রিও ফার্ডিনান্ড
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রিও গ্যাভিন ফার্ডিনান্ড[১] | ||
জন্ম | [২] | ৭ নভেম্বর ১৯৭৮||
জন্ম স্থান | ক্যাম্বারওয়েল, ইংল্যান্ড | ||
উচ্চতা | ১.৮৯ মি.[৩] | ||
মাঠে অবস্থান | সেন্টার-ব্যাক | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯২–১৯৯৫ | ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৯৫–২০০০ | ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড | ১২৭ | (২) |
১৯৯৬–১৯৯৭ | → বোর্নেমাউথ | ১০ | (০) |
২০০০–২০০২ | লিডস ইনাইটেড | ৫৪ | (২) |
২০০২–২০১৪ | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৩১২ | (৭) |
২০১৪–২০১৫ | কুইন পার্ক রেঞ্জার্স | ১১ | (০) |
মোট | ৫১৪ | (১১) | |
জাতীয় দল | |||
১৯৯৬–১৯৯৭ | ইংল্যান্ড অ-১৯ | ৭ | (০) |
১৯৯৭–২০০০ | ইংল্যান্ড অ-২১ | ৫ | (০) |
১৯৯৭–২০১১ | ইংল্যান্ড | ৮১ | (৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
রিও গ্যাভিন ফার্ডিনান্ড (জন্ম নভেম্বর ৭, ১৯৭৮ লন্ডনের পেকহামে) একজন ইংরেজ ফুটবলার, যার শরীরে বইছে সেইন্ট লুসীয় ও অ্যাংলো-আইরিশ রক্তের মিশ্রণ। তিনি সেন্টার-ব্যাক হিসেবে খেলে থাকেন। বর্তমানে তিনি প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে খেলেন। তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত সদস্য। তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে ৫০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং গত তিন বিশ্বকাপে দলে ছিলেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]ফার্ডিনান্ডের কাজিন ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার লেস ফার্ডিনান্ড এবং তার ভাই এন্টন ফার্ডিনান্ড ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের হয়ে খেলেন।
ওয়েস্ট হ্যাম
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৯২ সালে ফার্ডিনান্ড ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড দলে যোগ দেন। তখনই তার প্রতিভা দিয়ে সকলকে অবাক করেন। সাবেক ওয়েস্ট হ্যাম ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক ববি মুর তার দিকে আকৃষ্ট হন। ১৯৯৬ সালের ৫ মে শেফিল্ড ওয়েডনেজডের বিপক্ষে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে দলে তার অভিষেক হয়, যে খেলায় ওয়েস্ট হ্যাম ১-১ গোলে ড্র করে।
লিডস ইউনাইটেড
[সম্পাদনা]২০০০ সালের নভেম্বরে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ফার্ডিনান্ড লিডস ইউনাইটেড দলে যোগ দেন। এটি ছিল তখনকার একটি যুক্তরাজ্যের দলবদলের রেকর্ড এবং এর মাধ্যমে ফার্ডিনান্ড বিশ্বের সবচেয়ে দামী রক্ষনভাগের খেলোয়াড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০১ সালের আগস্টে তিনি লিডসের অধিনায়ক নির্বাচিত হন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
[সম্পাদনা]২০০২ সালের জুলাই ২২ তারিখে ফার্ডিনান্ড পাঁচ বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে যোগ দেন, যা ছিল তখন বিশ্বে সবচেয়ে বড় অঙ্কের দলবদল। এর ফলে তিনি পুনরায় বিশ্বের সবচেয়ে দামী রক্ষনভাগের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন, যেটি তিনি ২০০১ সালে লিলিয়ান থুরামের কাছে খুইয়েছিলেন। এই দলবদলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৩১.১২ মিলিয়ন খরচ হয় যা মধ্যে লিডস পায় ৩০.৭২ মিলিয়ন।
ফার্ডিনান্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদানের প্রথম মৌসুমেই শিরোপা লাভ করেন। এছাড়া সাম্প্রতিক ২০০৬-০৭ মৌসুমেও তার দল শিরোপার দেখা পায়। তিনি দলের সাথে ২০০৬ সালের লিগ কাপ শিরোপা এবং ২০০৩ সালে লিগ কাপ রানার্স-আপ, ও ২০০৫ সালে এফ.এ. কাপ রানার্স-আপ মেডেল পান।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ফার্ডিনান্ডের মেয়েবন্ধু রেবেকা এলিসনের গর্ভে তাদের সন্তান লরেঞ্জের জন্ম হয় ২০০৬ সালে।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- এফ.এ. প্রিমিয়ার লিগ: ২০০২-০৩, ২০০৬-০৭
- লিগ কাপ: ২০০৬
- পিএফএ বর্ষসেরা দল: ২০০৬-০৭
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Premier League Clubs submit Squad Lists" (পিডিএফ)। Premier League। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। পৃষ্ঠা 23। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "রিও ফার্ডিনান্ড"। ব্যারি হাগম্যান'স ফুটবলার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Player Profile: Rio Ferdinand"। Premier League। ৮ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়
- ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- ইংরেজ ফুটবলার
- ১৯৭৮-এ জন্ম
- এএফসি বোর্নমাথের খেলোয়াড়
- লিডস ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- যুক্তরাজ্যে বর্ণবাদ সম্পর্কিত বিতর্ক
- ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক যুব ফুটবলার
- জীবিত ব্যক্তি
- আইরিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ ব্যক্তি
- ফুটবল সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার
- ইংরেজ ফুটবল লিগের খেলোয়াড়
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী খেলোয়াড়
- ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- ইংরেজ আত্মজীবনীকার
- ইংরেজ চলচ্চিত্র প্রযোজক
- অফিসার্স অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার