বিষয়বস্তুতে চলুন

জাস্টিন ক্যাম্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাস্টিন ক্যাম্প
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জাস্টিন মাইলস ক্যাম্প
জন্ম (1977-10-02) ২ অক্টোবর ১৯৭৭ (বয়স ৪৭)
কুইন্সটাউন, ইস্টার্ন কেপ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামক্যাম্পি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৭৯)
২০ জানুয়ারি ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৩)
১৪ জানুয়ারি ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই২৩ অক্টোবর ২০০৭ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৬-২০০৩ইস্টার্ন প্রভিন্স
২০০৩ওরচেস্টারশায়ার
২০০৩-২০০৫নর্দার্নস
২০০৫-২০০৭কেন স্পিটফায়ার্স
২০০৭-২০০৯নশুয়া টাইটান্স
২০০৯-বর্তমানকেপ কোবরাজ
২০১৩-বর্তমানঅ্যান্টিগুয়া হকসবিলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮৫ ১৫৬ ৩০০
রানের সংখ্যা ৮০ ১,৫১২ ৭,১১৬ ৬,৪৪৫
ব্যাটিং গড় ১৩.৩৩ ৩১.৫০ ৩৪.৫৪ ৩৪.১০
১০০/৫০ ০/১ ১/১০ ১২/২৭ ৩/৩৯
সর্বোচ্চ রান ৫৫ ১০০* ১৮৮ ১০৭*
বল করেছে ৪৭৯ ১,৩০৩ ১৪,৪৬১ ৭,৮৩৮
উইকেট ৩২ ২৪৮ ২০১
বোলিং গড় ২৪.৬৬ ৩১.৭১ ২৬.৮৬ ২৯.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৩/৩৩ ৩/২০ ৬/৫৬ ৬/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ৩৩/– ২২৪/– ১৩০/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩

জাস্টিন মাইলস ক্যাম্প (জন্ম: ২ অক্টোবর, ১৯৭৭) ইস্টার্ন কেপের কুইন্সটাউনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। তার ব্যাটিংয়ের বিশেষত্ব ছিল খুব উঁচুতে বল তুলে ছক্কা হাঁকানো যা প্রায়শঃই স্টেডিয়ামের বাইরে পড়তো। কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেন জাস্টিন ক্যাম্প

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। দাদা জন মাইলস ক্যাম্প ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে বর্ডারের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। বাবা জন ওয়েসলি ক্যাম্প একই প্রদেশের পক্ষে ১৯৭৫-৭৬ ও ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে খেলেন। এছাড়াও, তার কাকাতো ভাই ডেভিড কালাহান দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৪ জুন, ২০০১ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। একই দলের বিরুদ্ধে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ২০০০-০১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। কিন্তু তেমন রান সংগ্রহ করতে পারেননি। মারিওয়ানা সেবনের দায়ে অভিযুক্ত হন ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। এরপর তিনি আরও আটটি একদিনের খেলার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু সাফল্য লাভ না করায় বাদ পড়েন। প্রায় তিন বছর দলের বাইরে থাকেন। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ সিরিজে ৭ ছক্কায় গড়া ৫০ বলে ৮০ তোলেন। ফলশ্রুতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাকে নেয়া হয়। ডারবানের খেলায় ২১ বলে ৫ ছক্কার সাহায্যে ৫৩ তোলেন।

এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত খেলায় ৬৫ তোলেন। আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আফ্রো-এশিয়ান কাপে অন্তর্ভুক্ত হন। কিন্তু নিচের সারিতে ব্যাটিং করে পুনরায় ব্যর্থ হন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ব্লুমফন্টেইনে অনুষ্ঠিত খেলায় ৬৪ বলে ৭৩ তুলে দলকে বিজয়ী হতে সাহায্য করেন।

কাউন্টি ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেন। জুনে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে নিজের সেরা ৫/৪৮ লাভ করেন। সেপ্টেম্বরে একই প্রতিযোগিতায় হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ তোলেন।

ক্যান্টারবারিতে ৫৬ বলে শতক করে দলকে জয়লাভে সহায়তা করেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে ৩১ বলে ৫৭ তুলেছিলেন।

২০০৮ সালে আইসিসি’র অনুমতিবিহীন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে যোগ দেন। এরফলে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। আইসিএলে হায়দ্রাবাদ হিরোজ দলের পক্ষে খেলেন তিনি। ২০ মার্চ, ২০০৮ তারিখে ইসিবি অন্য চারজন কোলপ্যাক খেলোয়াড়ের সাথে ক্যাম্পকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্তটি পরবর্তীকালে বাতিল করা হয় ও দুই বছরের চুক্তিতে কেন্টের পক্ষে খেলার যোগ্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, কোলপ্যাক ধারা অনুসারে ২০১০ সালের পূর্ব পর্যন্ত তাকে খেলতে হবে।[] ২০১০ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংসের পক্ষে খেলার জন্য ১০০,০০০ ডলারের বিনিময়ে মনোনীত হন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "South African batsman Justin Kemp will not be returning to Kent next summer"। KentOnline। ৯ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০০৯