বিষয়বস্তুতে চলুন

নয়আনী জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নয়আনী জমিদার বাড়ি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাশেরপুর জেলা
অবস্থান
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীনয়আনী জমিদার

নয়আনী জমিদার বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলা সদরে অবস্থিত তৎকালীন একটি জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়িটি বর্তমানে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ২০১৪ সালে স্থাপনাবিহীন এই পুরাকীর্তিকে প্রত্নতত্ত্বের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে।[][]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আনুমানিক উনিশ শতকের শুরুর দিকে অথবা আঠারোশ' শতকের শেষের দিকে নয়আনী জমিদার বাড়িটি স্থাপন করা হয়ে থাকে। তৎকালীন সময়ে বাড়িটির চারপাশে জলাধার দিয়ে ঘেরা ছিলো ও আশেপাশে প্রার্থনার উদ্দেশ্যে আরও বেশ কয়েকটি মন্দিরও নির্মাণ করা হয়েছিলো। এছাড়াও এর পাশেই ছিলো রঙ মহল। উপমহাদেশে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ও ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় নয়আনীর তৎকালীন জমিদার বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারত চলে যান।

১৯৪৭ সালের পর থেকে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। এরপর ১৯৬৪ সালে শেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে নয়আনী জমিদার বাড়ি ও এর রঙমহল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত করে সেটি ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জমিদার বাড়িটি প্রথমে শেরপুর মহকুমা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ৯০-এর দশকের শুরুর দিকে জমিদার বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলা হয় ও সেখানে নতুন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন তৈরি হয়।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ময়মনসিংহ বিভাগের পুরাকীর্তি"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের জুন সংখ্যার ‘প্রত্নচর্চা’ সংকলনের ৭৯নং পৃষ্ঠায় শেরপুরের তিনটি অবকাঠামোকে সংরক্ষিত প্রত্নতত্ত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।