হিংকলি পয়েন্ট সি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
হিংকলি পয়েন্ট সি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এইচপিসি) | |
---|---|
দেশ | ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য |
অবস্থান | সোমারসেট, দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যান্ড |
স্থানাঙ্ক | ৫১°১২′২২″ উত্তর ৩°০৮′৩৮″ পশ্চিম / ৫১.২০৬° উত্তর ৩.১৪৪° পশ্চিম |
অবস্থা | নির্মানাধীন |
নির্মাণ শুরু | ১১ ডিসেম্বর ২৯১৮ |
নির্মাণ ব্যয় | £২২ বিলিয়ন থেকে to ২৩ বিলিয়ন[১] |
মালিক | ইডিএফ এনার্জি |
পরিচালক | এনএনবি জেনারেশন কোম্পানি |
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র | |
চুল্লির ধরন | পিডব্লিউআর |
চুল্লী সরবরাহকারী | ফ্রেমেটোম |
বিদ্যুৎ উৎপাদন | |
তৈরি ও মডেল | ইপিআর |
Units planned | ২ × ১,৬৩০ MWe |
তাপীয় ক্ষমতা | ২ × ৪,৫২৪ MWth (পরিকল্পিত) |
নামফলক ধারণক্ষমতা | ও,২৬০ এমডব্লিউe (পরিকল্পিত) |
ওয়েবসাইট www |
হিংকলি পয়েন্ট সি নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন (এইচপিসি) বা হিংকলি পয়েন্ট সি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইংল্যান্ডের সোমারসেটে দুটি ইপিআর চুল্লি সহ ৩,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের একটি প্রকল্প।[২] ব্রিটিশ সরকার ২০১০ সালে ঘোষিত আটটি স্থানের মধ্যে একটি ও ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে একটি পারমাণবিক স্থানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।[৩] ইডিএফ বোর্ড ২০১৬ সালের ২৮শে জুলাই প্রকল্পটি অনুমোদন করে[৪] এবং ইউকে সরকার ২০১৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর বিনিয়োগের জন্য কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করে।[৫] ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, আটটি মনোনীত স্থানের মধ্যে হিংকলি একমাত্র স্থান, যার নির্মাণ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রটির আনুমানিক ৬০ বছরের জীবদ্দশায় রয়েছে, এর আনুমানিক নির্মাণ ব্যয় £১৯.৬ বিলিয়ন থেকে £২০.৩ বিলিয়ন।[৬][৭] ন্যাশনাল অডিট অফিস অনুমান করে যে "স্ট্রাইক প্রাইস" এর অধীনে ভোক্তাদের অতিরিক্ত খরচ (বিদ্যুতের আনুমানিক বাজার মূল্যের উপরে) হবে £৫০ বিলিয়ন, যা "পাইকারি বাজারের মূল্য পরিবর্তনের জন্য দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের সাথে চলতে থাকবে"।[৮] প্রকল্পের অর্থায়ন এখনো চূড়ান্ত করা বাকি আছে, কিন্তু নির্মাণ ব্যয় ফ্রান্সের প্রধানত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইডিএফ ও চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রুপ (সিজিএন) বহন করবে।[৯]
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস অনুযায়ী, হিংকলি ২০২৫ সালের মধ্যে ২০.৩ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে, যা ৩৫ বছরের মেয়াদে অর্থ প্রদান করা হবে।[১০] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি নীতির অধ্যাপক ডিয়েটার হেলমের মতে, "হিংকলি পয়েন্ট সি এর নির্মাণ প্রায় অর্ধেক খরচ হতো, যদি সরকার ২% এ এটি নির্মাণের জন্য অর্থ ধার করত, ইডিএফ-এর মূলধনের খরচের পরিবর্তে, যা ৯% ছিল।"[১১] ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, আরও খরচ শনাক্ত করা হয়েছিল, যা আনুমানিক মোট পরিমাণ £২২.৯ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে আসে এবং কার্যক্রমগুলিকে আরও বিলম্বিত করতে পারে।[১২][১৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের জানুয়ারিতে, যুক্তরাজ্য সরকার নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়।[১৪] হিংকলি পয়েন্ট সি, সাইজওয়েল সি-এর সাথে মিলে ২০২০-এর দশকের প্রথম দিকে ইউকে বিদ্যুতের ১৩% অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।[১৫][১৬] ইপিআর-এর নকশাকার আরেভা প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিলেন, যে মেগাওয়াট প্রতি £২৪ ডলার প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।[১৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Hinkley Point C nuclear plant to open later at greater cost"। ২৭ জানুয়ারি ২০২১ – www.bbc.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Government closes 'historic' deal to build first nuclear plant in a generation"। ITV.com। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Nuclear power: Eight sites identified for future plants"। BBC News। ১৮ অক্টোবর ২০১০। ১৯ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;guardian-20160728
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;govuk-20160915
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Hinkley Point: EDF raises cost estimate for nuclear plant"। BBC News। BBC। ৩ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Cost of Hinkley Point nuclear plant climbs another £1.5 billion to over £20 billion, as project is again delayed"। The Telegraph। ৩ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Hinkley Point's cost to consumers surges to £50 billion"। The Daily Telegraph। ১৮ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Hinkley Point nuclear agreement reached"। BBC News। ২১ অক্টোবর ২০১৫। ২১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Holly Watt (২১ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Hinkley Point: the 'dreadful deal' behind the world's most expensive power plant"। The Guardian।
- ↑ Vaughan, Adam (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Could rising costs at Hinkley Point C end the UK's nuclear ambitions?"। New Scientist।
- ↑ Cook, James (১৫ আগস্ট ২০১৯)। "Questions raised over China's involvement in Hinkley Point after US trade blacklist" – www.telegraph.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ Wood, Vincent। "Spy warning on Chinese nuclear company" – www.thetimes.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ "New nuclear plants get go-ahead"। BBC। ১০ জানুয়ারি ২০০৮। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;new dawn for Uk nuclear power
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Hinkley nuclear power plant recommended for approval"। BBC। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Britain's nuclear strategy exposed at Hinkley Point"। Financial Times। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।