স্পেক্টার
স্পেক্টার | |
---|---|
পরিচালক | স্যাম মেন্ডেস |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার |
|
কাহিনিকার |
|
উৎস | ইয়ান ফ্লেমিং কর্তৃক জেমস বন্ড |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | টমাস নিউম্যান |
চিত্রগ্রাহক | হয়টে ভ্যান হয়টেমা |
সম্পাদক | লি স্মিথ |
প্রযোজনা কোম্পানি | ইওন প্রোডাকশন্স |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪৮ মিনিট[১] |
দেশ | |
ভাষা | ইংরেজি স্পেনীয় ইতালীয় জার্মান ফরাসি |
নির্মাণব্যয় | $২৪.৫০ কোটি – ২৫ কোটি [N ১] |
আয় | $৮৮ কোটি ৭ লক্ষ[১০] |
স্পেক্টার জেমস বন্ড চলচ্চিত্র সিরিজের চব্বিশতম চলচ্চিত্র এবং জেমস বন্ডকে নিয়ে নির্মিত ছাব্বিশতম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ইওন প্রোডাকশন্স স্টুডিও দ্বারা নির্মিত হয় আর এর পরিবেশক হল মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার ও কলাম্বিয়া পিকচার্স। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চতুর্থবারের মত ড্যানিয়েল ক্রেইগ জেমস বন্ড ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এটিতে ক্রিস্টফ ভালৎজ প্রথমবারের মত আর্নেস্ট স্ট্যাভ্রো ব্লফিল্ড চরিত্রে অভিনয় করেন। এর আগে আর্নেস্ট স্ট্যাভ্রো ব্লফিল্ড চরিত্রটি জেমস বন্ডের প্রথম দিককার চলচ্চিত্রে দেখা গেছে। এই নিয়ে স্কাইফল-এর পর দ্বিতীয়বারের মত জেমস বন্ড পরিচালনা করেন স্যাম মেন্ডেস। এর চিত্রনাট্য লেখেন জন লোগান, নীল পারভিস, রবার্ট ওয়েড ও জেজ বাটারওর্থ। ছবিটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার। এটি সবচেয়ে বেশি ব্যয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর একটি।
কাহিনী
[সম্পাদনা]গ্যারেথ ম্যালোরি এম পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরপরই জেমস বন্ড এমআই৬ থেকে কিছুদিনের ছুটি নেয়। এসময় বন্ড ম্যালোরির পূর্বসূরী এম-এর মৃত্যুর আগে ধারণকৃত বার্তার উপর ভিত্তি করে মেক্সিকো সিটিতে একটি গোপন অনুসন্ধানে নামে যার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিছুই জানত না। মেক্সিকো সিটিতে মৃতদের দিবস পালনের দিন বন্ড তিনজন সন্ত্রাসীকে তাড়া করে মেরে ফেলে। তারা গোপনে একটি স্টেডিয়ামে বোমা হামলার পরিকল্পনা করছিল। তাদের নেতা মার্কো সায়ারা পালানোর চেষ্টা করে। বন্ড তার পিছু নেয় এবং তাকেও হত্যা করে। তবে মার্কোকে মেরে ফেলার আগে বন্ড তার হাতের আঙ্গুল থেকে একটি আংটি খুলে নেয়। আংটিতে অদ্ভুত রকমের একটি অক্টোপাসের ছবি খোদাই করা ছিল। এরপরে বন্ড লন্ডনে চলে আসে। এম তাকে এই না জানিয়ে অনুসন্ধানের জন্য শাস্তি হিসাবে বন্ডকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করে। এদিকে এম এবং যুগ্ম গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ম্যাক্স ডেনবাই (সি)-এর মধ্যে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে চলে মতাদর্শের সংঘর্ষ। সি নাইন আইস নামে একটি আন্তর্জাতিক নজরদারী ও গোয়েন্দ সংস্থা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্রিটেনের পক্ষ হয়ে প্রচারণা চালায় ও নিজ ক্ষমতাবলে ডাবল ও বিভাগ বন্ধ করে দেয়। সি-এর ধারণা অনুসারে ডাবল ও বিভাগ অচল ও বেশ পুরানো হয়ে গেছে।
বন্ড এম এর আদেশ অমান্য করে রোমে চলে যায় মার্কো সায়ারার অন্তেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে সে মার্কোর স্ত্রী লুসিয়াকে প্রলুব্ধ করে স্পেক্টার-এর ব্যাপারে জেনে নেয়। স্পেক্টার হল কিছু ব্যবসায়ী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি অপরাধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন যার সদস্য মার্কো সায়ারাও ছিল। বন্ড সায়ারার সেই আংটি ব্যবহার করে নিজেকে স্পেক্টারের একজন বলে পরিচয় দিয়ে তাদের একটি গোপন সভায় অনুপ্রবেশ করে। সেই সভায় বন্ড দেখতে পায় সংগঠনের নেতা ফ্রান্স ওবেরহাউজারকে। কিন্তু ওবেরহাউজার বন্ডকে চিনে ফেলে এবং মিস্টার হিনক্স নামে একজন আততায়ী বন্ডের পিছু নেয়। এদিকে মানিপেনি বন্ডকে ফোন করে জানায় যে বন্ড যে তথ্য তাকে দিয়েছিল, সেগুলো মিস্টার হোয়াইট নামের এক ব্যক্তিকে নির্দেশ করে। মিস্টার হোয়াইট কোয়ন্টাম নামে স্পেক্টারের একটি অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিল। পরবর্তীতে সে ওবেরহাউজারের বিরাগভাজন হয় এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বন্ড মানিপেনিকে ওবেরহাউজার সম্পর্কে তদন্ত করতে বলে কেননা এই ওবেরহাউজারকে সবাই এতদিন মৃত জেনে এসেছে।
বন্ড মিস্টার হোয়াইটের খোঁজে অস্ট্রিয়ায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে হোয়াইট থ্যালিয়াম বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। সে কোয়ান্টামের সাথে মনোমালিন্যর কথা বন্ডকে খুলে বলে আর বন্ডকে অনুরোধ করে যেন তার মেয়ে ডক্টর ম্যাডেলিন সোয়ানকে রক্ষা করে। কেননা সোয়ান জানে বন্ডকে স্পেক্টার পর্যন্ত যেতে হলে তাকে কোথায় যেতে হবে। আর সেটা হল "লা আমেরিকান"। হোয়াইট তারপরে আত্মহত্যা করে। বন্ড সোয়ানের কাছে যায় এবং তাকে মিস্টার হিনক্স-এর বাহিনী থেকে রক্ষা করে। এরপরে কিউয়ের সাথে তাদের দেখা হয়। কিউ সায়ারার আংটি পরীক্ষা করে বন্ডের আগের অভিযানগুলোর সাথে একটা যোগসূত্র খুঁজে পায়। লা শিফ্রে, ডমিনিক গ্রীন, রাউল সিলভা সবাই আসলে স্পেক্টারের লোক ছিল। সোয়ান বন্ডকে বলে যে "লা আমেরিকান" হল তানজাহ-এ অবস্থিত একটি হোটেল।
এরপর বন্ড ও সোয়ান হোটেলটিতে পৌঁছায়। সেখানে তারা হোয়াইটের রাখা সূত্র খু্ঁজে পায় যা তাদের ওবেরহাউজারের মরুভূমিতে অবস্থিত মূল ঘাঁটিতে নিয়ে যাবে। এরপরে তারা সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে মিস্টার হিনক্স তাদের আক্রমণ করে এবং বন্ড তাকে মেরে ফেলে। মরুভূমিতে পৌঁছলে, ওবেরহাউজারের লোক তাদেরকে তার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ওবেরহাউজার বলে যে স্পেক্টার এতদিন যুগ্ম গোয়েন্দা সংস্থাকে টাকা দিয়ে এসেছে। তারাই বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলা করেছে, যাতে সবাই "নাইন আইস" সংগঠনে যোগদান করে। আর সি স্পেক্টারকে নাইন আইস-এর সব গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করবে। এর ফলে স্পেক্টার আগের চেয়ে আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। এরপর বন্ডের উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এসময় ওবেরহাউজার তার মূল পরিচয় প্রকাশ করে। বন্ড ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারানোর পর ওবেরহাউজারের বাবা, হ্যান বন্ডের অস্থায়ী অভিভাবক হয়। ওবেরহাউজার বন্ডের প্রতি তার বাবার ভালবাসায় ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে তার বাবাকে খুন করে। আর সে নিজেও মারা গেছে এমনটা সবাইকে মনে করায়। ওবেরহাউজার নিজের নাম পাল্টে ফেলে আর্নেস্ট স্ট্যাভ্রো ব্লফিল্ড রাখে এবং স্পেক্টার প্রতিষ্ঠা করে। বন্ড এবং সোয়ান কারসাজি করে পালিয়ে আসে এবং পুরো ঘাঁটি বোমাবর্ষণে উড়িয়ে দেয়।
শ্রেষ্ঠাংশে
[সম্পাদনা]- জেমস বন্ড চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেইগ
- আর্নেস্ট স্ট্যাভ্রো ব্লফিল্ড চরিত্রে ক্রিস্টফ ভালৎজ
- ডক্টর ম্যাডেলিন সোয়ান চরিত্রে লিয়া সেদুও
- কিউ চরিত্রে বেন হুইশ
- ইভ মানিপেনি চরিত্রে নাওমি হ্যারিস
- মিস্টার হিনক্স চরিত্রে ডেভ বাতিস্তা
- ম্যাক্স ডেনবাই চরিত্রে অ্যান্ড্রু স্কট
- লুসিয়া সায়ারা চরিত্রে মনিকা বেলুচ্চি
- গ্যারেথ ম্যালোরি (কোডনাম - এম) চরিত্রে রেইফ ফাইঞ্জ
- এমআই৬ এর চিফ অব স্টাফ, বিল ট্যানার চরিত্রে ররি কিনিয়ার
- এম (গ্যারেথ ম্যালোরির পূর্বসূরী) চরিত্রে জুডি ডেঞ্চ
টীকা ও তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ স্পেক্টার নির্মাণে কত অর্থ ব্যয় হয়েছে বিষয়টি বেশ বিতর্কিত। ধারণা করা হয় নূন্যতম সাড়ে ২৪ কোটি থেকে ২৫ কোটি[৩][৪][৫][৬] এবং ঊর্ধ্বে ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।[৭][৮] ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে ছবি প্রচারণার জন্য ১০ কোটি ডলারের হিসাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[৯] টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ডলার ও ছবির অন্যান্য প্রচারণার জন্য আরো ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Spectre (12A)"। British Board of Film Classification। ২১ অক্টোবর ২০১৫। ৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ "SPECTRE (2015)"। British Film Institute। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৬।
- ↑ Pamela McClintock (৪ নভেম্বর ২০১৫)। "Box-Office Preview: Spectre and Peanuts Movie to the Rescue"। The Hollywood Reporter। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ Anthony D'Alessandro (৭ নভেম্বর ২০১৫)। "Spectre Now Targeting $73M to $74M Opening; The Peanuts Movie Cracking $40M-$45M – Updated"। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Brent Lang (৪ নভেম্বর ২০১৫)। "Box Office: Spectre Needs to Make $650 Million to Break Even"। Variety। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Ben Fritz (৮ নভেম্বর ২০১৫)। "Spectre, The Peanuts Movie Give Box Office a Welcome Boost"। The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Scott Mendelson (২১ অক্টোবর ২০১৫)। "'Spectre' Doesn't Need To Top 'Skyfall' Because 'James Bond' Is A Bullet-Proof Franchise"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Alicia Adejobi (২৫ অক্টোবর ২০১৫)। "Spectre movie in numbers: Daniel Craig salary, film budget and James Bond theme tune sales"। International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Anthony D'Alessandro (৯ নভেম্বর ২০১৫)। "Even Shy of Skyfall, Spectre Picked Up Sluggish Box Office; Will it Turn a Profit? – Monday Postmortem"। Deadline.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Spectre (2015)"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- স্পেক্টার – প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে স্পেক্টার (ইংরেজি)
- অলমুভিতে স্পেক্টার (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে স্পেক্টার (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে স্পেক্টার (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে স্পেক্টার (ইংরেজি)
- ২০১৫-এর চলচ্চিত্র
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- অস্ট্রিয়ায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- আইম্যাক্স চলচ্চিত্র
- ইংল্যান্ডে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- কলাম্বিয়া পিকচার্সের চলচ্চিত্র
- কল্পকাহিনীতে পিতৃহত্যা
- জন লোগানের চিত্রনাট্য
- নিরাপত্তা ও নজরদারী বিষয়ক চলচ্চিত্র
- প্রতিশোধ বিষয়ক চলচ্চিত্র
- ব্রিটিশ চলচ্চিত্র
- ব্রিটিশ অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র
- ব্রিটিশ ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- মার্কিন অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র
- মার্কিন ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- মরক্কোতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- মেক্সিকো সিটিতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- মোনাকোতে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- রোমে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- লন্ডনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক চলচ্চিত্র
- স্যাম মেন্ডেজ পরিচালিত চলচ্চিত্র
- মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের চলচ্চিত্র
- ইউরোপে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
- লন্ডনের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- জেমস বন্ডের চলচ্চিত্র
- রোমের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ভ্যাটিকান সিটির পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- টোকিওর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ২০১৫-এর অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র
- প্রতিশোধ সম্পর্কে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র
- নিরাপত্তা ও নজরদারি সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- আল্পসের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ২০১৫-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র
- পাইনউড স্টুডিওজে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র