সুন্নত নামাজ
সুন্নাত নামায বলতে সাধারণত দৈনিক ১৭ রাকআত ফরয ব্যতীত অন্যান্য সকল নামাযকে বুঝানো হয়। তবে, এখন শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্তের ফরয নামাযগুলোর আগে - পরের নামাযগুলোকে সুন্নাত নামায বলা হয়। যদিও, সুন্নাত নামাযের সংখ্যা এই দৈনিক সুন্নাত নামাযসমূহের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। এগুলোর বাইরেও অনেক সুন্নাত নামায রয়েছে। যেমন: তাহিয়াতুল ওযূ, তাহিয়াতুল মসজিদ, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের নামায। এখানে উল্লেখ্য যে, ফরয নামাযসমূহ ও বিতর নামায যেমন আল্লাহর হুকুমে নবী (সা:) পড়েছেন, ঠিক তেমনিই সুন্নাত নামাযগুলোও নবী (সা:) আল্লাহর হুকুমে পড়েছেন।
সুন্নত নামাজের প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]সুন্নত সেইসকল কাজ যা নবী (সা:) এবং সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু করেছেন । সুন্নত দু’ই প্রকার— ১.সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। ২.সুন্নাতে গায়ের মুয়াক্কাদাহ।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ
[সম্পাদনা]সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ হলো- সেইসকল কাজ যা নবী (সা:) এবং সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু হামেশা করতেন এবং ওযর ব্যতীত কখনো ত্যাগ করেননি। অবশ্য যারা করেনি তাদেরকে সতর্ক করে দেননি। তবে যে ব্যক্তি বিনা ওযরে তা পরিত্যাগ করে এবং ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস করে সে ফাসেক এবং গুনাহগার । নবী (সা:) সাপাহার -এর শাফায়াত থেকে সে বঞ্চিত হবে । অবশ্য ঘটনাক্রমে কোনোটা বাদ গেলে সে অন্য কথা ।
সুন্নাতে গায়ের মুয়াক্কাদাহ
[সম্পাদনা]সুন্নাতে গায়ের মুয়াক্কাদাহ হলো- যে কাজ নবী (সা:) অথবা সাহাবীগণ করেছেন এবং বিনা ওযরে কখনো আবার ছেড়েও দিয়েছেন। এ কাজ করলে খুব সওয়াব না করলে গুনাহ নেই ।
সুন্নাত নামাযসমূহ
[সম্পাদনা]১। সুন্নাত নামাযসমূহের মাঝে সবচেয়ে পরিচিত সুন্নাত নামাযসমূহ হলো ঐসব নামায যেগুলো ফরয নামাযের আগে - পরে পড়া হয়। এগুলোকে সালাতে রাগেবাও বলা হয়। ক. ফজরের ফরযের পূর্বের দুই রাকআত নামায। খ. যোহরের ফরযের পূর্বের চার রাকআত নামায এবং ফরযের পরের দুই রাকআত। গ. মাগরিবের ফরযের পরের দুই রাকআত। ঘ. ইশার ফরযের পরের দুই রাকআত।
২। এগুলো ছাড়াও, ওযূ করার পরের দুই রাকআত নামায বা তাহিয়াতুল ওযূ।
৩। মসজিদে প্রবেশকালীন সময়ে দুই রাকআত নামায বা তাহিয়াতুল মসজিদ।
৪। সালাতুল কুসূফ ও খুসূফ বা চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নামায।
৫। তাহাজ্জুদের নামায।
৬। ইশরাকের নামায প্রভৃতি।
এগুলো ছাড়াও আরও কিছু সুন্নাত নামায রয়েছে।