২০২০-এর হাথরস গণধর্ষণ ও হত্যা
| ২০২০-এর হাথরস গণধর্ষণ ও হত্যা | |
|---|---|
  ২০২০-এর হাথরস গণধর্ষণ ও হত্যা (উত্তর প্রদেশ) | |
| স্থান | হাথরস, উত্তর প্রদেশ, ভারত |
| স্থানাংক | ২৭°৩৬′ উত্তর ৭৮°০৩′ পূর্ব / ২৭.৬০° উত্তর ৭৮.০৫° পূর্ব |
| তারিখ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
| হামলার ধরন | ধর্ষণ, টেনে নিয়ে যাওয়া ও শ্বাসরোধ (ওড়না সহ)[১] |
| নিহত | ১ |
| অভিযুক্ত | সন্দীপ, রামু, লবকুশ ও রবি[২] |
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা | ৪ |
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় চার জন উচ্চবর্ণের পুরুষ ১৯ বছর বয়সী দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। দুই সপ্তাহ ধরে তার জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের পরে তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান।[৩][৪]
ভুক্তভোগীর ভাই দাবি করেছেন যে ঘটনাটি ঘটার পরে প্রথম ১০ দিনে কোনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তার মৃত্যুর পরে, মৃতদেহটি তার পরিবারের সম্মতি ছাড়াই পুলিশ কর্তৃক জোরপূর্বক দাহ করা হয়, তবে পুলিশ তার দাবি অস্বীকার করে।[৫]
ঘটনাটি এবং এর পরবর্তী পরিচালনটি সারাদেশে ব্যাপক ভাবে প্রচার মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং নিন্দিত হয়। নেতাকর্মী ও বিরোধীদের দ্বারা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখা যায়।[৬]
ঘটনা
[সম্পাদনা]ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ঘটনার শিকার হওয়া ১৯ বছর বয়সী দলিত মহিলা গরুর খাবার সংগ্রহের জন্য একটি খামারে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয় এবং আহত অবস্থায় তার গলায় ওড়না জড়িয়ে টেনে নিয়ে যায় ধর্ষকরা। অভিযুক্ত চার ধর্ষক ঠাকুর সম্প্রদায়ের।[৭][৮] মেরুদণ্ডে মারাত্মক আঘাতের কারণে সহিংসতা মহিলাকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ করে। মেয়েটি ধর্ষণের চেষ্টাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে অপরাধীরা তার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিল। তার কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে তার মা ঘটনাস্থলে আসেন এবং মেয়েকে খামারে পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে তাকে চাঁদ পা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পুলিশ তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং পরিবারের বক্তব্য অনুসারে তাদের লাঞ্ছিত করে।[৯][১০] পুলিশ ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি নথিভুক্ত করে।[১১] ২২ সেপ্টেম্বর পুলিশ ঘটনার শিকার হওয়া মহিলার বক্তব্য ধারণ ও নথিভুক্ত করতে সক্ষম হয়।[১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Uttar Pradesh Dalit girl, victim of murder, dies in Delhi hospital"। The Hindu op। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ Jaiswal, Anuja (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Rape survivor moved to Delhi, 'spine damage permanent'"। The Times of India। Times Now Network (TNN)। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Hathras gangrape: Dalit woman succumbs to injuries in Delhi; security beefed up outside hospital amid protests"। The Indian Express। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Johari, Aarefa (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "In videos: How the Dalit woman raped in Hathras was cremated without letting her family say goodbye"। Scroll.in। ২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Halder, Tanseem; Mishra, Himanshu (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Hathras horror: Police, victim's family give contradictory accounts"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Hathras gang-rape: Opposition parties demand resignation of U.P. Chief Minister Yogi Adityanath"। The Hindu। ১ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Impunity in Hathras"। The Indian Express। ১ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Hathras Rape: A Caste Continuum"। Outlook India। ১ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
The men who raped the 19-year-old girl in Hathras are Rajputs/Thakurs, the one community that owns perhaps the largest share of land in rural India. Why are media houses that were so comfortable reporting the victimhood of a Dalit woman so chary about exposing the immense power that dominant castes still hold on to?..........We even saw a ‘Rashtriya Savarna Parishad’ come out in support of the rapists—the ‘betas’ of the community who can never do anything wrong. Boys will be boys. And Thakur boys will be Thakur boys....
- ↑ Nandy, Asmita (১ অক্টোবর ২০২০)। "'This Is All Drama': Accused's Kin on Hathras Dalit Girl's Assault"। The Quint (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Jaiswal, Anuja (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Hathras rape survivor moved to Safdarjung, damage to spine permanent"। Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। TNN। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ DM Hathras [@dm_hathras] (২১ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "इसे पढ़ लीजिए" (টুইট) (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২০ – টুইটার-এর মাধ্যমে।
- ↑ Chaturvedi, Hemendra; Jyoti, Dhrubo; Sunny, Shiv (১ অক্টোবর ২০২০)। "Hathras case: Cops contradict victim's statement"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২০।