সশস্ত্র সীমা বল
সশস্ত্র সীমা বল | |
---|---|
সংক্ষেপ | এসএসবি |
নীতিবাক্য | Service, Security and Brotherhood |
সংস্থা পরিদর্শন | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৬৩ |
কর্মচারী | ৭৬,৩৩৭ সক্রিয় কর্মী[১] |
বার্ষিক বাজেট | ₹ ৪,৯২৯.৯০ কোটি (ইউএস$ ৬০২.৬ মিলিয়ন) (2018-19)[২] |
অঞ্চল কাঠামো | |
যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থা | IN |
পরিচালনার অঞ্চল | ভারত |
পরিচালনা পর্ষদ | স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (ভারত) |
গঠন উপকরণ |
|
সাধারণ প্রকৃতি | |
পরিচালনামূলক কাঠামো | |
প্রধান কার্যালয় | নয়াদিল্লি |
দায়বদ্ধ মন্ত্রী |
|
সংস্থার কার্যনির্বাহক |
|
মাতৃ-সংস্থা | কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী |
ওয়েবসাইট | |
www |
সশস্ত্র সীমা বল (সংক্ষেপে SSB) একটি ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনী, বর্তমানে ভারত-নেপাল ও ভারত-ভুটান সীমা প্রহরার কাজে নিয়োজিত। ভারত-চীন যুদ্ধের পর ১৯৬৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তদানীন্তন অধিকর্তা ভোলানাথ মল্লিক এই সংস্থাটি স্থাপন করেন। তখনকার নাম ছিল স্পেশাল সার্ভিস ব্যুরো। (তবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয় ২৭শে মার্চ।)
প্রাক্তন ভূমিকা
[সম্পাদনা]আগে এসএসবি ছিল ভারতের সরকারি গেরিলা বাহিনী। উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতে বিদেশি আক্রমণে সেনাবাহিনী পরাজিত হয়ে পশ্চাদপসরণ করলে এসএসবি পিছিয়ে থেকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলিতভাবে আগ্রাসী বিদেশি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। মার্কিন গ্রীন বেরেট ও বিভিন্ন ব্রিটিশ স্টে-বিহাইণ্ড গ্রুপের (যথা স্পেশাল এয়ার সার্ভিস, যারা প্রথমদিকে এসএসবিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে) আদর্শে তৈরি হয় এই বাহিনী। কথিত আছে স্পেশাল স্টে-বিহাইণ্ড গ্রুপের সংক্ষেপ হিসেবে প্রথমে এসএসবি শব্দটি চালু হয়। এর নিম্নতম একক ছিল গ্রুপ। গ্রাম থেকে নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক ও এসএসবির সামরিক অংশের জওয়ানদের নিয়ে তৈরি গ্রুপের দায়িত্বে থাকতেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ লিডার। সেসময় ভারতের সমগ্র সীমান্ত এলাকা জুড়ে এসএসবি বহু গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপ চালিয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণেও ভূমিকা ছিল এসএসবির।
প্রশাসনিক কাঠামো
[সম্পাদনা]প্রথমে এসএসবি গঠিত হয় ক্যাবিনেট সচিবালয়ের সুরক্ষা মহাধিকরণের অঙ্গ হিসেবে। পদাধিকারবলে সেসময় সুরক্ষা মহাধিকর্তার দায়িত্ব সামলাতেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা। পরে ১৯৬৮ সালে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যাণ্ড অ্যানালিসিস উইং বা র প্রতিষ্ঠিত হলে র-সচিবকে সুরক্ষা মহাধিকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সুরক্ষা মহাধিকরণে ছিল তিনটি সংস্থা : এসএসবি, এআরসি (অ্যাভিয়েশন রিসার্চ সেন্টার)ও এসএফএফ (স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স)। ২০০১ সালের ১৫ই জানুয়ারি এসএসবিকে ক্যাবিনেট সচিবালয়ের সুরক্ষা মহাধিকরণ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে স্থানান্তরিত করা হয় এবং আগের ভূমিকা পরিবর্তন করে সীমা-প্রহরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আগে এসএসবি-তে ছিল দশটি ডিভিশন বা বিভাগ; তার জায়গায় এখন আছে পাঁচটি ফ্রন্টিয়ার বা সীমান্ত: লখনউ, পাটনা, শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি এবং রানিখেত।
বর্তমান ভূমিকা
[সম্পাদনা]বর্তমানে এসএসবির দায়িত্ব নেপাল ও ভুটান সীমান্তে বেআইনি চলাচল,চোরাকারবারি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকর্ম প্রতিহত করা এবং সীমান্তবাসীদের জন্য নানারকম জনকল্যাণমূলক কাজ করা, যাতে সীমান্তবাসীদের মনে ভারত সরকারের প্রতি আস্থা থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Force Profile- SSB Ministry Of Home Affairs, Govt. Of India"। www.ssb.nic.in। ২৯ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৯।
- ↑ "Info" (পিডিএফ)। www.indiabudget.gov.in। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৯।
- ↑ "Kumar Rajesh Chandra Appointed Director-General of SSB"। business-standard। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "SSB HQ" (পিডিএফ)। ১৩ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০।