বিষয়বস্তুতে চলুন

সিলভেস্টার যোসেফ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Sylvester Joseph থেকে পুনর্নির্দেশিত)
সিলভেস্টার যোসেফ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
সিলভেস্টার ক্লিওফস্টার যোসেফ
জন্ম (1978-09-05) ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ (বয়স ৪৬)
নিউ উইনথর্পস, অ্যান্টিগুয়া
ডাকনামবাউন্স
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ-ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৫৭)
১২ আগস্ট ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৫ মে ২০০৭ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৯)
১৯ এপ্রিল ২০০০ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৭ আগস্ট ২০০৫ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৬–২০১৪লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩ ৮৭ ৮৮
রানের সংখ্যা ১৪৭ ১৬১ ৪,৫১৭ ২,১৭৪
ব্যাটিং গড় ১৪.৭০ ১৬.১০ ৩১.৫৮ ২৯.৩৭
১০০/৫০ ০/০ ০/১ ৯/২০ ২/১৪
সর্বোচ্চ রান ৪৫ ৫৮ ২১১* ১০০*
বল করেছে ১২ ৩৯৬ ১২৬
উইকেট
বোলিং গড় ৫০.৭৫ ১১৭.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/৮ ২/১৩ ১/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ৪/– ৮৩/– ৩২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সিলভেস্টার ক্লিওফস্টার যোসেফ (ইংরেজি: Sylvester Joseph; জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮) অ্যান্টিগুয়ার নিউ উইনথর্পস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক। ২০০০ থেকে ২০০৫ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন ‘বাউন্স’ ডাকনামে পরিচিত সিলভেস্টার যোসেফ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের নিয়মিত অধিনায়কত্ব করেছেন। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে দুইটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।

২০০১-০২ মৌসুমে বুস্টা কাপে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি দলের বিপক্ষে খেলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যোসেফ তার প্রথম সেঞ্চুরি করেন। এরপর এ সেঞ্চুরিটিকে পরবর্তীতে দ্বি-শতকে রূপান্তর করে ২১১ রানে অপরাজিত থাকেন।

টেস্ট ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২০০০-০১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। ঐ সফরে অনুষ্ঠিত সিরিজের কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ না পেলেও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেবার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তবে, ওডিআই সিরিজে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি।

জুলাই, ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। শ্রীলঙ্কা এ দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রান তুলে নিজেকে টেস্টের উপযোগী করে তুলেন। প্রথম দুই টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি। তবে, ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অভিষেক ঘটে সিলভেস্টার যোসেফের। ডেভন স্মিথের পরিবর্তে তাকে মাঠে নামানো হয়। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫ রান তুলেন। পরের টেস্টেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে পরের বছর শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচ টেস্ট ও ১৩টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সিলভেস্টার যোসেফ। ১২ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে সিলভেস্টার যোসেফের।

একদিনের আন্তর্জাতিক

[সম্পাদনা]

তেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করলেও একটি ওডিআইয়ে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ হয় তার।

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০০৫ সালের ত্রি-দেশীয় ওডিআই ইন্ডিয়ান অয়েল কাপ প্রতিযোগিতায় শিবনারায়ণ চন্দরপলের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।[] ৬ আগস্ট প্রতিযোগিতার পঞ্চম খেলায় ৯২ বলে ৫৮ রান তুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৩ রানে দলের জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এরফলে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা নিজদেশে অনুষ্ঠিত শেষ দশ ওডিআইয়ের মধ্যে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করে।[] প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ খেলায় চন্দরপলের অসুস্থতাজনিত কারণে দলকে পরিচালনায় অগ্রসর হন। তবে ভারতের বিপক্ষে ঐ খেলায় তার দল ৭ রানে পরাজিত হয়েছিল।

বিতর্কিত ভূমিকা

[সম্পাদনা]

২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এ পর্যায়ে মেলবোর্নের নৈশক্লাবে ঝগড়া করেন ও মারাত্মকভাবে আহত হন। সফরের শেষদিকে দলীয় সঙ্গী মারলন ব্ল্যাকওয়াভেল হাইন্ডসকে সাথে নিয়ে নৈশক্লাবে গিয়েছিলেন। হোটেলে ফেরার পথে চারজন মাতাল রাস্তায় বোতল ভেঙ্গে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের মুখোমুখি হয়। তিনি ও যোসেফ মুক্তি পেলেও মারলন ব্ল্যাককে মারাত্মকভাবে পিটানো হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Indian Oil Cup - Tri-series teams"। sify.com। ২৮ জুলাই ২০০৫। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "Match 5, Sri Lanka v West Indies, Indian Oil Cup, 2005"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. "Court hears Black lost international place after attack"। ২ অক্টোবর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]