নওয়াগাং নদী
নওয়াগাং নদী | |
নয়াগাঙ নদী | |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
রাজ্য | মেঘালয় |
অঞ্চল | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সুনামগঞ্জ জেলা |
উৎস | খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় |
মোহনা | সুরমা নদী |
দৈর্ঘ্য | ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) |
নওয়াগাং নদী বা নয়াগাঙ নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] নদীটি ভারতের মেঘালয় এবং বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩৮ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক নয়াগাঙ নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৪৪।[২]
অন্যান্য তথ্য
[সম্পাদনা]নওয়াগাং নদী অববাহিকার আয়তন ৩০ বর্গকিলোমিটার। নদীটির সর্বোচ্চ গভীরতা ৫ মিটার, এই গভীরতা উরুরগাঁও থেকে পরিমাপকৃত। এই নদীতে ১২ মাস পানিপ্রবাহ থাকে। ফেব্রুয়ারিতে কম প্রবাহ থাকে, তখন প্রবাহের পরিমাণ ১ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। কিন্তু জুলাই-আগস্টে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ ঘসেন্টিমিটার/সেকেন্ড পৌঁছায়। নদীটিতে জোয়ার ভাটার প্রভাব নেই। এই নদীর তীরে টেংরাটিলা অবস্থিত।[৩]
উৎপত্তি ও প্রবাহ
[সম্পাদনা]নওয়াগাং নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা শহিদ স্মৃতিসৌধের নিকট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই নদীর ডানদিকের উপনদী হচ্ছে উমফুঙ নদ এবং বাম দিকের উপনদী হচ্ছে উমিয়াম নদীর শাখা বড়খাল। এরপর আরো দক্ষিণে এই নদীর ডানদিকের উপনদী হচ্ছে বোগলা নদী। সীমান্ত থেকে এই নদী প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সুরমা নদীতে মিলেছে।[৩][৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২০০-২০১। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ক খ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২৩৮-২৩৯।
- ↑ ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ৫৬।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |