পিচ
আড়ু | |
---|---|
আড়ু | |
আড়ু | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
গোষ্ঠী: | ফারবিডস |
বর্গ: | রোজালেস |
পরিবার: | রোজাসিয়া |
গণ: | Prunus |
Subgenus: | Prunus subg. Amygdalus (L.) Batsch 1801 not Stokes 1812 nor (L.) Siebold & Zucc. 1845[১] |
প্রজাতি: | P. persica |
দ্বিপদী নাম | |
Prunus persica (L.) Batsch 1801 not Stokes 1812 nor (L.) Siebold & Zucc. 1845[১] | |
প্রতিশব্দ[২] | |
Synonymy
|
আড়ু বা সতালু (Prunus persica) তারিম বেসিন এবং কুনলুন পর্বতমালার উত্তর ঢালু অঞ্চলের মধ্যবর্তী উত্তর-পশ্চিম চীনা অঞ্চলের একটি পাতলা গাছ, যা এখানে প্রথম চাষ করা হয়েছিল। এর জন্মস্থান উত্তর চীন হিসাবে বিবেচিত হয়। পিচ ফলটি শীতপ্রধান এলাকায় ভালো জন্মে। ইংরেজি নাম Peach, এই নামেই এদেশেও পরিচিত হয়ে উঠেছে। পিচ গাছ মাঝারি আকারের বৃক্ষ, পাতা অনেকটা ডালিম পাতার মতো দেখতে। পাতার গোড়ায় অনেক ছোট ছোট পাতা থাকে। ফুলের রঙ লাল বা গোলাপি। ফল দেখতে ডিম্বাকার তবে মুখটা আমের মতো বাকানো ও সুচালো। কাঁচা ফলের রঙ সবুজ পাকলে হালকা হলুদের ওপর লাল আভা সৃষ্টি হয়। কাঁচা ফল শক্ত, খোসা খসখসে। কিন্তু পাকলে নরম হয়ে যায় ও টিপ দিলে সহজে ভেঙে যায়। পাকা ফলের রসালো শাঁস হালকা হলুদ ও ভেতরের দিকে লাল, শাঁসের স্বাদ টক। ফলের মধ্যে খয়েরি রঙের একটা শক্ত বিচি থাকে। পিচ ফল পাকে মে - জুন মাসে। পিচ ফল এক কেজি ফল থেকে প্রায় ৪৭০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। সাভার, গাজীপুর, সৈদয়পুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম ইত্যাদি এলাকায় বেশ কিছু পীচ ফলের গাছ চোখে পড়ে।দেশের বিভিন্ন স্থানে পিচ ফল নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।[৩]
সুবিধা
[সম্পাদনা]এই ফলগুলিতে কুইনিক, টারটারিক, সাইট্রিক এবং ম্যালিক সহ ভিটামিন, চিনি, প্যাকটিন এবং জৈব অ্যাসিডগুলির পরিমাণ বেশি। প্যাকটিনস এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি শরীরকে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। বি ভিটামিনগুলির উচ্চ উপাদান, এ, পিপি, কে, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, , ক্যালসিয়াম, ফ্লোরিন, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ফসফরাস সহ খনিজগুলির মোটামুটি বড় তালিকা অ্যালুমিনিয়াম, সালফার রক্তাল্পতা সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অবদান রাখে। চিকিত্সকরা রক্তাল্পতা এবং কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগগুলি, নিউরোডার্মাটাইটিস, হাঁপানি, ফ্লু এবং আরও অনেক রোগের জন্য পিচের রস লিখে দেন। পিচ ফলের মধ্যে থাকা আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থিকে স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে যা দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জন্য দায়ী।এছাড়াও পিচ এর বহুবিধ ঔষধি ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। পিচ তেল বীজ থেকে প্রাপ্ত হয়, যা প্রসাধনী এবং ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "IPNI Plant name Query Results"। ipni.org। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "The Plant List, Prunus persica (L.) Batsch"। ১০ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২১।
- ↑ "দেশের মাটিতে চাষযোগ্য কয়েকটি বিদেশী ফলের পরিচিতি | Sahos24.com | Online Newspaper"। archive.sahos24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১২।
- ↑ https://bn.crushingplants.info/5829-peach-growing-and-care.html।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]