বিষয়বস্তুতে চলুন

ট্রেভর বেলিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ট্রেভর বেলিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ট্রেভর হার্লি বেলিস
জন্ম (1962-12-21) ২১ ডিসেম্বর ১৯৬২ (বয়স ৬১)
গোলবার্ন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ স্পিন
ভূমিকাব্যাটসম্যান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৫-১৯৯৭নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৮ ৫০
রানের সংখ্যা ৩,০৬০ ১,১৯৬
ব্যাটিং গড় ৩৫.৫৮ ২৯.৯০
১০০/৫০ ৫/১৫ ১/৬
সর্বোচ্চ রান ১৬৩ ১০৪*
বল করেছে ৫৩৮ ২৩৯
উইকেট
বোলিং গড় ২৬.৫০ ৩৩.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৪/৬৪ ২/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪১/০ ১৫/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ট্রেভর হার্লি বেলিস (ইংরেজি: Trevor Bayliss; জন্ম: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৬২) নিউ সাউথ ওয়েলসের গুলবার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট কোচ ও সাবেক খেলোয়াড়। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলে খেলেছেন ট্রেভর বেলিস। বর্তমানে তিনি বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পাঞ্জাব কিংস দল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। ২৬ মে, ২০১৫ তারিখে তাকে ইংল্যান্ড দলের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত করা হয়।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৮৫ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। এরপর তিনি সিডনিতে চলে যান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৮টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে ৩৫.৫৮ গড়ে তিন সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসে থাকা অবস্থায় দুই সেঞ্চুরিসহ ৯৯২ রান তোলেন।[]

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিয়ে কোচ হিসেবে নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সম্পৃক্ত করেন। নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডেভেলাপমেন্ট অফিসার মনোনীত হন ও দ্বিতীয় একাদশকে বেশ কয়েক বছর পরিচালনা করেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে স্টিভ রিক্সনের পরিবর্তে নিউ সাউথ ওয়েলসের কোচ মনোনীত হন ও দলকে পুরা কাপের ফাইনালে কুইন্সল্যান্ডকে ১ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা লাভে সহায়তা করেন। পরের মৌসুমে ট্রফি লাভে সক্ষম না হলেও আইএনজি কাপ জয় করে।

২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময়ে শ্রীলঙ্কা দল ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে রানার্স-আপ হয়। উভয় দলই টুয়েন্টি২০ লিগের শিরোপা লাভ করেছিল। আগস্ট, ২০০৭ সালে টম মুডি’র স্থলাভিষিক্ত হয়ে শ্রীলঙ্কা দলকে পরিচালনা করেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দল নির্বাচকমণ্ডলীর কর্মকর্তা ও সাবেক অধিনায়ক অরবিন্দ ডি সিলভা, রঞ্জন মাদুগালে, মাইকেল তিসেরা, সিদ্ধার্থ ওয়েতমুনিবান্দুলা ওয়ার্নাপুরা’র সুপারিশক্রমে কুইন্সল্যান্ড বুলসের কোচ টেরি অলিভারকে পাশ কাটিয়ে তিনি এ মনোনয়ন পান।

২০০৮-০৯ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে দলের সাথে ভ্রমণে থাকা অবস্থায় সশস্ত্র আক্রমণে শুরুতে তাকে আহত মনে করা হলেও পরবর্তীকালে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।[]

সময়কাল দল
২০০৪-০৭ নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট দল
২০০৭-১১ শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল
২০১১-১৫(২০১২-১৪) সিডনি সিক্সার্স
কলকাতা নাইট রাইডার্স
২০১৫-বর্তমান ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Brettig, Daniel (মে ২৬, ২০১৫)। "Trevor Bayliss a shrewd investment by England"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ মে ২৭, ২০১৫ 
  2. "Trevor Bayliss: Australia"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১২ 
  3. "Sri Lankan cricketers attacked in Lahore"Sky News। ২০০৯-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৩ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী
টম মুডি
শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ
২০০৭-২০১১
উত্তরসূরী
জিওফ মার্শ
পূর্বসূরী
পিটার মুরেজ
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ
২০১৫-
উত্তরসূরী
নির্ধারিত হয়নি