প্রভাংশু ত্রিপুরা
প্রভাংশু ত্রিপুরা | |
---|---|
জন্ম | খাগড়াছড়ি | ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭
পেশা | লেখক, গবেষক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমী পুরস্কার |
প্রভাংশু ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন লেখক ও গবেষক । ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতি তার গবেষণার মূল বিষয় হলেও তিনি উপন্যাস, নাটক, গান ও ছোটগল্প প্রভৃতি বিষয়ের উপর অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন। ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এ ভূষিত হন।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]প্রভাংশু ত্রিপুরা ১৯৫৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ির মদনসোহন কার্বারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সন্দ মোহন ত্রিপুরা এবং মাতা কুমুদীনি ত্রিপুরা। গ্রামেই তার পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। পরবর্তীতে পানছড়ি বাজার, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট হাইস্কুল, পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এবং খাগড়াছড়ি বেসরকারি ডিগ্রী কলেজে পড়ালেখা শেষ করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় তিনি খুব অল্প বয়সেই কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে বেতার উপস্থাপক হিসাবে তার কর্মজীবনের পথচলা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে সিনিয়র প্রযোজক পদে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে মুখ্য প্রযোজক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্য চর্চা
[সম্পাদনা]স্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ইতিহাস, সমাজ, সংস্কৃতি, কবিতা, নাটক, গান ইত্যাতি বিষয় নিয়ে সাহিত্য রচনা করার ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি সাহিত্য সাধনা করে আসছেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ
[সম্পাদনা]প্রভাংশু ত্রিপুরা গবেষক হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের নন্দিত সমাজ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিষয় নিয়ে এ পর্যন্ত ২৫টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। পাঠক সমাজকে উপহার দিয়েছেন মূল্যবান ও অজানা তথ্য। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো-
- ককবরক আদিশিক্ষা,
- ত্রিপুরা জাতি ও সংস্কৃতি,
- ত্রিপুরা লোককাহিনী,
- ত্রিপুরা জাতির মাণিক্য উপাখ্যান,
- ত্রিপুরা জাতির মানসসম্পদ,
- ত্রিপুরা জাতির লোকসঙ্গীত,
- ত্রিপুরা আর্য়ুবেদ ও বৈদ্যশাস্ত্র,
- ত্রিপুরা তন্ত্রসার,
- পার্বত্য অঞ্চলের ত্রিপুরা লোকালয় পরিচিতি,
- ত্রিপুরা লোকাচার ও গার্হস্থ্যবিধি,
- গল্প সংকলন ভাগ্য বিড়ম্বনা,
- ধর্মীয় নাটক ঈশারা,
- প্রবন্ধ বিচিত্রা,
- ককবরক গীতি সংকলন খুম সাংদারি,
- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ইতিহাস ও কয়েক খণ্ডের ত্রিপুরা লোককাহিনী প্রভৃতি।
পুরস্কার
[সম্পাদনা]২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এ ভূষিত হন। এছাড়া ২০১০ সালে রকি সাহিত্য পুরস্কারেও ভূষিত হন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা"। তাসমিমা হোসেন। দৈনিক ইত্তেফাক।
- ↑ "শ্রেষ্ঠ গল্পকার পদক পেলেন প্রভাংশু ত্রিপুরা"। prothom-alo.com। ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৮।