মাকুম
মাকুম | |
---|---|
শহর | |
ভারত-এর অসম-এ মাকুমের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°৩০′ উত্তর ৯৫°২৭′ পূর্ব / ২৭.৫° উত্তর ৯৫.৪৫° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অসম |
জেলা | তিনসুকিয়া জেলা |
উচ্চতা | ১২২ মিটার (৪০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ১৫,০৫৮ |
ভাষা | |
• সরকারী | অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মান সময় (ইউটিসি ৫:৩০) |
পিন | ৭৮৬১৭০ |
টেলিফোন কোড | Police Station -03742345557 |
মাকুম (IPA: mɑːkəm) অসমএর তিনসুকিয়া জেলাতে অবস্থিত একটি শহর৷ 'মাকুম' শব্দটি চীনা শব্দের থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ "meeting point"৷ আসলে এই অঞ্চলে অসমএর তিনটি প্রধান শহর তিনসুকিয়া, ডিগবয় ও ডুমডুমা মিলিত হওয়ার জন্য এর নাম মাকুম হয়েছে। তদুপরি এই মাকুমে ৩৭ ও ৩৮ নং জাতীয় সড়ক মিলিত হয়েছে৷ এখানে অবস্থিত মাকুম রেলওয়ে স্টেশন ভারতীয় রেলওয়ের একেবারে পূর্বে অবস্থিত স্টেশন । [১]
মাকুম ডিব্রুগড় লোকসভা সমষ্টির অন্তর্ভুক্ত৷
ভৌগোলিক অবস্থান
[সম্পাদনা]মাকুম ভৌগোলিকভাবে ২৭°৩০′ উত্তর ৯৫°২৭′ পূর্ব / ২৭.৫° উত্তর ৯৫.৪৫° পূর্ব অবস্থিত । এই অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা ১২২ মিটার (৪০০ ফুট)৷ এই শহরটি তিনসুকিয়ার থেকে ৭ কিমি পূর্বে অবস্থিত । এই অঞ্চলটি দাঁতিকাশরের সরু-বড় স্থানসমূহের সাথে সড়ক ও রেলপথের দ্বারা সংযোজিত হয়ে আছে৷
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের লোকগণনা অনুসারে,[২] মাকুমের মোট জনসংখ্যা ১৫,১১৮। [৩] এর ৫৩% পুরুষ আর ৪৭% মহিলা৷ মাকুমের গড় সাক্ষরতার হার ৬৮%৷ এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলার পৃথকভাবে গড় সাক্ষরতার হার হল ৭৩% ও ৬২%৷ মাকুমের জনসংখ্যার ১৩% ছয় বছর বয়সের অনূর্ধ্ব।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]মাকুম একটি উদ্যোগিক শহর৷ এখানে কয়েকটি বড় প্লাইউডের কারখানা ছিল যদিও বর্তমানে প্রায়ই বন্ধ হয়ে আছে৷ তদুপরি মাকুমে ভালো সংখ্যক চা কারখানা আছে৷ অন্যান্য উদ্যোগসমূহ হল, আটা, মোম ইত্যাদি৷ মাকুম শহরের আশে পাশে ভালো সংখ্যক চা বাগান আছে৷
শিক্ষা
[সম্পাদনা]মাকুমে ভালো সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
বিদ্যালয়-
- Ganga Bishan Chowkhani উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গোপালকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়
- রেলওয়ে বিদ্যালয়
মহাবিদ্যালয়-
- মাকুম মহাবিদ্যালয়
অন্যান্য-
বনরক্ষীর প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান
চায়না টাউন
[সম্পাদনা]মাকুম অঞ্চলটিতে একসময়ে ১৮৩০র দশকে চীনের থেকে অহা বহু লোক এসে বসত করেছিল৷ ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের যুদ্ধের সময় এই চায়না টাউন বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ বর্তমানে এই চায়না টাউনে (বর্তমানের চীনাপট্টি) স্থানীয় লোক বসবাস করে যদিও বহু চীনা আর্হির ঘর দেখতে পাওয়া যায়৷ এই চীনা লোকেদের অতীত ও বর্তমান নিয়ে অসমীয়া লেখিকা রীতা চৌধুরী 'মাকাম' নামের একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন৷ [৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ TI Trade (২০১০-০৬-১৭)। "The Assam Tribune Online" (ইংরেজি ভাষায়)। Assamtribune.com। ২০১৩-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-৩০।
- ↑ "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।
- ↑ "Population Finder" (ইংরেজি ভাষায়)। Censusindia.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-৩০।
- ↑ "India's shame"। The Telegraph - Calcutta (Kolkata) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-৩০।