বিজয় ৭১ (যশোর)
বিজয়-৭১ | |
---|---|
শিল্পী | খন্দকার বদরুল আলম নান্নু |
বছর | ২৬ মার্চ, ১৯৯৮ |
বিষয় | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
অবস্থান | যশোর |
২৩°১০′৫২″ উত্তর ৮৯°১১′১৪″ পূর্ব / ২৩.১৮১০৯০১° উত্তর ৮৯.১৮৭১৩০৯° পূর্ব | |
মালিক | যশোর পৌরসভা |
বিজয়-৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য। খন্দকার বদরুল আলম নান্নুর নকশায় নির্মিত স্থাপনাটি যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে অবস্থিত। যশোর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত।[১] ১৯৯৮ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে উদ্বোধন করা হয়।[১][২] এটি শহরের সবচেয়ে বড় ও যশোর জেলার প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য,[৩]
পটভূমি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধারা সর্বপ্রথম যশোর জেলাকে শত্রুমুক্ত করে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে খুলনায় পালিয়েছিল। শত্রুর হাত থেকে যশোর জেলা মুক্ত করা মুক্তিযোদ্ধার জন্য বিশাল গুরুত্ববাহী বিজয় ছিল।[৩] মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়কে স্মরণের জন্য যশোর জেলা প্রশাসন 'বিজয়-৭১' নির্মাণ করে।[১]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]ডান কাঁধে তার ঝোলানো রাইফেল নিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উড়িয়ে যাচ্ছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাম পাশে রাইফেল হাতে দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধা। পাশেই রাইফেল ও হেলমেট উঁচিয়ে উল্লসিত আরও দুই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের একজনের খালি পা, পরনে লুঙ্গি। ত্রিভুজ আকৃতির বেদির ওপর ভাস্কর্যের আরেক দিকে দুহাতে শান্তির পায়রা উড়িয়ে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন এক নারী। মুক্তি আনন্দে তাদের সঙ্গে শরিক গুলতি হাতে এক দুরন্ত কিশোর।[২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "বিজয় '৭১"। কালের কণ্ঠ। ২০২৪-০১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০৬।
- ↑ ক খ রহমান, সাজেদ (২০২৩-১২-১৫)। "ভাস্কর্যের শহর যশোর"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২০২৩-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০২।
- ↑ ক খ গ হ্যাপি, হোসনে আরা (২০২৩-১২-০৪)। "যশোরে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য"। প্রতিদিনের বাংলাদেশ। ২০২৪-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০২।