কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ
গঠিত | ১৯৬৪ |
---|---|
সদরদপ্তর | ১৪/১৭৩, জামনগর হাউজ, শাহজাহান সড়ক, নতুন দিল্লি-১১০০১১ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | ভারত |
দাপ্তরিক ভাষা | উর্দু, ইংরেজি, হিন্দি, |
চেয়ারম্যান | সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী[১] |
প্রধান অঙ্গ | পরিষদ |
সম্পৃক্ত সংগঠন | সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ, ভারত হল একটি ভারতীয় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা যা ১৯৬৪ সালে ভারত সরকার দ্বারা ওয়াকফ আইন, ১৯৫৪ (এখন ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫-এর একটি উপধারা) অধীনে রাজ্যের কাজের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফের যথাযথ প্রশাসন। ওয়াকফ হল ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির একটি স্থায়ী নিবেদন, যা মুসলিম আইন দ্বারা স্বীকৃত ও জনহিতৈষীদের দ্বারা প্রদত্ত। অনুদানটি মুশরুত-উল-খিদমত নামে পরিচিত, যে ব্যক্তি এই ধরনের নিবেদন করেন তাকে ওয়াকিফ নামে পরিচিত।[২][৩][৪]
পরিষদ
[সম্পাদনা]পরিষদের নেতৃত্বে আছেন একজন চেয়ারপার্সন। যিনি ওয়াকফের দায়িত্বে নিয়োজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওয়াকফ আইনে নির্ধারিত ভারত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত সর্বাধিক ২০ জন সদস্য রয়েছেন।
রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড
[সম্পাদনা]ওয়াকফ আইন, ১৯৫৪-এর ধারা ৯(১) এর বিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারগুলো রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি প্রতিষ্ঠা করে।[৫][৬] এগুলো জেলা ওয়াকফ কমিটি, মন্ডল ওয়াকফ কমিটি ও পৃথক ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের জন্য কমিটি গঠন করে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষার জন্য কাজ করে। ওয়াকফ বোর্ডগুলো চিরস্থায়ী উত্তরাধিকারী এবং সম্পত্তি অর্জন ও ধারণ করার ক্ষমতা সহ সাধারণ সীলমোহরযুক্ত সংস্থা হবে৷ ওয়াকফ সম্পত্তি বা তার আয় মোট সংখ্যার পনের শতাংশের বেশি শিয়া ওয়াকফ হলে হলে আইনটি পৃথক শিয়া ওয়াকফ বোর্ড সম্পর্কে গঠন করতে উল্লেখ করেছে।
- অন্ধ্র প্রদেশ ওয়াকফ বোর্ড
- আসাম ওয়াকফ বোর্ড
- বিহার সুন্নি ও শিয়া ওয়াকফ বোর্ড
- ছত্তিশগড় ওয়াকফ বোর্ড
- দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড
- গুজরাত ওয়াকফ বোর্ড
- হরিয়ানা ওয়াকফ বোর্ড
- হিমাচল ওয়াকফ বোর্ড
- ঝাড়খণ্ড ওয়াকফ বোর্ড
- কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ড
- কেরালা ওয়াকফ বোর্ড
- মধ্যপ্রদেশ ওয়াকফ বোর্ড
- মহারাষ্ট্র রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড
- মণিপুর ওয়াকফ বোর্ড
- মেঘালয় ওয়াকফ বোর্ড
- ওড়িশা ওয়াকফ বোর্ড
- পাঞ্জাব ওয়াকফ বোর্ড
- রাজস্থান মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড
- তামিলনাড়ু ওয়াকফ বোর্ড
- ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ড
- তেলেঙ্গানা ওয়াকফ বোর্ড
- উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ড
- উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড এবং শিয়া ওয়াকফ বোর্ড
- পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ড
- আন্দামান নিকোবর ওয়াকফ বোর্ড
- চণ্ডীগড় ওয়াকফ বোর্ড
- লক্ষদ্বীপ ওয়াকফ বোর্ড
- দাদরা ও নগর হাভেলি ওয়াকফ বোর্ড
- পুদুচেরি ওয়াকফ বোর্ড
বর্তমানে আঠাশটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তথা সারা দেশে ত্রিশটি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। গোয়া, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং সিকিম এবং ইউটি দমন ও ডিউ-এর মতো রাজ্যে বর্তমানে কোনও ওয়াকফ বোর্ড নেই। ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য প্রযোজ্য নয়।
বিচারপতি শাশ্বত কুমার, যিনি শাশ্বত কমিটির নেতৃত্বে ২০১১ সালে ভারতে মুসলমানদের উপর একটি পরিস্থিতি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ও এই প্রতিবেদনের ফলাফল হল যে দেশব্যাপী ওয়াকফ সম্পত্তির একটি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক রয়েছে যার মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা ও এটি বার্ষিক আয় করতে পারে ১২,০০০ কোটি টাকা কিন্তু ফলন মাত্র ১৬৩ কোটি টাকা এবং "ওয়াকফ বিষয়গুলি পরিচালনা করার জন্য মুসলিম যারা উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি গুরুতর অভাব খুঁজে পেয়েছেন। একটি পৃথক ক্যাডার বলতে এমন কর্মকর্তাকে বোঝায় যারা কেবল স্থায়ীই নয়, যথেষ্ট।[৭]
২০১১ সালে হরিয়ানা ওয়াকফ বোর্ড ২০১০-১১ এর মধ্যে ১৭.০৩ কোটি ভারতীয় টাকা সর্বকালের উচ্চ আয় নিবন্ধন করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৩৩ কোটি টাকা বেশি। ২০১০-১১ সময়কালে বোর্ড বিভিন্ন শিক্ষা ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ৩.৩৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। তিনি বলেছিলেন বোর্ড ২০১১-১২ সালের বাজেটে ওয়াকফ এবং বিভিন্ন শিক্ষাগত ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য পূরণের জন্য ৬.৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলো দুর্নীতি, জমি দখল এবং তহবিলের অপব্যবহারে জড়িত।[৮][৯] কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ড জমি কেলেঙ্কারি এমনই একটি মামলার নাম।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- ভারতে ওয়াকফ প্রশাসন: একটি সামাজিক-আইনি গবেষণা, খালিদ রশিদ। বিকাশ পাব. ১৯৭৮।আইএসবিএন ০-৭০৬৯-০৬৯০-X ।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- ইভাকুই ট্রাস্ট সম্পত্তি বোর্ড
- ভারতের রাজনৈতিক একত্রীকরণ
- ভারতের জন্য শত্রু সম্পত্তির জিম্মাদার, পাকিস্তানে চলে যাওয়া শাসকদের সম্পত্তি সরকার দখলের জন্য
- শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮, ভারতের জন্য শত্রু সম্পত্তির জিম্মাদারের ভিত্তি
- ভারতে রাজভাতা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Members"। CFC website। ২০১০-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Introduction ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জুলাই ২০১১ তারিখে Tamilnadu Wakf Board website.
- ↑ Ariff, Mohamed (১৯৯১)। The Islamic voluntary sector in Southeast Asia। Institute of Southeast Asian Studies। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 981-3016-07-8।
- ↑ Gupta, K.R.; Amita Gupta (২০০৬)। Concise encyclopaedia of India, (Volume 1)। Atlantic Publishers। পৃষ্ঠা 191। আইএসবিএন 81-269-0637-5।
- ↑ "The Wakf Act, 1954" (পিডিএফ)। Central Waqf Council। Central Waqf Council, Minority Affairs of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৩।
- ↑ Danyal, Kahkashan Y. (২০১৫)। The Law of Waqf in India। Regal Publications। পৃষ্ঠা 60। আইএসবিএন 9788184844726।
- ↑ "Sachar sought a dedicated wakf cadre, govt said no"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১১।
- ↑ "Waqf board chief alleges corruption by former chairmen"। Deccan Herald। ২০১৬-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৫।
- ↑ "Wakf boards mired in corruption"। Afternoon Voice। ২০১৭-০৩-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৫।