ইবনে বাজা
ইবনে বাজা | |
---|---|
ابن باجة | |
জন্ম | আনু. ১০৮৫ |
মৃত্যু | আনু. ১১৩৮ |
জাতীয়তা | আন্দালুস |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, কবি, বিজ্ঞান |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | ইবনে তুফায়েল, ইবনে রুশদ, মুসা বিন মৈমুন |
আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনে আস-সাইগ আত-তুজিবি ইবনে বাজা (আরবি: أبو بكر محمد بن يحيى بن الصائغ التجيبي بن باجة), সাধারণত ইবনে বাজা নামে পরিচিত (ল্যাটিনকৃত আভেমপেস /ˈeɪvəmpeɪs/ বলেও পরিচিত; আনু. ১০৮৫–১১৩৮), ছিলেন একজন আরব[১] আন্দালুসিয়া বহুবিদ্যাবিশারদ, যার লেখার মধ্যে রয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং সঙ্গীত সম্পর্কিত কাজ, সেইসাথে দর্শন, ঔষধ, উদ্ভিদবিদ্যা এবং কবিতা।[২] তিনি কিতাবুল নাবাত ("দ্য বুক অফ প্ল্যান্টস্") এর লেখক, যা উদ্ভিদবিদ্যার উপর একটি জনপ্রিয় রচনা, যা উদ্ভিদের লিঙ্গকে সংজ্ঞায়িত করেছিল।[৩] তার দার্শনিক তত্ত্বগুলি ইবনে রুশদ এবং আলবার্টাস্ ম্যাগনাসের কাজকে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর মৃত্যুর কারণে তাঁর বেশিরভাগ লেখা ও বই সম্পূর্ণ (বা সুসংগঠিত) হয়নি। তার চিকিৎসা, গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যার ব্যাপক জ্ঞান ছিল। ইসলামি দর্শনে তার প্রধান অবদান ছিল আত্মা ঘটনাবিদ্যা সম্পর্কে তার ধারণা, যা কখনোই সম্পূর্ণ হয়নি।
তার সময়ে, শুধুমাত্র তিনি দর্শনেরই একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বই নয়, সঙ্গীত ও কবিতায়েও অবদান রেখেছিলেন।[৪] তাঁর দিওয়ান (আরবিঃ কবিতার সংকলন) ১৯৫১ সালে পুনরায় আবিষ্কৃত হয়। যদিও তার অনেক কাজই টিকে থাকেনি, জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যায় তার তত্ত্বগুলি যথাক্রমে মুসা বিন মৈমুন এবং ইবনে রুশদ দ্বারা সংরক্ষিত ছিল এবং পরবর্তীকালে ইসলামি সভ্যতা ও রেনেসাঁ ইউরোপের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদদের প্রভাবিত করেছিল, যাদের মধ্যে গ্যালিলিও গ্যালিলেই রয়েছে।[৫]
ইবনে বাজা পশ্চিমা বিশ্বে অ্যারিস্টটলের উপর প্রথম (কেউ কেউ প্রথম বলে মত দিয়েছেন) ভাষ্য লিখেছিলেন। যদিও প্রক্ষিপ্ত গতির উপর তার কাজ আরবি থেকে লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি, তার মতামত পশ্চিমা বিশ্বে এবং পশ্চিমা দার্শনিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং অনেক বিষয়ের বিজ্ঞানীদের কাছে সুপরিচিত হয়েছিল। তার কাজগুলি সমসাময়িক মধ্যযুগীয় চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করেছিল এবং পরে গ্যালিলিও এবং তার কাজকে প্রভাবিত করেছিল। প্রাসের গতির উপর ইবনে বাজার তত্ত্বগুলি "টেক্স ৭১" নামে পরিচিত পাঠ্যে পাওয়া যায়।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Grant, Edward (১৯৯৬-০৭-১৩)। Planets, Stars, and Orbs: The Medieval Cosmos, 1200-1687 (ইংরেজি ভাষায়)। CUP Archive। পৃষ্ঠা ১২৬। আইএসবিএন 978-0-521-56509-7।
- ↑ McGinnis, Jon; Reisman, David C. (২০০৭-০৯-০১)। Classical Arabic Philosophy: An Anthology of Sources (ইংরেজি ভাষায়)। Hackett Publishing। পৃষ্ঠা ২৬৬। আইএসবিএন 978-1-60384-392-8।
- ↑ Egerton, Frank N. (২০১২)। "History of Ecological Sciences, Part 43: Plant Physiology, 1800s"। Bulletin of the Ecological Society of America। ৯৩ (৩): ১৯৭–২১৯। আইএসএসএন 0012-9623। ডিওআই:10.1890/0012-9623-93.3.197।
- ↑ Dunlop, D. M. (১৯৫২)। "The Dīwān Attributed to Ibn Bājjah (Avempace)"। Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London। ১৪ (৩): ৪৬৩–৪৭৭। আইএসএসএন 0041-977X।
- ↑ Dunlop, D. M. (১৯৫২)। "The Dīwān Attributed to Ibn Bājjah (Avempace)"। Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London। ১৪ (৩): ৪৬৩–৪৭৭। আইএসএসএন 0041-977X।
- ↑ Franco, Abel B. (২০০৩)। "Avempace, Projectile Motion, and Impetus Theory"। Journal of the History of Ideas। ৬৪ (৪): ৫২১–৫৪৬। আইএসএসএন 0022-5037। ডিওআই:10.2307/3654219।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Haque, Amber (২০০৪-১২-০১)। "Psychology from Islamic Perspective: Contributions of Early Muslim Scholars and Challenges to Contemporary Muslim Psychologists"। Journal of Religion and Health (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৩ (৪): ৩৫৭–৩৭৭। আইএসএসএন 1573-6571। জেস্টোর 27512819। ডিওআই:10.1007/s10943-004-4302-z।
- Marcinkowski, M. Ismail। "A Biographical Note on Ibn Bajjah (Avempace) and an English Translation of his Annotations to al-Farabi's Isagoge"। Iqbal Review। Lahore, Pakistan। ৪৩ (২): ৮৩–৯৯। ২৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২২।
- Dunlop, D. M.। "The Diwan Attributed to Ibn Bajjah (Avempace)"। ১৪ (৩)। Lahore, Pakistan: University of London: ৪৬৩–৪৭৭। ২৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২২।
- Glick, Thomas F.; Livesey, Steven John; Wallis, Faith (২০০৫)। Medieval Science, Technology, and Medicine: An Encyclopedia (ইংরেজি ভাষায়)। Psychology Press। পৃষ্ঠা ২৪৩–২৪৬। আইএসবিএন 978-0-415-96930-7।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Forcada, Miquel (২০০৭)। "Ibn Bājja: Abū Bakr Muḥammad ibn Yaḥyā ibn al‐Ṣāʾigh al‐Tujībī al‐Andalusī al‐Saraqusṭī"। Thomas Hockey; ও অন্যান্য। The Biographical Encyclopedia of Astronomers। New York: Springer। পৃষ্ঠা ৫৫০–৫১। আইএসবিএন 978-0-387-31022-0। (PDF version)
- Ibn Bajja-Stanford Encyclopedia of Philosophy
- Muslim Philosophy on Ibn Bajjah
- Catholic Encyclopedia: Avempace