বিষয়বস্তুতে চলুন

জাকারিয়া স্ট্রিট

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′৩৮″ উত্তর ৮৮°২১′২৯″ পূর্ব / ২২.৫৭৭১৫২১° উত্তর ৮৮.৩৫৮১২৯° পূর্ব / 22.5771521; 88.358129
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাকারিয়া স্ট্রিট
রক্ষণাবেক্ষণকারীকলকাতা পৌরসংস্থা
অবস্থানকলকাতা, ভারত
ডাক কোড৭০০০৭৩
নিকটস্থ কলকাতা মেট্রো স্টেশনমহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন
স্থানাঙ্ক২২°৩৪′৩৮″ উত্তর ৮৮°২১′২৯″ পূর্ব / ২২.৫৭৭১৫২১° উত্তর ৮৮.৩৫৮১২৯° পূর্ব / 22.5771521; 88.358129
পশ্চিম প্রান্তরবীন্দ্র সরণী
পূর্ব প্রান্তচিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ
অন্যান্য
যে জন্য পরিচিতরেস্তোরাঁ

জাকারিয়া স্ট্রিট হল একটি রাস্তা যা মধ্য কলকাতা অঞ্চলের চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউর (সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ) সাথে রবীন্দ্র সরণিকে সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তায় নাখোদা মসজিদ অবস্থিত। এটি কলকাতার সবচেয়ে বড় রমজান বাজার।[] এই রাস্তার খুব কাছেই মহম্মদ আলী পার্ক অবস্থিত।[] এই রাস্তাটি ফুড ব্লগারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কলকাতা শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। এখানে ব্রিটিশদের একটি অংশ ছিল যার নাম ছিল হোয়াইট টাউন। জাকারিয়া স্ট্রিট তখন ব্ল্যাক টাউনের অংশ ছিল।[] জাকারিয়া স্ট্রিট অতীতে আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছিল। উনবিংশ শতাব্দীতে কোচি মেমন সম্প্রদায়ের একজন মুসলিম ব্যবসায়ী হাজী নুর মুহাম্মদ জাকারিয়া আরমানিটোলা স্ট্রিটে বাস করতেন। তার নামেই এই রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে, বিশেষ করে ১৯১০ সালের দাঙ্গার পর কিছু মুসলিম পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ১৯১১ সালে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের উন্নয়ন কাজের অংশ হিসাবে রাস্তার কিছু মুসলিম মালিকানাধীন বস্তি উচ্ছেদ করে। এরপর বেশ কিছু মারোয়াড়ি পরিবার এ এলাকায় আসে। ঘন ঘন দাঙ্গা ১৯৫০-এর দশকে অনেক মারোয়াড়িকে রাস্তা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।[]

ফুড স্ট্রিট

[সম্পাদনা]

রমজান মাসে এই রাস্তায় প্রায় শতাধিক অস্থায়ী দোকান বসে। এছাড়াও সারা বছর অন্তত ত্রিশটি রেস্টুরেন্ট খোলা থাকে।[] নাখোদা মসজিদের সামনে রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি হয়। এই স্থানটি সাধারণত রমজান মৌসুমে সেহরিইফতারের খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের কাবাব পাওয়া যায়। জাকারিয়া স্ট্রিটের সুফিয়া ও আমিনিয়া রেস্তোরাঁয় হালিম পাওয়া যায়। এই রাস্তায় মুর্গ চেঙ্গিসি নামক একটি উত্তর ভারতীয় খাবার দিল্লি ৬ সহ আরও অনেক রেস্তোরাঁয় বিক্রি হয়। হালুয়া ও লাচ্ছা সেমাইও এখানে পাওয়া যায়।[] রয়্যাল ইন্ডিয়া হোটেল এখানে মাটন চাপ ও বিরিয়ানি বিক্রি করে।[] এই রাস্তাটি বাকরখানির জন্য জনপ্রিয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mitra, Debraj (৭ এপ্রিল ২০২২)। "Ramazan mirrors friendly spirit of Kolkata in face of divisiveness"The Telegraph 
  2. "খাবারের গন্ধে ম-ম জাকারিয়া স্ট্রিট"The Indian Express। ২৯ মে ২০১৯। 
  3. Mitra, Bishwabijoy (৩০ মে ২০১৯)। "Zakaria Street is a heaven for food bloggers"Times of India 
  4. Bhaumik, Neal (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "JUST PASSING THROUGH KOLKATA"Verge 
  5. Banka, Neha (৩০ মার্চ ২০২১)। "Streetwise Kolkata: Beyond food and city's largest mosque, Zakaria Street is a story of Muslims and Marwaris"The Indian Express 
  6. Mitra, Bishwabijoy; Chakraborty, Shamaymita (১৪ মে ২০১৯)। "Have the polls impacted the Ramzan mood on Zakaria Street?"Times of India 
  7. Saha, Somdatta (১৪ জুন ২০২২)। "Food Trail: Explore Kolkata's Zakaria Street For The Most Indulgent Iftar Treat"NDTV 
  8. "Zakaria Street: Eating out in Kolkata"Times of India। ১৭ জুন ২০১৫। 
  9. Basu, Rriju (১১ জুন ২০১৭)। "রমজানি স্বাদে জাকারিয়া যেন শহরের ফুড স্ট্রিট"Anandabazar Patrika 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
  • উইকিমিডিয়া কমন্সে Zakaria Street সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।