং চিরসবুজ। পাতা ৫-১২×২-৫ সেমি, উজ্জ্বল সবুজ, নিচ ফ্যাকাসে ও মসৃণ। শীতকাল ছাড়া প্রায় সারা বছরই ফুল ধরে। ফুল গন্ধহীন ও সুগন্ধি উভয়ই হতে পারে, পাতার কক্ষে বা ডালের আগায় সাদা ফুলের থোকায় গাছ ভরে থাকে। বাংলাদেশের বনে-জঙ্গলে দেখা যায়। ফুল ৩-৫ সেমি চওড়া, একক বা দৈত বা আধাদৈত, দলনলের আগায় ৫টি পাপড়ি, পাপড়িগুলো চ্যাপ্টা। ফল চার্ম, সবুজ, ভিতর লাল, বিদারী।

নামকরণ

[সম্পাদনা]

বাগান ছাড়াও এই গাছটিকে বনে জঙ্গলে জন্মাতে দেখা যায় বলে অনেকে একে ‘‘জংলী টগর’’ বলে। এর দ্বিপদী বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemontana divaricata। বাংলাদেশে এর অন্য আরো একটি জনপ্রিয় নাম হলো কাঠমল্লিকা। কাঠমল্লিকা ফুলের আরো অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, যথা: চাঁদনী, কড়ি। কাণ্ডে দুধের মতো রস থাকায় একে কোন কোন এলাকায় দুধফুল নামেও আখ্যায়িত করা হয়। এর মূল সৌন্দর্য্য হলো বিশুদ্ধ সাদা বর্ণের ফুল।তাই একে সাদা ফুল নামেও ডাকা হয়।

শীত ছাড়া প্রায় সারা বছরই ফুল হয়। যদিও উদ্ভিদটি বসন্তে পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয় কিন্তু ফুলগুলো সারা বছরই কমবেশি পাওয়া যায়। ফুলটির একটি স্নিগ্ধ সুবাস আছে। এই ফুলের নানা প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন- ফুল সিঙ্গল হতে পারে, আধা ডাবল হতে পারে, আবার ডাবল (Flore Pleno= double-flowered) হতে পারে। সিঙ্গল ফুলে দলনলের আগায় পাপড়ি ৫টি থাকে (অন্যগুলোতে বেশি থাকে)। নার্সারীতে ছোট ছোট পাতাযুক্ত একটি চীনা প্রজাতি দেখা যায়। ৬৬ টিরও বেশি অ্যালকালয়েড এই গুল্মে পাওয়া যায়- যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল ক্যাথারানথাইন, করোনারিডিন, ড্রেগামাইন, আইবোগামাইন, ট্যাবারসিনিন, ভোকাঙ্গাইন, ভোয়াকামাইন এবং ভোক্রিস্টিন। এই গাছের ডালপালা এবং শিকড়গুলিতে শক্তিশালী অ্যাসিটিলকোলিনস্টেয়ারেস ইনহিবিটরসের উপস্থিতি রয়েছে। একটি স্টেম এক্সট্রাক্ট থেকে বিচ্ছিন্ন 3'-R/S-hydroxyvoacamine AChE- এর বিরুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে,যার IC50 মান হল 7.00 ± 1.99 μM।

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

কাঠ মালতি গাছটি সহজাত ভাবেই বহু আগ থেকে বাড়ির আঙ্গিনা ও বাগান সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গাছটি ছোট পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। প্রার্থনা ও পুজার সামগ্রিরূপে ফুলটি বহুল প্রচলিত। এছাড়াও এই গুল্মটি বাগানে বড় বৃক্ষের নিচে আন্দারশ্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The Plant List: A Working List of All Plant Species"। ২৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৫ 
  2. "ITIS standard report: Tabernaemontana divaricata (L.) R. Br. ex Roem. & Schult."ITIS। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১২ 
  3. Medicinal Plants of India and Pakistan, Dastur J.F., pub.1962 by D.P. Taraporevala Sons and Co. Private Ltd., Mumbai, 4th Indian reprint 1977