খাণ্ডোয়া জেলা
খাণ্ডোয়া জেলা | |
---|---|
মধ্যপ্রদেশের জেলা | |
মধ্যপ্রদেশে খাণ্ডোয়া জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মধ্যপ্রদেশ |
বিভাগ | ইন্দোর |
সদর দপ্তর | খাণ্ডোয়া |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ৬,২০৬ বর্গকিমি (২,৩৯৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৩,১০,০৬১ |
• জনঘনত্ব | ২১০/বর্গকিমি (৫৫০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৬৭.৫৩% |
• যৌন অনুপাত | ৯৪৪ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি ০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://khandwa.nic.in |
খাণ্ডোয়া জেলা হল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। খাণ্ডোয়া শহরটির জেলা সদর। জেলাটি ইন্দোরের বিভাগের অন্তর্গত। ২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে খাণ্ডোয়া জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৩১০,০৬১ জন এবং আয়তনে ৬,২০৬ বর্গ কিলোমিটার। জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শহরগুলি হল - মুন্দী, হারসুদ, পান্ডনা এবং ওংকারেশ্বর।
ভূগোল
[সম্পাদনা]খাণ্ডোয়া জেলাটির আয়তন ৬,২০৬ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ ভারতের জনগণনা অনুসারে জনসংখ্যা ১,৩১০,০৬১। খাণ্ডোয়া জেলা নিমার অঞ্চলে অবস্থিত, এর মধ্যে রয়েছে নর্মদা নদীর নিম্ন উপত্যকা, খেরখালী নদী, ছোটি তওয়া নদী এবং শিব নদী। নর্মদা জেলার উত্তর সীমান্ত এবং সাতপুরা পর্বতশ্রেণী জেলার দক্ষিণ সীমানা গঠন করে। পূর্ব থেকে পশ্চিমে তাপ্তি নদী বয়ে চলে। উত্তরের খাণ্ডোয়া জেলাকে বুরহানপুর জেলার থেকে বিভক্ত করে সাতপুরা পর্বতশ্রেণী এবং এটি নর্মদা নদী উপত্যকা এবং তাপ্তি নদীর উপত্যকাও বিভক্ত করে। যে পথটি সাতপুরা পর্বতশ্রেণী গুলির সাথে বুরহানপুর এবং খাণ্ডোয়া সংযোগ করে সেটি অন্যতম প্রধান পথ যা আসিরগড় দুর্গের সাথে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং এই পথটি "দাক্ষিণাত্যের চাবি" হিসাবে পরিচিত। পূর্বে বেতুল এবং হার্ডা জেলা, উত্তরে দেওয়াস জেলা এবং পশ্চিমে খারগোন জেলা অবস্থিত।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]২০০৬ সালে পঞ্চয়েত রাজ মন্ত্রণালয় খাণ্ডোয়াকে দেশের ২৫০টি পিছিয়ে পড়া জেলার (মোট ৬৪০টির মধ্যে) একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।[১] এটি মধ্য প্রদেশের ২৪টি জেলার মধ্যে একটি যা বর্তমানে ব্যাকওয়ার্ড রিজিন্স গ্রান্ট ফান্ড প্রোগ্রামের তহবিলের কর্মসূচির (বিআরজিএফ) তহবিল থেকে অনুদান পেয়ে থাকে।[১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে খাণ্ডোয়া জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৩১০,০৬১ জন।[২] জনসংখ্যার হিসাবে জেলাটি ভারতে ৩৭৪তম স্থানে রয়েছে (মোট ৬৪০টির এর মধ্যে)।[২] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৭৮ জন লোক বসবাস করে (প্রতি বর্গমাইলে ৪৬০ জন) [২] ২০০১-২০১১ এর দশকে খাণ্ডোয়া জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২১.৪৪% শতাংশ।[২] লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৪৪ জন নারী রয়েছে।[২] সাক্ষরতার হার ৬৭.৫৩%।[২]
ভাষাসমূহ
[সম্পাদনা]২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার সময় খাণ্ডোয়া জেলার ৭৬.৬৬% জনগণ হিন্দি, ৯.৭১% করকু, ৬.০৮% ভিলি, ৩.২০% উর্দু, ১.২৪ গণ্ডি, ১.০৫% মারাঠি, ০.৫২% সিন্ধি এবং ০.৪৩% গুজরাটি ভাষাকে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে থাকে।[৩]
মূল ভাষাগুলির মধ্যে নিমাদি, ভিল ভাষায় প্রায় ৬৪,০০০ সদস্য দ্বারা কথিত এবং এটি দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
- ↑ M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Rathwi: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]