বিষয়বস্তুতে চলুন

গাস লোগি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাস লোগি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অগাস্টিন লরেন্স লোগি
জন্ম (1960-09-28) ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
সোবো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৫ জুলাই ১৯৯১ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক১৯ ডিসেম্বর ১৯৮১ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৩ এপ্রিল ১৯৯৩ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৮-১৯৯২ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫২ ১৫৮ ১৫৭ ১৮৮
রানের সংখ্যা ২,৪৭০ ২,৮০৯ ৭,৬৮২ ৩,৬০৬
ব্যাটিং গড় ৩৫.৭৯ ২৮.৯৫ ৩৫.০৭ ২৯.৩১
১০০/৫০ ২/১৬ ১/১৪ ১৩/৪০ ২/১৭
সর্বোচ্চ রান ১৩০ ১০৯* ১৭১ ১০৯*
বল করেছে ২৪ ২৮৯ ৭২
উইকেট
বোলিং গড় ৪২.৬৬ ২৭.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/০ ০/১ ১/২ ২/১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫৭/– ৬১/– ১০৬/১ ৭৫/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৬ জুন ২০১৫

অগাস্টিন লরেন্স লোগি (জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৮০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন গাস লোগি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলেন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৭৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। তন্মধ্যে ১৯৯০ সালে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

১৯৮০-এর দশকে ক্রিকেট বিশ্বে দূর্দান্ত প্রতাপ বিস্তারকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালনসহ সুদক্ষ ফিল্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৫২ টেস্ট ও ১৫৮ একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনটি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেন। তন্মধ্যে দু’টি সেঞ্চুরি আসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে। এপ্রিল, ১৯৮৩ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৩০ রান তোলেন।[]

২০০৩ থেকে অক্টোবর, ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এরপর তিনি কানাডা দলকেও পরিচালনা করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছেড়ে বারমুদা ক্রিকেট দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। এরপূর্বে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ডব্লিউ কানেকশন ওয়ান্ডেরার্স ক্রিকেট ক্লাবেরও দায়িত্বে ছিলেন। বারমুডা দলের প্রধান কোচ থাকা অবস্থায় দলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা লাভে সহায়তা করেন।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখায় জাতীয় পুরস্কার হিসেবে ১৯৯৩ সালে হামিং বার্ড মেডেল সিলভার লাভ করেন। এছাড়াও প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ফিল্ডিংয়ের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "India in West Indies Test Series – 4th Test West Indies v India"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]