ক্লেয়ার কিলরয়
ক্লেয়ার কিলরয় | |
---|---|
স্থানীয় নাম | ইংরেজি: Claire Kilroy |
জন্ম | ১৯৭৩ (বয়স ৫০–৫১) ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড |
পেশা | লেখিকা |
ভাষা | ইংরেজি |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন |
ধরন | উপন্যাস |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | পূর্ণ তালিকা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
ক্লেয়ার কিলরয় (ইংরেজি: Claire Kilroy; জন্ম: ১৯৭৩) একজন আইরিশ লেখিকা। তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন ও বেড়ে ওঠেন। তার প্রথম উপন্যাস অল সামার আইরিশ সাহিত্যে রুনি পুরস্কার অর্জন করেন। তার টেন্ডারওয়্যার বইটি ২০০৭ সালে হিউজ অ্যান্ড হিউজ বর্ষসেরা আইরিশ উপন্যাস এবং কেরি গ্রুপ আইরিশ ফিকশন পুরস্কারের ক্ষুদ্রতালিকায় ছিল।
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]কিলরয় ১৯৭৩ সালে ডাবলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং শহরের উত্তরের জেলে গ্রাম হাউথে বেড়ে ওঠেন। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ৭ বা ৮ বছর বয়সে রচিত তার প্রথম গল্পটি একটি ভূতের গল্প যা একটি বাচ্চাকে নিয়ে আবর্তিত যে একটি ভৌতিক বাড়িতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেয়। বাড়িটিতে প্রবেশের পর চেইন ও সাদা চাদর পরিহিত একটি অবয়ব তাকে তারা করে। কিলরয় তার মাকে গল্পটি পড়তে দিলে তিনি পাগলের মত হাসতে শুরু করেন; কিলরয় পরে আবিষ্কার করে তিনি চাদর বানানে "ee" (Sheet) এর স্থলে "i" লিখেছিলেন, যার কারণে তার মা এমনভাবে হেসেছিলেন।[১]
কিলরয় ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। তিনি এরপর বিবিসির টেলিভিশন নাট্যক ব্যালিকিসেইনের সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন এবং একই সময়ে তিনি তার উপন্যাস অল সামার-এর প্রথম পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ শেষ করেন। ২০০০ সালে তিনি ট্রিনিটি কলেজ ফিরে আসেন এবং সৃজনশীল লেখনীতে এম.ফিল করেন।[২]
সাহিত্যজীবন
[সম্পাদনা]কিলরয়ের প্রথম উপন্যাস অল সামার ২০০৩ সালের মে মাসে ফেবার অ্যান্ড ফেবার থেকে প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালে উপন্যাসটি আইরিশ সাহিত্যে রুনি পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৬ সালে কিলরয়ের দ্বিতীয় উপন্যাস টেন্ডারওয়্যার প্রকাশিত হয়।[৩] বইটি ২০০৭ সালে হিউজ অ্যান্ড হিউজ বর্ষসেরা আইরিশ উপন্যাস ও কেরি গ্রুপ আইরিশ ফিকশন পুরস্কারের ক্ষুদ্রতালিকায় ছিল। কার্কাস রিভিউস লিখে, "উপন্যাসটির খুঁত এর আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের সাথে আপস করে না।"[৪]
কিলরয়ের তৃতীয় উপন্যাস অল নেমস হ্যাভ বিন চেঞ্জড ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ট্রিনিটি কলেজের পটভূমিতে রচিত উপন্যাসটি পাঁচজন সৃজনশীল লেখনীর শিক্ষার্থী ও তাদের বিখ্যাত শিক্ষকের সাথে তাদের করাল সম্পর্ক নিয়ে আবর্তিত। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখে, "এই অসাধারণ উপন্যাসের মাধ্যমে দেখা যায় কিলরয় সাহিত্যের আকাশে দক্ষ হয়ে ওঠেছেন।"[৫] তার চতুর্থ উপন্যাস দ্য ডেভল আই নো ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য বস্টন গ্লোব ও দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বইটির প্রশংসা করে।[৬]
দ্য ডেভল আই নো-এর দীর্ঘ বিরতির পর ২০২৩ সালে তার পঞ্চম উপন্যাস সোলজার সেইলর প্রকাশিত হয়। দি অবজারভার বইটিকে "একটি আশ্চর্যজনক উচ্চ পর্যায়ের কাজ" বলে আখ্যায়িত করে।[৭]
প্রভাবিত
[সম্পাদনা]কিলরয় জন ব্যানভিল ও ভ্লাদিমির নাবোকভ এই দুজন লেখককে তার অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেন। ১৬ বছর বয়সে ললিতা উপন্যাস পড়ার পর তিনি নাবোকভের মত বাক্য লিখতে অনুপ্রাণিত হন।[৮] তিনি মার্টিন এমিস, অ্যান্ড্রু ওহাগান ও মাইকেল ফ্রেইনকে তার প্রিয় লেখক বলে উল্লেখ করেন, এবং তার প্রিয় আইরিশ উপন্যাস হল জন ব্যানভিলের অ্যাথিনা।
সাহিত্যকর্মের তালিকা
[সম্পাদনা]উপন্যাস
[সম্পাদনা]- অল সামার (২০০৩; ফেবার অ্যান্ড ফেবার)
- টেন্ডারওয়্যার (২০০৬; ফেবার অ্যান্ড ফেবার)
- অল নেমস হ্যাভ বিন চেঞ্জড (২০০৯)
- দ্য ডেভল আই নো (২০১২; ফেবার অ্যান্ড ফেবার)
- সোলজার সেইলর (২০২৩; ফেবার অ্যান্ড ফেবার)
প্রবন্ধ
[সম্পাদনা]- এফ ফর ফোন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ডাউনি, সারা (২৪ নভেম্বর ২০১০)। "Catching up with Claire Kilroy"। রাইটিং.আইই। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ "Claire Kilroy"। আয়ারল্যান্ড লিটারেচার এক্সচেঞ্জ। ১৩ আগস্ট ২০১৯। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ "Claire Kilroy"। ফেবার.কো। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ Tenderwire। কার্কাস রিভিউস। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ হেগস্টাড, এমা (৪ জুন ২০০৯)। "All Names Have Been Changed, By Claire Kilroy"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ "Heimbold Chair"। villanova.edu। ভিয়ানোভা বিশ্ববিদ্যালয়। ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৪।
- ↑ মেরিট, স্টেফানি (১২ জুন ২০২৩)। "Soldier Sailor by Claire Kilroy review – a mother's confession after the fight of her life"। দি অবজারভার (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0029-7712। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৩।
- ↑ ল্যাঙ্গান, শিলা (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Young Irish Writers Part 2: Claire Kilroy"। আইরিশ আমেরিকা। আইরিশ আমেরিকা এলএলসি।