বিষয়বস্তুতে চলুন

নিম্ন মহাশিরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিম্ন মহাশিরা
ডান অলিন্দবাম অলিন্দমহাধমনীডান নিলয়বাম নিলয়ঊর্ধ্ব মহাশিরাফুসফুসীয় ধমনীফুসফুসীয় শিরাফুসফুসীয় কপাটিকাত্রিপত্র কপাটিকাদ্বিপত্র কপাটিকামহাধামনিক কপাটিকানিম্ন মহাশিরাপেরিকার্ডিয়াম
উন্মুক্ত হৃৎপিণ্ডের সামনের দৃশ্য। চিত্রে সাদা অ্যারো চিহ্ন রক্ত প্রবাহের দিক নির্দেশ করছে
উচ্চতর ভেনা ক্যাভা, নিম্ন মহাশিরা, অ্যাজাইগাস শিরা এবং এদের উপশাখাগুলো
বিস্তারিত
উৎসসাধারণ ইলিয়াক শিরা
লাম্বার শিরা
টেস্টিকুলার শিরা
বৃক্কের শিরা
সুপ্রারেনাল শিরা
হেপাটিক শিরা
সমাপ্তির স্থলডান অলিন্দ
ধমনীউদরের মহাধমনী
শনাক্তকারী
লাতিনvena cava inferior
আদ্যক্ষরাIVC
মে-এসএইচD014682
টিএ৯৮A12.3.09.001
টিএ২4991
এফএমএFMA:10951
শারীরস্থান পরিভাষা

নিম্ন মহাশিরা ( IVC) হলো একটি বৃহৎ শিরা যা নিচের এবং মাঝের শরীর থেকে অক্সিজেনবিহীন রক্ত হৃৎপিণ্ডের ডান অলিন্দে নিয়ে যায়। এটি পঞ্চম কটিদেশীয় কশেরুকার লেভেলে ডান এবং বাম সাধারণ ইলিয়াক শিরার একত্রীকরণের মাধ্যমে গঠিত হয়।[][]

নিম্ন মহাশিরাটি দুইটি ভেনা ক্যাভার মধ্যে নিম্নতর। ভেনা ক্যাভা হলো দুইটি বৃহৎ শিরা যা দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেনবিহীন রক্ত হৃৎপিণ্ডের ডান অলিন্দে নিয়ে আসে। নিম্ন মহাশিরা শরীরের নীচের অর্ধেক থেকে রক্ত বহন করে এবং উচ্চতর ভেনা ক্যাভা শরীরের উপরের অর্ধেক থেকে রক্ত বহন করে। ভেনা ক্যাভা দুটি একত্রে (এ ছাড়াও আছে করোনারি সাইনাস,যার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড নিজের পেশীতে রক্ত সরবরাহ করে) শিরাস্থ প্রতিরূপ গঠন করে।

কাঠামো

[সম্পাদনা]

নিম্ন মহাশিরা, বাম এবং ডান সাধারণ ইলিয়াক শিরার যোগদানের মাধ্যমে গঠিত হয় এবং রক্তকে হৃৎপিণ্ডের ডান অলিন্দে নিয়ে আসে। এটি অ্যাজাইগাস শিরা এবং শিরা জালকের সাথেও যোগদান করে।

এটি উদরের পিছনে পঞ্চম কটিদেশীয় কশেরুকার লেভেলে বাম এবং ডান সাধারণ ইলিয়াক শিরা হিসাবে বিভক্ত হয়।

উপশাখা

[সম্পাদনা]

উপশাখাগুলোর স্তরগুলো নিম্নরূপ:

স্তর শিরা
টি 8 হেপাটিক শিরা, নিম্নতর ফ্রেনিক শিরা
এল 1 ডান সুপ্রারেনাল শিরা, রেনাল শিরা
এল 2 ডান গোনাডাল শিরা
এল 1 – এল 5 কটিদেশীয় শিরা
এল 5 সাধারণ ইলিয়াক শিরা

বিকাশ

[সম্পাদনা]

ভ্রূণে, নিম্ন মহাশিরা এবং ডান অরিকল নিম্ন মহাশিরা কপাটিকা দ্বারা পৃথক হয়। কপাটিকাটি ইউস্টেশিয়ান কপাটিকা নামেও পরিচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, এই কপাটিকা সাধারণত পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায় অথবা এন্ডোকার্ডিয়ামের একটি ছোট ভাঁজ হিসেবে থেকে যায়।[]

ভিন্নতা

[সম্পাদনা]

খুব কমক্ষেত্রেই, নিম্ন মহাশিরা এর আকার এবং অবস্থানে পরিবর্তিত হয়। কখনো কখনো মহান ধমনীগুলো স্থানান্তরের সময় নিম্ন মহাশিরা বাম দিকে পড়ে থাকতে পারে। ০.২% থেকে ০.৩% মানুষের ক্ষেত্রে,[] নিম্ন মহাশিরা বৃক্কের শিরার নিচে চলে যেতে পারে।[]

ক্লিনিকাল গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

নিম্ন মহাশিরা হলো একটি শিরা । এটি দেহের নিচের অর্ধেক থেকে অক্সিজেনবিহীন রক্ত হৃৎপিণ্ডের ডান অলিন্দে নিয়ে আসে। []

উল্লেখ্য, শরীরের উপরের অর্ধেক থেকে অক্সিজেনবিহীন রক্ত বহন করে এমন শিরাটি হল উচ্চতর ভেনা ক্যাভা

অতিরিক্ত চিত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mozes, GEZA; Gloviczki, PETER (২০০৭-০১-০১), Bergan, John J., সম্পাদক, "CHAPTER 2 - Venous Embryology and Anatomy", The Vein Book (ইংরেজি ভাষায়), Burlington: Academic Press, পৃষ্ঠা 15–25, আইএসবিএন 978-0-12-369515-4, ডিওআই:10.1016/b978-012369515-4/50005-3, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২ 
  2. Dardis, Ronan M.; Saxena, Amar; Shad, Amjad; Chitnavis, Bhupal; Gullan, Richard (২০১২-০১-০১), Quiñones-Hinojosa, Alfredo, সম্পাদক, "Chapter 154 - Disc Replacement Technologies in the Cervical and Lumbar Spine", Schmidek and Sweet Operative Neurosurgical Techniques (Sixth Edition) (ইংরেজি ভাষায়), Philadelphia: W.B. Saunders, পৃষ্ঠা 1777–1788, আইএসবিএন 978-1-4160-6839-6, ডিওআই:10.1016/b978-1-4160-6839-6.10154-6, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২ 
  3. Turhan Yavuz; Nazli, C; Kinay, O; Kutsal, A (২০০২)। "Giant Eustachian Valve: with Echocardiographic Appearance of Divided Right Atrium"Texas Heart Institute Journal29 (4): 336–8। পিএমআইডি 12484622পিএমসি 140300অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  4. Stavropoulos, S. William; Solomon, Jeffrey A. (২০১১-০১-০১), Pretorius, E. Scott; Solomon, Jeffrey A., সম্পাদকগণ, "Chapter 30 - Inferior Vena Cava Filters", Radiology Secrets Plus (Third Edition) (ইংরেজি ভাষায়), Philadelphia: Mosby, পৃষ্ঠা 223–227, আইএসবিএন 978-0-323-06794-2, ডিওআই:10.1016/b978-0-323-06794-2.00030-4, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২ 
  5. Gray's anatomy : the anatomical basis of clinical practice (40th সংস্করণ)। Churchill Livingstone। ২০০৮। আইএসবিএন 978-0-8089-2371-8 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]