ভারতের নির্বাচন কমিশন
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ২৫ জানুয়ারি ১৯৫০ (জাতীয় মতদাতা দিবস হিসেবে পালিত) |
যার এখতিয়ারভুক্ত | ভারত সরকার |
সদর দপ্তর | নির্বাচন সদন, অশোক রোড, নয়া দিল্লি,দিল্লি – ১১০০০১ [১] ২৮°৩৭′২৬″ উত্তর ৭৭°১২′৪০″ পূর্ব / ২৮.৬২৩৮৯° উত্তর ৭৭.২১১১১° পূর্ব |
সংস্থা নির্বাহী |
|
মূল সংস্থা | ভারতের সংবিধান (রিপ্রেসেন্টেশন অফ পিপল এক্ট ১৯৫১ অনুযায়ী) |
ওয়েবসাইট | http://www.eci.nic.in |
পাদটীকা | |
[২][৩][৪] |
ভারত নির্বাচন কমিশন (ইংরেজি: Election Commission of India) ভারতের একটি স্বশাসিত সংস্থা যেটি দেশটির সকল নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে।
উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি
[সম্পাদনা](১) সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন, ১৯৫২ অনুসারে প্রতি দশ বছর অন্তর আয়োজিত জনগণনা অনুযায়ী নির্বাচন কেন্দ্রগুলির সীমা পুনর্নির্দেশ ও ভোটদাতার পরিধির পুনর্বিন্যাস।
(২) ভোটদাতাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা।
(৩) রাজনৈতিক দলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া।
(৪) রাজনৈতিক দল ও নির্দল প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক ঠিক করা।
(৫) নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনুকূলে নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করা।
(৬) অবৈধ কিছু ঘটলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্থগিত বা বাতিল করা।
(৭) কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অযোগ্য বিবেচিত হলে এই সংক্রান্ত সুপারিশ ক্ষেত্রবিশেষে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো।
(৮) ভোটপ্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলির অবশ্যপালনীয় কর্তব্যের তালিকা ও বিধিনিষেধ (যা নির্বাচনী আচরণবিধি নামে পরিচিত) রচনা ও প্রয়োগ।
(৯) আকাশবাণী ও দূরদর্শনে ভোটপ্রার্থীদের প্রচারের সময় বণ্টন।
(১০) প্রার্থীপিছু নির্বাচনজনিত ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করা।
(১১) প্রযুক্তিগত বিষয়ে (যেমন বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের ব্যবহার) ভোটদাতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
গঠন, নিয়োগ ও অপসারণ
[সম্পাদনা]ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংবিধান-স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ।
ভারতের রাষ্ট্রপতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিযুক্ত করেন। প্রয়োজনে একাধিক নির্বাচন আধিকারিককে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সহকারী হিসেবেও নিয়োগ করা যেতে পারে। ভারতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫০ সালে। এর পর ১৯৮৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দু’জন অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। ১৯৯০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এই দুটি অতিরিক্ত পদ অবলুপ্ত করা হয়। অবশ্য ১৯৯৩ সালের ১লা অক্টোবর পুনরায় দু’জন অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করা হয় এবং এই সংক্রান্ত আইনটি সংশোধনও করা হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে তিন জন নির্বাচন কমিশনার বহাল রয়েছেন। এঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত হিসেবে বলবৎ হয়। ভারতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ স্থির করা হয়।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপসারণের নিয়মের অনুরূপ। অবশ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সুপারিশ অনুযায়ীও রাষ্ট্রপতি অপর নির্বাচন কমিশনারকে অপসারিত করতে পারেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রথমবার প্রতীক বণ্টন
[সম্পাদনা]১৯৫১ সালের ১ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডাকেন নির্বাচনী প্রতীক বণ্টন করার জন্য । প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসতে । সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কারণ, কৃষিপ্রধান এই দেশের মানুষের কাছে লাঙল বড় কাছের। নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন ঠিক করলেন কাউকেই তাহলে লাঙল চিহ্ন দেওয়া হবে না। কারণ একটি দলকে দিলে অন্য দল ক্রুদ্ধ হবে।
প্রত্যেককে দ্বিতীয় পছন্দ জমা দিতে বলা হল। আর সেইমতোই অবশেষে জওহরলাল নেহরুর কংগ্রেস পেল দু’টি বলদ, সোস্যালিস্ট পার্টি পেল গাছ, হিন্দু মহাসভাকে দেওয়া হল ঘোড়ায় চড়া এক সওয়ারি, বি আর আম্বেদকেরর শিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন পার্টি প্রতীক পেল হাতি। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া নিয়েছিল কাস্তে ধানের শিষ। ভারতীয় জনসংঘ পরবর্তী সময়ে পায় প্রদীপ। ফরওয়ার্ড ব্লক (মার্কসিস্ট) পেয়েছিল সিংহ। রাম রাজ্য পরিষদ নামে পার্টির প্রতীক ছিল উদীয়মান সূর্য, রেভলিউশনারি কমিউনিস্ট পার্টি প্রতীক পেল মশাল, বলশেভিস্ট পার্টির ভাগ্যে গেল তারা। তবে, ১৯৫১ সালের জুলাই মাসে বিভিন্ন দলকে দেওয়া নির্বাচনী চিহ্নগুলির মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল একটি চিহ্ন। সেটি হল হাত। আজ ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের যে নির্বাচনী প্রতীক, সেই হাত চিহ্নটি প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার করেছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের একটি ভেঙে যাওয়া পৃথক গোষ্ঠীর পার্টি। সেই বিক্ষুব্ধ ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্বে ছিলেন শ্রমিক নেতা আর এস রুইকর। অথচ সেই লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেল, রুইকরের দল সেরকম কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল করতেই পারেনি কোনও কেন্দ্রে। তাই ভোটের পরই সেই দল মিশে গেল জে বি কৃপালনির প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টিতে। আর সেই থেকে হাত চিহ্নটিও হয়ে গেল নির্বাচনের ময়দান থেকে ভ্যানিশ। ইন্দিরা গান্ধী আবার বহু বছর পর সেই হাত চিহ্নকে নিয়ে এলেন নিজের দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে। [৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "নির্বাচন কমিশনের ঠিকানা"। আধিকারিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৪।
- ↑ "যারা নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করেন"। আধিকারিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি ভাষায়)। নয়া দিল্লি। ৩০ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৪।
- ↑ "ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাজ কী?"। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "পঞ্চবিংশতম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রাজীব কুমার"। প্রেস ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "প্রথম ভোট"। বর্তমান পত্রিকা। ৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৯।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official site
- Links to Official Web Sites of Chief Electoral Officers of 28 States and 7 UTs
- Election Commission of India
- Voter Card Status
- Apply Adhaar Card Online
- Election Commission to assist Iraq Elections ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে
- ECI's Online Voters List Options: 'Voter Name' search Parliamentary, Assembly constituency wise. Also one can get full Electoral Rolls 'Voting Booth' wise.