মুহম্মদ খান সূর
শামসউদ্দীন মুহম্মদ শাহ গাজী | |
---|---|
সুলতান শমসুদ-দুনিয়া ওয়াদ-দ্বীন আবুল মোজাফফর মুহম্মদ শাহ গাজী[১] | |
আমীন-ই-বাঙ্গালা (বাংলার আমিন) | |
রাজত্ব | ১৫৪৫-১৫৫৩ |
পূর্বসূরি | কাজী ফজিলত |
উত্তরসূরি | শাহবাজ খাঁন সূরী |
শাহ-ই-বাঙ্গালা (বাংলার সুলতান) | |
রাজত্ব | ১৫৫৩-১৫৫৫ |
রাজ্যাভিষেক | ১৫৫৩ |
উত্তরসূরি | গিয়াছউদ্দীন বাহাদুর শাহ |
জন্ম | মুহম্মদ খাঁন সূর |
মৃত্যু | ডিসেম্বর ১৫৫৫ চপরঘটা, সূরী সলতনত |
সমাধি | ১৫৫৫ |
বংশধর | খিজির জলাল |
রাজবংশ | মুহম্মদ শাহী খান্দান |
ধর্ম | ইসলাম |
মুহম্মদ খাঁন সূর (ফার্সি: محمد خان سور; মৃত্যু ১৫৫৫) ছিলেন দিল্লীর সুলতান ইসলাম শাহ সূরীর নিযুক্ত আমীন-ই-বাঙ্গালা (বাংলার আমিন)।[২] ১৫৫৪ সালে সুলতানের ইন্তেকালের বাদে তিনি বাঙ্গালার আজাদী পুনঃকায়েম করেন এবং সুলতান শামসউদ্দীন মুহম্মদ শাহ গাজী (ফার্সি: شمس الدين محمد شاه غازی) নামধারণ করেন।
বাংলার আমিন
[সম্পাদনা]১৫৪৫ খ্রীষ্টাব্দে সুলতান শের শাহ সূরীর ইন্তেকালের বাদে বাঙ্গালার আমীন কাজী ফজিলতের মেয়াদ খতম হয়। সুলতান ইসলাম শাহ সূরীর দিল্লীর মসনদে বসার বাদে মুহম্মদ খাঁন সূরকে আমীন-ই-বাঙ্গালা বা বাঙ্গালার আমীন নিযুক্ত করেন। সুলতানের অধীনে মুহম্মদ খাঁ আট সাল সহি-সলামতে বাংলা শাসন করেন। ১৫৫৩ খ্রীষ্টাব্দে সুলতান ইসলাম শাহ সূরীর ইন্তেকালের বাদে মুহম্মদ খাঁ বাঙ্গালার আজাদী পুনঃকায়েম করেন এবং সুলতান শামসউদ্দীন মুহম্মদ শাহ গাজী নামধারণ করেন।
বাংলার সুলতান
[সম্পাদনা]মুহম্মদ খাঁর বাদশাহীতে আরাকান অঞ্চলটি আবার বাংলার দখলে আসে এবং সেখান থেকে টাকা মুদ্রিত হয়।[৩] নিজের নাম সহিত, টাকায় ইসলামী কলেমা এবং চার ইয়ার আবু বকর, ওমর, ওছমান ও আলীর নাম পাওয়া যায়। এটা মুহম্মদ শাহের সুন্নী আকীদার প্রমাণ করে।[১] তাছাড়া তিনি চাটগাঁ ও ত্রিপুরা জয় করেন এবং তাঁর আধিপত্য বিহার পর্যন্ত স্বীকৃত ছিল।[৪]
হিন্দুস্তান জয় করার খাহেশ মাথায় এসে মুহম্মদ শাহ জৌনপুর জয় করে সূরী সলতনতের রাজধানী দিল্লীর দিকে চলেন। ১৫৫৫ খ্রীষ্টাব্দে তিনি চপরঘটা গ্রামে সুলতান মুহম্মদ আদেল শাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে হিন্দু সেনাপতি হেমুর হাতে ইন্তেকাল করেন।[২]
ওয়ারিশ
[সম্পাদনা]মুহম্মদ শাহের দাফনের বাদে তাঁর বড় সাহেবজাদা খিজির বাংলার মসনদে বসে সুলতান গিয়াছউদ্দীন বাহাদুর শাহ নামধারণ করেন। কিন্তু সুলতান মুহম্মদ আদেল শাহ এই পদটি অস্বীকার করেন এবং শাহবাজ খাঁন সূরীকে তাঁর অধীন বাংলার আমিন নিযুক্ত করেন।[২]
পূর্বসূরী কাজী ফজিলত |
বাংলার আমিন ১৫৪১-১৫৪৫ |
উত্তরসূরী শাহবাজ খাঁন সূরী |
পূর্বসূরী মুহম্মদ আদেল শাহ (দিল্লীর সুলতান হিসাবে) |
বাংলার সুলতান ১৫৪৫-১৫৫৫ |
উত্তরসূরী গিয়াছউদ্দীন বাহাদুর শাহ |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ মুহম্মদ রেজাউল করীম (২০১২)। "মুদ্রা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ ক খ গ KingListsFarEast
- ↑ "Arakan (Burma) Under Afghan rule"। পাঠানদের ইতিহাস। ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ মুহম্মদ ইব্রাহীম (২০১২)। "আফগান শাসন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।