বিষয়বস্তুতে চলুন

হাতিগাড়া মুড়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাতিগাড়া মুড়া
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানকুমিল্লা সদর
অঞ্চলকুমিল্লা জেলা
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর

হাতিগাড়া মুড়া বা হাতিগাড়া মন্দির কুমিল্লা জেলা সদরের লালমাই পাহাড় অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির ও বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। হাতিগাড়া মুড়াটি জেলাপ সদরের কোটবাড়ী অঞ্চলের হাতিমারা গ্রামে অবস্থিত।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে ২০১৬ সালের ২৮শে জানুয়ারি লালমাই পাহাড় অঞ্চলে নিয়মিত খনন কাজের আওতায় খনন শুরু করা হয়।[] বেশ কিছুদিন খননের পর একই বছরের ১০ই মার্চ ভুমি থেকে প্রায় ১৪৬ ফুঁট উচ্চতায় এ প্রাচীন মন্দিরটি আবিষ্কৃত হয়। ৯ সদস্যের গবেষক দল ২০জন শ্রমিকের সহয়তায় মোট ৪২ দিন খননের পর মন্দিরের গঠন আবিষ্কার করেন। পরবর্তিতে একে একে এখান থেকে প্রাচীন সভ্যতা ধারণা করা শিলালিপি, মৃৎপত্র ও ভাস্কর্য খন্ডাংশ, প্রাচীন মুদ্রাসহ আবিষ্কৃত হয়।

মন্দিরে প্রাপ্ত শিলালিপি ও এ অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস থেকে প্রাত্নতাত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন এটি একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ মন্দিরটি ৮ম শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়েছিল। ৮ম শতাব্দীর সমসাময়িক সময়ে লালমাই অঞ্চলের কোটবাড়ী এলাকাটি বৌদ্ধ ধর্মীয় যাজকদের অন্যতম সংস্কৃতির একটি অংশ ছিল ও সে সময় এ অঞ্চলে অনেক প্রাচীন স্থানা নির্মাণ করা হয়েছিল।

১৯৫৫ সালের পর থেকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় খননকার্য পরিচালনা করা হয় বিভিন্ন সময় যেটি বর্তমানেও চালু রয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ অঞ্চলে প্রায় ৫৫টি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে যা বিরল। হিসাব অনুসারে ৫৫টি স্থাপনার মধ্যে হাতিগাড়া মুড়াটি ১৩তম স্থাপনা যা খনন করে আবিষ্কার করা হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]