জয়যাত্রা

জয়যাত্রা
জয়যাত্রা
	ভিসিডি প্রচ্ছদ
পরিচালক	তৌকির আহমেদ
প্রযোজক	তৌকীর আহমেদ
রচয়িতা	আমজাদ হোসেন
চিত্রনাট্যকার	তৌকীর আহমেদ
শ্রেষ্ঠাংশে	বিপাশা হায়াত; আজিজুল হাকিম; মাহফুজ আহমেদ; হুমায়ুন ফরীদি; তারিক আনাম খান; আবুল হায়াত; মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী;
সুরকার	সুজেয় শ্যাম
চিত্রগ্রাহক	রফিকুল বারী চৌধুরী
সম্পাদক	অর্ঘকমল মিত্র
প্রযোজনা; কোম্পানি	নক্ষত্র চলচ্চিত্র ; ইমপ্রেস টেলিফিল্ম
পরিবেশক	ইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি	১৫ নভেম্বর ২০০৪; ; ; ; ;
স্থিতিকাল	১১৯ মিনিট
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা ভাষা

জয়যাত্রা ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের বিখ্যাত সম্পাদক, কাহিনিকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের কাহিনি নিয়ে সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তৌকির আহমেদ।^[১]^[২] এটি তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিত্তিক এই ছবিটি প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। জয়যাত্রা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন একদল মানুষের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, মৃত্যু ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প। ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আজিজুল হাকিম, মাহফুজ আহমেদ, হুমায়ুন ফরীদি, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী।^[৩]^[৪]

ছবিটি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ পরিচালক তৌকির আহমেদ ২৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ছবিটি শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী ও শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।^[৫]

কাহিনি সংক্ষেপ

১৯৭১- এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ। যুদ্ধের বিভীষিকা যখন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। হাজার বছরের শাশ্বত বাংলা মুহুর্তেই পরিণত হয় বিরাণ শ্বশানে। প্রাণভয়ে পলায়নয়ত একদল সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেয় একটি নৌকায়। তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যায় গল্প, কিন্তু শুধু বেঁচে থাকা নয় ক্রমেই রুখে দাঁড়াবার স্পৃহা জাগ্রত হয় তাদের হৃদয়ে।

জয়যাত্রা - একদল মানুষের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, ব্যথা মৃত্যু ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প।

কুশীলব

বিপাশা হায়াত - হাওয়া
আজিজুল হাকিম - আদম
মাহফুজ আহমেদ - বৈধন
আবুল হায়াত - রামকৃষ্ণ
তারিক আনাম খান - তরফদার
হুমায়ুন ফরীদি - পচা
নাজমা আনোয়ার - বৈধনের ঠাকুরমা
শামস সুমন - জসিমুদ্দি
রুমানা খান - সখিনা
শাহেদ শরীফ খান - কাসেম
মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী - মরিয়ম
ইন্তেখাব দিনার - জনসন
আহসান হাবিব নাসিম - মাঝি আলী
সালেহ আহমেদ - ইমাম
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় - ডঃ কালিকিংকর
মোশাররফ করিম - ফণী
আহসানুল হক মিনু - হামিদ
শিরিন আলম - হামিদের স্ত্রী
অপূর্ব মজুমদার - পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন

সংগীত

জয়যাত্রা ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন সুজেয় শ্যাম।

হোম ভিডিও

জয়যাত্রা ছবির ভিসিডি ও ডিভিডি বাজারজাত করেছে জি-সিরিজ।

সম্মাননা

পুরস্কার	বিভাগ	গ্রহীতা	ফলাফল
২৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার	শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র	তৌকির আহমেদ (প্রযোজক)	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ পরিচালক	তৌকীর আহমেদ	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার	আমজাদ হোসেন	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার	তৌকীর আহমেদ	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক	সুজেয় শ্যাম	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী	মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী	বিজয়ী
	শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক	রফিকুল বারী চৌধুরী	বিজয়ী
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার	শ্রেষ্ঠ পরিচালক	তৌকীর আহমেদ	বিজয়ী

আন্তর্জাতিক সম্মাননা

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব - ২০০৬

বিজয়ী: বিশেষ উল্লেখ্য পুরস্কার - তৌকির আহমেদ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

↑ "তৌকীর আহমেদ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৮ নভেম্বর ২০১৬। ২৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৭।
↑ "তৌকীর আহমেদের 'জয়যাত্রা': মুক্তিযুদ্ধের অমর গাঁথা"। সময় টিভি। ২০২১-১২-১৬। ২০২১-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০২।
↑ "'জয়যাত্রা'র এক দশক"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২০১৪-১২-১০। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৫।
↑ "জয়যাত্রাই হোক আমার মুক্তিযুদ্ধ"। প্রথম আলো। ২০১৮-১২-১৩। ২০২৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০২।
↑ "National Film Awards for the last fours years announced"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৮-০৯-০১। ২০১৬-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।

বহিঃসংযোগ

ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জয়যাত্রা (ইংরেজি)
রটেন টম্যাটোসে জয়যাত্রা (ইংরেজি)
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জয়যাত্রা (ইংরেজি)

[1] "তৌকীর আহমেদ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৮ নভেম্বর ২০১৬। ২৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৭।

[2] "তৌকীর আহমেদের 'জয়যাত্রা': মুক্তিযুদ্ধের অমর গাঁথা"। সময় টিভি। ২০২১-১২-১৬। ২০২১-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০২।

[3] "'জয়যাত্রা'র এক দশক"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২০১৪-১২-১০। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৫।

[4] "জয়যাত্রাই হোক আমার মুক্তিযুদ্ধ"। প্রথম আলো। ২০১৮-১২-১৩। ২০২৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০২।

[5] "National Film Awards for the last fours years announced"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৮-০৯-০১। ২০১৬-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

দে স তৌকীর আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র	জয়যাত্রা (২০০৪) রূপকথার গল্প (২০০৬) দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) অজ্ঞাতনামা (২০১৬) হালদা (২০১৭) ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯) স্ফুলিঙ্গ (২০২১)
টেলিভিশন	তোমার বসন্ত দিনে অরন্যের সুখ দুঃখ (২০০৪) চন্দ্রমগ্ন (২০১১) সোনালী রোদ্রের রং দেখিয়াছি (২০১৩) বিস্ময় বাল্যশিক্ষা (২০১৫) আহরণ (২০১৬) ইন্দ্রজাল (২০১৬)
অন্যান্য	নক্ষত্র চলচ্চিত্র

দে স শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
১৯৭৫–১৯৮০	লাঠিয়াল (১৯৭৫) মেঘের অনেক রং (১৯৭৬) বসুন্ধরা (১৯৭৭) গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮) সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯) এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৮০)
১৯৮১-২০০০	দেয়া হয়নি (১৯৮১) দেয়া হয়নি (১৯৮২) পুরস্কার (১৯৮৩) ভাত দে (১৯৮৪) দেয়া হয়নি (১৯৮৫) শুভদা (১৯৮৬) রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত (১৯৮৭) দুই জীবন (১৯৮৮) দেয়া হয়নি (১৯৮৯) গরীবের বউ (১৯৯০) পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১) শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২) পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩) আগুনের পরশমণি (১৯৯৪) অন্য জীবন (১৯৯৫) পোকা মাকড়ের ঘর বসতি (১৯৯৬) দুখাই (১৯৯৭) দেয়া হয়নি (১৯৯৮) চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯) কিত্তনখোলা (২০০০)
২০০১–বর্তমান	লালসালু (২০০১) হাছন রাজা (২০০২) দেওয়া হয়নি (২০০৩) জয়যাত্রা (২০০৪) হাজার বছর ধরে (২০০৫) ঘানি (২০০৬) দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮) মনপুরা (২০০৯) গহীনে শব্দ (২০১০) গেরিলা (২০১১) উত্তরের সুর (২০১২) মৃত্তিকা মায়া (২০১৩) নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ (২০১৪) অনিল বাগচীর একদিন ও বাপজানের বায়স্কোপ (২০১৫) অজ্ঞাতনামা (২০১৬) ঢাকা অ্যাটাক (২০১৭) পুত্র (২০১৮) ফাগুন হাওয়ায় ও ন ডরাই (২০১৯) গোর ও বিশ্বসুন্দরী (২০২০) নোনা জলের কাব্য ও লাল মোরগের ঝুঁটি (২০২১) কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া ও পরাণ (২০২২)