হাতিগাড়া মুড়া
হাতিগাড়া মুড়া | |
---|---|
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | কুমিল্লা সদর |
অঞ্চল | কুমিল্লা জেলা |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
হাতিগাড়া মুড়া বা হাতিগাড়া মন্দির কুমিল্লা জেলা সদরের লালমাই পাহাড় অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির ও বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। হাতিগাড়া মুড়াটি জেলাপ সদরের কোটবাড়ী অঞ্চলের হাতিমারা গ্রামে অবস্থিত।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে ২০১৬ সালের ২৮শে জানুয়ারি লালমাই পাহাড় অঞ্চলে নিয়মিত খনন কাজের আওতায় খনন শুরু করা হয়।[২] বেশ কিছুদিন খননের পর একই বছরের ১০ই মার্চ ভুমি থেকে প্রায় ১৪৬ ফুঁট উচ্চতায় এ প্রাচীন মন্দিরটি আবিষ্কৃত হয়। ৯ সদস্যের গবেষক দল ২০জন শ্রমিকের সহয়তায় মোট ৪২ দিন খননের পর মন্দিরের গঠন আবিষ্কার করেন। পরবর্তিতে একে একে এখান থেকে প্রাচীন সভ্যতা ধারণা করা শিলালিপি, মৃৎপত্র ও ভাস্কর্য খন্ডাংশ, প্রাচীন মুদ্রাসহ আবিষ্কৃত হয়।
মন্দিরে প্রাপ্ত শিলালিপি ও এ অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস থেকে প্রাত্নতাত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন এটি একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ মন্দিরটি ৮ম শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়েছিল। ৮ম শতাব্দীর সমসাময়িক সময়ে লালমাই অঞ্চলের কোটবাড়ী এলাকাটি বৌদ্ধ ধর্মীয় যাজকদের অন্যতম সংস্কৃতির একটি অংশ ছিল ও সে সময় এ অঞ্চলে অনেক প্রাচীন স্থানা নির্মাণ করা হয়েছিল।
১৯৫৫ সালের পর থেকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় খননকার্য পরিচালনা করা হয় বিভিন্ন সময় যেটি বর্তমানেও চালু রয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ অঞ্চলে প্রায় ৫৫টি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে যা বিরল। হিসাব অনুসারে ৫৫টি স্থাপনার মধ্যে হাতিগাড়া মুড়াটি ১৩তম স্থাপনা যা খনন করে আবিষ্কার করা হয়েছে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Pratidin, Bangladesh। "লালমাই পাহাড়ে 'সভ্যতার খোঁজ'"।
- ↑ "লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া মুড়া খননে প্রাচীন স্থাপত্যের সন্ধান - সারাদেশ - The Daily Ittefaq"।
- ↑ "লালমাই পাহাড়ে নতুন প্রত্নস্থান ১৪৬ ফুট উঁচু হাতিগাড়া মন্দির"। ৭ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৬।