নারীবাদী আন্দোলন
নারীবাদ |
---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ |
নারীবাদী আন্দোলন বা নারী আন্দোলন বলতে সন্তানধারণ সংক্রান্ত অধিকার, গৃহ নির্যাতন, মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারীদের সমান বেতন, নারীদের ভোটাধিকার, যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতার মতো বিষয়গুলি সংস্কারের উদ্দেশ্য কতগুলি ধারাবাহিক রাজনৈতিক প্রচারাভিযানকে বোঝায়। জাতি ও সম্প্রদায়ভেদে এই আন্দোলনের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন কোনও দেশে নারীর যৌনাঙ্গহানির মতো ব্যাপারটির বিরোধিতা করা হতে পারে, আবার অন্য কোনও দেশে "কাচের ছাদ"-এর মতো ব্যাপারগুলি বিরোধিতার প্রধান উৎস হতে পারে।
পশ্চিমা বিশ্বের অংশবিশেষে নারীবাদী আন্দোলন তিনটি তরঙ্গের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। প্রথম তরঙ্গের নারীবাদ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্বেতাঙ্গ নারীদের সামাজিক অবস্থানকেন্দ্রিক ছিল এবং এসময় তাদের ভোটাধিকার ও পুরুষদের সাথে রাজনৈতিক সমতা অর্জনের ব্যাপারগুলির উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। দ্বিতীয় তরঙ্গের নারীবাদ নারীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যগুলির বিরুদ্ধে অধিকতর প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। প্রথম তরঙ্গের নারীবাদে মূলত মধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ নারীরা অংশগ্রহণ করলেও দ্বিতীয় তরঙ্গে অশ্বেতাঙ্গ নারী এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের নারীরা সংহতির লক্ষ্যে একত্রিত হন।[১] একবিংশ শতকেরর প্রারম্ভে এসে তৃতীয় তরঙ্গের নারীবাদ শুরু হয় এবং এগুলিতে নারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের মতো ব্যাপারগুলি গণ্য করার পাশাপাশি রাজনীতি ও গণমাধ্যমগুলিতে নারীর প্রভাব অধিকতর বৃদ্ধি করার মতো ব্যাপারগুলিতে নতুন করে প্রচারাভিযান চালানো হয়। নারীদের সন্তানধারণ সংক্রান্ত অধিকারসমূহ, বিশেষ করে গর্ভপাতের অধিকার ধরে রাখার ব্যাপারে নারীবাদীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। চতুর্থ তরঙ্গের নারীবাদ ক্ষমতার আন্তঃসংযুক্ত ব্যবস্থাগুলি কীভাবে সামাজিক স্তরীভবন ঘটিয়ে ঐতিহ্যগতভাবে প্রান্তিকায়িত দলসমূহের সৃষ্টি করে, সে ব্যাপারটির উপরে জোর দেয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rampton, Martha (অক্টোবর ২৫, ২০১৫)। "Four Waves of Feminism"। www.pacificu.edu। ২০১৫-১১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।