শামস আলী কালান্দার
শামস আলী কালান্দার | |
---|---|
সরদার এ কালান্দার, সুলতান এ আউলিয়া | |
জন্ম | ১৮৭৪~৫ পাঞ্জাব |
মৃত্যু | ৬ সেপ্টম্বর ১৯৬৬ শামসাবাদ, পাকিস্তান |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | ইসলাম বিশেষ করে ওয়াইসিয়া কাদেরিয়া নওশাহি সুফি ত্বরিকা |
যার দ্বারা প্রভাবিত | সুলতান বাহু সিয়াল কুদস সিরাহ |
যাদের প্রভাবিত করেন | ফাতেহ মুহাম্মদ, মৌলভী সাদিক, মিয়া আফজাল, ইব্রাহিম শাহ |
সায়িন ফকির মোহাম্মদ শামস আলী কালান্দার (উর্দু: حضرت سا یں فقیر محمّد شمس علی قلندر) একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক, ফকির ও কালান্দার ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াইসিয়া কাদেরিয়া নওশাহি সুফি ত্বরিকার অনুসারী ছিলেন। তিনি মানুষের মাঝে ইসলামের শিক্ষা এবং আধ্যাত্বিক পথের দীক্ষা প্রচার করতেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]শামস আলী কালান্দারের জজীবন বৃত্তান্ত তেঘ এ বেরাহনা নামক একটি গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।[১] ১৬ বছর বয়সে তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন। তিনি মাহার শরীফের মৌলভী আহমদ বকসের ককাছ থেকে আরবি, ফিকহ, ফার্সি শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি খাজা ফজল হকের তত্ত্বাবধানে মসনবি শরীফ, তোহফাতুল আহরার, মাখযান-আসরার, মাতলাহ-উল-উনওয়ার এবং হাফেজ আবুল হাসানের তত্ত্বাবধানে লোয়ায়ে জামির উপর দীক্ষা গ্রহণ করেন। একই সময় তিনি তাসাউফ এবং মারেফাত এ ইলাহি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। এই সময় খাজা মুঈন উদ্দিন চিশতী আজমিরী, বাবা ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশাকার প্রমুখ আধ্যাত্বিক ব্যক্তিত্ব স্বপ্নে তাকে স্বাক্ষাত প্রদান করেন। একদিন স্বপ্নে ৪র্থ খলিফা আলি ইবনে আবি তালিব তার ডান হাত ধরেন এবং তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। পরবর্তীতে তার মুর্শিদ (পীর) হযরত সুলতান বাহু সিয়াল নওশাহির নির্দেশনায় তিনি মারফাতের বিভিন্ন স্তরে উন্নীত হন। তিনি প্রতি মাসে দুই বার পায়ে হেঁটে প্রায় ৮০ মাইল পথ অতিক্রম করে নিজ মুর্শিদের সাথে স্বাক্ষাত করতে যেতেন। তিনি প্রায় ৮ বছর আপন মুর্শিদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন এবং মারফাতের উচ্চতম শিখরে পৌছেঁ ছিলেন।
তিনি পরবর্তীতে ধুলিয়ানা শরীফ নামে একটি ছোট শহরে চলে যান এবং জীবনের শেষ কয়েকটি বছর তিনি শামসবাদের (পুরাতন নাম: রাম প্রসাদ) একটি মসজিদের পাশবর্তী হুজরায় অতিবাহিত করেন।[২] তাকে কালান্দারি ত্বরিকা গ্রহণ করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছিল।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৬৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ৯৩ বছর বয়সে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শামসবাদে মৃত্যুবরণ করেন।
তার দরবারও (মাজার) পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শামসবাদে অবস্থিত।[৩]
ওরছ
[সম্পাদনা]প্রতি বছর দুইবার তার ওরছ পালন করা হয়। ১ম ওরছ পালিত হয় ১৫ মার্চ এবং ২য় ওরছ পালিত হয় ৬ সেপ্টেম্বর।[৪] ওরছ খুব জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয়। দেশের বিভিন্ন অংশ হতে ভক্ত ও অনুসারীরা তার মাজার জিয়ারত করতে আসেন এবং তারা দোয়া ও দরূদ পাঠ করেন। অধিকাংশ ভক্ত অনুসারীরা ফুলের মালা ও আরবি হরফে খচিত সবুজ চাদর নিয়ে উপস্থিত হন। .[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Saints of islam"। ২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Tegh e Berahna। পৃষ্ঠা 4।
- ↑ "Shrine Map Directory"।
- ↑ ক খ Tegh e Berahna। পৃষ্ঠা 16।