বিষয়বস্তুতে চলুন

মির্জা হুসেন হায়দার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মির্জা হুসেন হায়দার
জন্ম১ মার্চ ১৯৫৪
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাআইনজীবী,বিচারক

মির্জা হুসেন হায়দার (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৫৪) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি।[]

জীবনের প্রথমার্ধ

[সম্পাদনা]

হায়দার ১৯৫৪ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের পূর্ববঙ্গের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলা জন্মগ্রহণ করেন।[] [] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

হায়দার ১৯৭৯ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।[]

তিনি ১৯৮১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হয়।[]

হায়দার ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন।[]

৩ জুলাই ২০০১ সালে হায়দার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেনে নিযুক্ত হয়।[] তিন বছর পর ২০০৩ সালে বিভাগীয় স্থায়ী বিচারক হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।[]

হায়দার ও বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ২০০৯ সালে কর ফাঁকির মামলায় সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকে আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ জারি করেন।[]

২২ মার্চ ২০১২ সালে হায়দার এবং বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার সরকারকে ফেসবুকে ইসলাম বিরোধী সামগ্রী ব্লক করার নির্দেশ দেন।[]

২০১৬ সালে হায়দার হাইকোর্ট বিভাগের দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি ছিলেন।[] হায়দার ৮:ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পদোন্নতি পায়।[]

২০১৯ সালের আগস্টে বকশীগঞ্জে হায়দারের বাসভবনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতিবিদ দ্বারা হামলা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[]

হায়দার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবসর গ্রহণ করেন।[] বিদায়ী ভাষণে তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।[] []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Staff Correspondent। "3 new judges at SC Appellate Division"Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  2. "Judiciary constitutionally independent, but we know reality: Justice Mirza Hussain Haider"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  3. "SC judge's village home vandalised, local AL leader held | Daily Sun"daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  4. "Justice questions judiciary's independence in farewell speech"New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  5. "HC asks Hasnat to surrender before trial court"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  6. "Law and Our Rights"www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  7. Staff Correspondent; bdnews24.com। "Chief Justice swears in three judges to the Appellate Division"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  8. Staff Correspondent (২০২১-০৩-০১)। "'We all know how independent the judiciary really is'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২ 
  9. "Outgoing Supreme Court judge says all know how much judiciary is independent"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২২