সুলোচনা (রামায়ণ)
সুলোচনা | |
---|---|
অন্যান্য নাম | প্রমীলা |
গ্রন্থসমূহ | রামায়ণের সংস্করণ মেঘনাদ বধ কাব্য |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা |
|
সঙ্গী | মেঘনাদ |
সুলোচনা ( সংস্কৃত: सुलोचना ) হলেন হিন্দু সাহিত্যে বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি চরিত্র। তিনি নাগরাজ শেষের কন্যা এবং রাবণের জ্যেষ্ঠ পুত্র মেঘনাদের (ইন্দ্রজিৎ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। [১] বাল্মীকি রামায়ণে সুলোচনার উল্লেখ নেই। রামায়ণের পরবর্তী সংস্করণে তার নাম দেখা যায়। [২]
সাহিত্য
[সম্পাদনা]রামায়ণের সংস্করণে, স্বামীর মৃত্যুর পর সুলোচনা তার স্বামীর মস্তক গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, লক্ষ্মণ তার পিতা শেষের অবতার। তিনি রামভক্ত ছিলেন। [৩]
মেঘনাদ বধ কাব্য গীতিনাট্যে, প্রমীলাকে ইন্দ্রজিতের স্ত্রী বলা হয়েছে। প্রমীলাকে সুলোচনার অপর নাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
[সম্পাদনা]জিভি সানে পরিচালিত সতী সুলোচনা (1921) সহ বহু চলচ্চিত্রের উৎস তার কিংবদন্তি কাহিনী। নির্বাক চলচ্চিত্র সতী সুলোচনার পর, ১৯৩৪ সালে প্রথম কন্নড় সবাক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এছাড়াও এনটি রামা রাও অভিনীত তেলুগুতে সতী সুলোচনা (১৯৬১) নির্মাণ করা হয়। বাবুভাই মিস্ত্রির হিন্দি ছবি 'সতী নাগ কন্যা'-তে অভিনয় করেছেন বিক্রম গোখলে ও জয়শ্রী গাদকর।
দ্য ব্যালাড অফ সুলোচনা মারাঠি মহিলাদের প্রিয় গীতিনাট্য যা বেশিরভাগ পরিবারে গাওয়া হয়। প্রখ্যাত তামিল পণ্ডিত এস কে রামরাজন বিখ্যাত উপাখ্যান মেগনাধম্ লিখেছিলেন যা ইন্দ্রজিতের পত্নী সুলোচনার চরিত্রের জন্য বিখ্যাত।
কাল্টিস্ট সিমুলেটর ভিডিও গেমে সুলোচনা অমাবস্যা নামে একটি বিশিষ্ট চরিত্র রয়েছেন। পৌরাণিক সুলোচনার মতো, এই চরিত্রটি তার উজ্জ্বল, সম্মোহনী চক্ষু, শান্ত মুখের জন্য সুপরিচিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Das 2005।
- ↑ Singh, Avadhesh K. (২০০৭)। Rāmāyaṇa Through the Ages: Rāma, Gāthā in Different Versions (ইংরেজি ভাষায়)। D.K. Printworld। আইএসবিএন 978-81-246-0416-8।
- ↑ Mittal, J. P. (২০০৬)। History Of Ancient India (a New Version) : From 7300 Bb To 4250 Bc (ইংরেজি ভাষায়)। Atlantic Publishers & Dist। পৃষ্ঠা 204। আইএসবিএন 978-81-269-0615-4।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Valmiki Ramayana Book X. War in Ceylon (Lanka Kanda) translated by Ralph T. H. Griffith (1870–1874)
- Das, Sisir Kumar (২০০৫)। A History of Indian Literature, 500-1399: From Courtly to the Popular (ইংরেজি ভাষায়)। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 978-81-260-2171-0।