বিষয়বস্তুতে চলুন

ফিল সিমন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফিল সিমন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ফিলিপ ভার‌্যান্ট সিমন্স
জন্ম (1963-04-18) ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩ (বয়স ৬১)
অ্যারিমা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবাংলাদেশের কোচ
সম্পর্কলেন্ডল সিমন্স (ভাতিজা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯১)
১১ জানুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৭ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫১)
১৬ অক্টোবর ১৯৮৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৩০ মে ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৩-২০০১ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
১৯৮৯-১৯৯০ডারহাম
১৯৯২-১৯৯৩বর্ডার
১৯৯৪-১৯৯৮লিচেস্টারশায়ার
১৯৯৬-২০০০ইস্টার্নস
২০০০-২০০২ওয়েলস মাইনর কাউন্টিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৬ ১৪৩ ২০৭ ৩০৬
রানের সংখ্যা ১,০০২ ৩,৬৭৫ ১১,৬৮২ ৮,৯২৯
ব্যাটিং গড় ২২.২৬ ২৮.৯৩ ৩৫.৬১ ৩৩.১৯
১০০/৫০ ১/৪ ৫/১৮ ২৪/৬৫ ১২/৫৪
সর্বোচ্চ রান ১১০ ১২২ ২৬১ ১৬৬*
বল করেছে ৬২৪ ২,৮৭৬ ১৩,১৯৬ ৯,৬১৬
উইকেট ৮৩ ২১৪ ২১৪
বোলিং গড় ৬৪.২৫ ৩৪.৬৫ ২৮.৬৮ ৩৪.৪৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৩৪ ৪/৩ ৭/৪৯ ৫/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৬/– ৫৫/– ২৪১/– ১৩৭/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

ফিলিপ ভার‌্যান্ট সিমন্স (ইংরেজি: Phil Simmons; জন্ম: ১৮ এপ্রিল, ১৯৬৩) ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’র অ্যারিমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্যরূপে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। পাশাপাশি ডানহাতে বোলিং করতেন ও স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে ক্রিজের পাশে দণ্ডায়মান থাকতেন। তার ভাতিজা লেন্ডল সিমন্সও ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলে খেলছেন। বর্তমানে ফিল সিমন্স বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের দলগুলোর কোচিং করান।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

ওয়েস্ট ইন্ডিজইংল্যান্ডের অনেকগুলো ক্লাব দলের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট দলের হয়ে সুন্দর খেলা প্রদর্শন করেন।

ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজের একদিনের প্রতিযোগিতায় তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। পাকিস্তান দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত, প্রতিযোগিতার ৮ম খেলায় তিনি ১০ - ৮ - ৩ - ৪ বোলিং পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দলের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এরফলে তিনি ৫০ ওভারের নির্দিষ্ট ১০ ওভারের কোটা সম্পন্নের মাধ্যমে একদিনের আন্তর্জাতিকে বোলিংয়ে সেরা ইকোনমি রেটের বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন।[][] ১৯৯৭ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারে ভূষিত করে।

কোচিং

[সম্পাদনা]

২০০২ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হন তিনি। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। কিন্তু দূর্বলতম জিম্বাবুয়ে দলের কোচের দায়িত্ব সঠিক প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিতর্কিত চাকুরীজীবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এসময় অধিকাংশ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ই দলের বাইরে অবস্থান করছিলেন।

২০০৭ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর আয়ারল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব থেকে আদ্রিয়ান বিরেল পদত্যাগ করলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন সিমন্স। মার্চ, ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২৯ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে নিউজিল্যান্ডীয় জন ব্রেসওয়েল তার উত্তরাধিকারী মনোনীত হন।[] ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, তাকে বাংলাদেশ জাতীয় কিক্রেট দলের প্রধান কোচ হিসাবে নিয়োগ দেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/623464.html
  2. http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/65500.html
  3. "John Bracewell Named as Ireland Coach, April 29th 2015"। ২০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ 
  4. "বরখাস্ত হচ্ছেন হাথুরুসিংহে, নতুন কোচ ফিল সিমন্স"দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী:
আদ্রিয়ান বিরেল
আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ
২০০৭-২০১৫
উত্তরসূরী:
জন ব্রেসওয়েল