সাজিদুর রহমান
সাজিদুর রহমান | |
---|---|
মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৯ নভেম্বর ২০২১ | |
পূর্বসূরী | নুরুল ইসলাম জিহাদী |
সহ সভাপতি, আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২ নভেম্বর ২০২১ | |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ ওয়াক্কাস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বেড়তলা, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬৪
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
দাম্পত্য সঙ্গী | হাবিবা বেগম |
সন্তান | ৪ ছেলে, ২ মেয়ে |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | ইসলামি আন্দোলন |
উল্লেখযোগ্য কাজ | জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
এর শিষ্য | শাহ আহমদ শফী |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
সাজিদুর রহমান (জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬৪) একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব[১][২] ও কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শায়খুল হাদিস ও জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]সাজিদুর রহমান ১৯৬৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার অন্তর্গত বেড়তলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ আলী ও মাতা আয়েশা বেগম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার জামাতে ইয়াজদহমে ভর্তি হন। ৩ বছর পর তিনি জেলার সদর থানার অন্তর্গত বিরাসার ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এ মাদ্রাসা থেকে আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড এদারায়ে তালিমিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কেন্দ্রিয় পরীক্ষায় প্রথম স্হান অধিকার করেন। তারপর তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৮৪ সালে এ মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন।[৩][৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। এ মাদ্রাসায় ৩ বছর শিক্ষকতা করার পর তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসায় যোগ দেন। হাটহাজারী মাদ্রাসায় ৩ বছর শিক্ষকতা করে তিনি কাতার গমন করেন। সেখানে ৩ বছর খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুহাদ্দিস হিসেবে নিয়োগ হন। একই বছর তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডায় জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা করেন। বর্তমানে তিনি এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস হিসেবে কর্মরত আছেন। সুফিবাদে তিনি শাহ আহমদ শফীর খলিফা।[৪]
২০২১ সালের ২ নভেম্বর তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন।[৫] ২৯ নভেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হন, ২০২২ সালের স্থায়ী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "হেফাজতের পূর্ণ মহাসচিব হলেন সাজিদুর রহমান"। প্রথম আলো। ৬ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "হেফাজতের মহাসচিব হলেন সাজিদুর রহমান"। সময় টিভি। ৫ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃষ্ঠা ৯০–৯১।
- ↑ ক খ হাসান, আদিয়াত (৩০ নভেম্বর ২০২১)। "হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের কর্মময় জীবন"। আওয়ার ইসলাম।
- ↑ "কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান শায়খ সাজিদুর রহমান"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "মাওলানা সাজিদুর রহমান হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব"। দৈনিক ইনকিলাব। ২৯ নভেম্বর ২০২১।
- ১৯৬৪-এ জন্ম
- দেওবন্দি ব্যক্তি
- বৃহত্তর কুমিল্লার ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যক্তি
- দারুল উলুম হাটহাজারীর শিক্ষার্থী
- সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত
- হানাফি ফিকহ পণ্ডিত
- ২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- বাংলাদেশী ইসলামপন্থী
- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব
- শাহ আহমদ শফীর শিষ্য
- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি
- আল হাইআতুল উলয়ার সহ সভাপতি
- ২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
- জীবিত ব্যক্তি
- বাংলাদেশী ইসলাম ধর্মীয় নেতা
- বাংলাদেশী সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত
- হানাফী ব্যক্তি
- বাঙালি আলেম