হাসান সোহরাওয়ার্দী
স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী (১৮৮৪ – ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬) হলেন একজন ব্রিটিশ-ভারতীয়-বাঙালি [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] চিকিৎসক, সেনাকর্মকর্তা, রাজনীতিজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ। তিনি নাইট উপাধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন।[১]
জীবনী এবং পরিবার
[সম্পাদনা]তিনি ওবায়দুল্লাহ আল-ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর পুত্র। তিনি সৈয়দ মোহাম্মদ আযাদের কন্যা এবং নওয়াব আব্দুল লতিফের দৌহিত্রী সাহেবজাদী শাহবানু বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র হাসান মাসুদ সোহরাওয়ার্দী (১৯০৩–১৯৬৩) ও এক কন্যা শায়েস্তা সোহরাওয়ার্দী ইকরামুল্লাহ। তিনি সালমা সোবহান, নাজ ইকরামুল্লাহ এবং জর্ডানের রাজকুমারী সারভাথ এর মাতামহ। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক তার ভায়রা ভাই এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তার ভাগ্নে।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি'র অধ্যাপক নিযুক্ত হন। স্যার সোহরাওয়ার্দী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম উপাচার্য ছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন সাইমন কমিশনের পরামর্শ দাতা ও বেঙ্গল আইনসভার সদস্য। ১৯২৩ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এখানকার উপ সভাপতি পদ অলংকৃত করেন।
ভারতীয় পূর্ব রেল এর প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন। রেলওয়ে স্বাস্থ্য ও এম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করেন। ইংল্যান্ডে ইস্ট লন্ডন মসজিদ তৈরীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
সম্মান
[সম্পাদনা]কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিয়ামক থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে বাংলার গভর্নর স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসনকে বিপ্লবী বীণা দাসের গুলির হাত থেকে বাঁচান ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এই সাহসিকতাপূর্ণ কাজের পুরষ্কারস্বরূপ তাকে ১৯৩২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নাইট উপাধি প্রদান করা হয়।[২][৩]
সোহরাওয়ার্দীকে ১৯২৭ সালে জন্মদিনের সম্মাননা তালিকাতে ওবিই নিযুক্ত করা হয়,[৪] কাইজার-ই-হিন্দ পদক, ১৯৩০ সালে একই সম্মাননা তালিকায় প্রথম শ্রেণী।[৫][৬] ১৯৩২ সালের জানুয়ারীতে সেন্ট জন এর সম্মানসূচক আদেশের (ওএসটিজে) একজন সহযোগী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন,[৭] এবং জানুয়ারীর ১৯৩৭-এ সহযোগী কমান্ডার পদে পদোন্নতি হয়েছিলেন স্যার সোহরাওয়ার্দি।[৮][৯] কলকাতা শহরে তার স্মৃতিতে সোহরাওয়ার্দি এভিনিউ নামে একটি রাস্তার নামকরণ হয় ১৯৩৩ সালে তার জীবদ্দশায়।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]১৯৪৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী মারা যান।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rehman Sobhan। "Untranquil Recollections: The Years of Fulfilment"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "শতবর্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতক হবেন বীণা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ "Swarajya magazine and Jaideep Mazumdar spread falsehood about Suhrawardy Avenue in Kolkata"। altnews.in। ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ London Gazette, 2 June 1927
- ↑ London Gazette, 3 June 1930
- ↑ London Gazette, 12 April 1932
- ↑ London Gazette, 1 January 1932
- ↑ London Gazette, 1 January 1937
- ↑ "The London Gazette"। thegazette.co.uk। লন্ডন গেজেট। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭।