শ্রীবৈষ্ণববাদ
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
---|---|
ভারত, নেপাল | |
ধর্ম | |
বৈষ্ণব সম্প্রদায় | |
ধর্মগ্রন্থ | |
বেদ, উপনিষদ্, ভগবদ্গীতা, ব্রহ্মসূত্র, পঞ্চরাত্র, প্রবন্ধম্[২][৩] | |
ভাষা | |
তামিল, সংস্কৃত |
বৈষ্ণব ধর্ম |
---|
নিবন্ধসমূহ |
হিন্দুধর্ম প্রবেশদ্বার |
শ্রীবৈষ্ণববাদ (সংস্কৃত: श्रीवैष्णवसम्प्रदाय) বা শ্রীবৈষ্ণব সম্প্রদায় হলো বৈষ্ণব ঐতিহ্যের একটি সম্প্রদায়।[৪] নামটি দেবী লক্ষ্মী (শ্রী) এবং দেবতা বিষ্ণুকে বোঝায়, যাঁরা একত্রে এই ঐতিহ্যে পূজনীয়।[৫][৬]
প্রাচীন বেদ ও পঞ্চরাত্র গ্রন্থে ঐতিহ্যটির শিকড় খুঁজে পায় যায়, অলবর এবং তাদের শাস্ত্র, নালাইরা দিব্য প্রবন্ধ দ্বারা এটি জনপ্রিয় হয়েছিল।[৭][৮][৯] মতবাদটির প্রতিষ্ঠাতা ঐতিহ্যগতভাবে ১০ম শতাব্দীর নাথমুনি,[১০] এবং মূল হলেন বিশিষ্টাদ্বৈত দর্শনের রামানুজ।[১১][১২] ঐতিহ্যটি ষোড়শ শতকের দিকে দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়। বদকলই সম্প্রদায় বেদ বিশ্বাস করে এবং বেদান্ত দেশিকের মতবাদকে, যেখানে তেনকলই সম্প্রদায় নালাইরা দিব্য প্রবন্ধ কে বিশ্বাস করে এবং মনবল মমুনীগলের নীতি অনুসরণ করে।[১৩][১৪] শ্রীবৈষ্ণব ঐতিহ্যের তেলুগু ব্রাহ্মণরা অন্ধ্র বৈষ্ণব নামে একক স্বতন্ত্র সম্প্রদায় গঠন করে, এবং বদকলই ও তেনকলই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্ত নয়, তামিল আয়েঙ্গারদের মতন।[১৫]
শ্রীবৈষ্ণব সম্প্রদায় ও অন্যান্য বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তাদের বেদের ব্যাখ্যায় নিহিত। যদিও অন্যান্য বৈষ্ণব সম্প্রদায় ইন্দ্র, সবিত্র, ভগ, রুদ্র ইত্যাদি বৈদিক দেবতাদের ব্যাখ্যা করে, পৌরাণিক প্রতিপক্ষের মতো, শ্রীবৈষ্ণবগণ এদেরকে নারায়ণের বিভিন্ন নাম/ভূমিকা/রূপ বলে মনে করে, এইভাবে দাবি করা হয়েছে যে বেদের সম্পূর্ণটিই শুধুমাত্র বিষ্ণু শ্রদ্ধার জন্য নিবেদিত। শ্রীবৈষ্ণবগণ তাদের মধ্যে বৈদিক সূক্তগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পঞ্চরাত্র হোমগুলিকে পুনর্নির্মাণ করেছেন, এইভাবে তাদের বৈদিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একীভূত করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://www.google.co.in/books/edition/Faiths_across_Time_4_volumes/hxjOEAAAQBAJ?hl=en&gbpv=1&dq=&pg=PA884&printsec=frontcover
- ↑ Ranjeeta Dutta 2007, পৃ. 22-43।
- ↑ John Carman ও Vasudha Narayanan 1989, পৃ. 3-8।
- ↑ Matchett 2000, পৃ. 4, 200।
- ↑ Matchett 2000, পৃ. 4, 77, 200।
- ↑ John Carman ও Vasudha Narayanan 1989, পৃ. xvii, 3-4।
- ↑ Lester 1966, পৃ. 266-269।
- ↑ Francis Clooney ও Tony Stewart 2004, পৃ. 167-168।
- ↑ John Carman ও Vasudha Narayanan 1989, পৃ. 3-4, 36-42, 181।
- ↑ Flood 1996, পৃ. 136।
- ↑ Morgan 1953।
- ↑ John Carman ও Vasudha Narayanan 1989, পৃ. 3-4।
- ↑ Mumme 1987, পৃ. 257।
- ↑ Bryant 2007, পৃ. 286-287।
- ↑ Bhattacharya, Jogendra Nath (১৮৯৬)। Hindu Castes and Sects। Thacker, Spink। পৃষ্ঠা 98। আইএসবিএন 1298966337।
The Sri Vaishnavas among the Telingana Brahmans form a distinct caste called Andhra Vaishnava. They are not sub-divided as Vadgala and Tengala like their co-religionists of Dravida
উৎস
[সম্পাদনা]- Bryant, Edwin Francis (২০০৭), Krishna: A Sourcebook, Oxford University Press, আইএসবিএন 978-0-19-803400-1
- John Carman (১৯৭৪)। The Theology of Rāmānuja: An Essay in Interreligious Understanding। Yale University Press। আইএসবিএন 978-0-300-01521-8।
- John Carman; Vasudha Narayanan (১৯৮৯)। The Tamil Veda: Pillan's Interpretation of the Tiruvaymoli। University of Chicago Press। আইএসবিএন 978-0-226-09306-2।
- John Carman (১৯৯৪)। Majesty and Meekness: A Comparative Study of Contrast and Harmony in the Concept of God। Wm. B. Eerdmans। আইএসবিএন 978-0-8028-0693-2।
- Francis Clooney; Tony Stewart (২০০৪)। Sushil Mittal and Gene Thursby, সম্পাদক। The Hindu World। Routledge। আইএসবিএন 978-1-134-60875-1।
- Coward, Harold G. (২০০৮), The perfectibility of human nature in eastern and western thought, আইএসবিএন 9780791473368
- Dalal, Roshen (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide। Penguin Books। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6।
- Ranjeeta Dutta (২০০৭)। "Texts, Tradition and Community Identity: The Srivaisnavas of South India"। Social Scientist। 35 (9/10): 22–43। জেস্টোর 27644238।
- Flood, Gavin D. (১৯৯৬), An Introduction to Hinduism, Cambridge University Press
- Gough, Kathleen (১৯৬৫), Rural Society in Southeast India, Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-0-521-04019-8
- Srinivasan, S.; Mukherjee, D.P. (১৯৭৬)। "Inbreeding among Some Brahman Populations of Tamil Nadu"। Human Heredity। 26 (2): 131–136। ডিওআই:10.1159/000152794। পিএমআইডি 950239।
- Klostermaier, Klaus K. (২০০৭), A Survey of Hinduism (3 সংস্করণ), State University of New York Press, আইএসবিএন 978-0-7914-7081-7
- Lester, Robert C (১৯৬৬)। "Rāmānuja and Śrī-vaiṣṇavism: The Concept of Prapatti or Śaraṇāgati"। History of Religions। 5 (2): 266–282। এসটুসিআইডি 162224010। জেস্টোর 1062115। ডিওআই:10.1086/462526।
- Matchett, Freda (২০০০), Krsna, Lord or Avatara? The relationship between Krsna and Visnu: in the context of the Avatara myth as presented by the Harivamsa, the Visnupurana and the Bhagavatapurana, Surrey: Routledge, আইএসবিএন 978-0-7007-1281-6
- Mayeda, Sengaku (২০০৬)। A thousand teachings : the Upadeśasāhasrī of Śaṅkara। Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 978-81-208-2771-4।
- Morgan, Keneth W. (১৯৫৩), The religion of the Hindus, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন 978-81-208-0387-9
- Mumme, Patricia Y. (১৯৮৭)। "Grace and Karma in Nammāḻvār's Salvation"। Journal of the American Oriental Society। 107 (2): 257–266। জেস্টোর 602834। ডিওআই:10.2307/602834।
- Sharma, Chandradhar (১৯৯৪)। A Critical Survey of Indian Philosophy। Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 978-81-208-0365-7।
- Stoker, Valerie (২০১১)। "Madhva (1238-1317)"। Internet Encyclopedia of Philosophy। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৬।
- Tapasyananda (২০১১), Bhakti Schools of Vedanta, Ramakrishna Mission
- Thurston, Edgar; K. Rangachari (১৯০৯)। "Brahmin"। Castes and Tribes of Southern India Volume I – A and B। Madras: Government Press।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Dictionary of Hindu Lore and Legend (আইএসবিএন ০-৫০০-৫১০৮৮-১) by Anna Dallapiccola
- The Vernacular Veda: Revelation, Recitation, and Ritual (Univ of South Carolina Press, Columbia, South Carolina, U.S.A. 1 January 1994), by Vasudha Narayanan
- Understanding Hinduism, (আইএসবিএন ১৮৪৪৮৩২০১৫), by Vasudha Narayanan