কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৭৯ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম |
শিক্ষার্থী | ৯০০ |
অবস্থান | , বাংলাদেশ |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | কুমেক |
ওয়েবসাইট | cumc |
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।[১][২]
১৯৭৯ সালের ২৮ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে বর্তমানে প্রতিবছর ২০০ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের কারণে ১৯৮২ সনে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ডা. হাবিবুর রহমান আনছারী কর্তৃক ১৯৯২ সালের ১৫ই আগস্ট প্রথম শিক্ষাবর্ষের ক্লাশ শুরু হয়। ডা. হাবিবুর রহমান ছিলেন এই মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ। ২০২৪সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এমবিবিএস কোর্স' ২৮তম ব্যাচ সম্পন্ন করেন। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩৩ তম ব্যাচ এর ভর্তি সম্পন্ন হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশে ১৯৭৯ সালের ২৮শে মে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেন। রাজনীতিক পট পরিবর্তনের কারণে পরবর্তীকালে ১৯৮২ সালে কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে কলেজটি পুনরায় চালু করা হয়। পঞ্চাশ জন ছাত্রছাত্রী এবং এগার জন শিক্ষক নিয়ে প্রথম অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান আনসারী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। শুরুতে মাত্র দুটি বিভাগ নিয়ে চালু হলেও বর্তমানে চিকিৎসা শিক্ষার সবকয়টি বিভাগ চালু আছে।
পরবর্তীতে কলেজের শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে কলেজটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামকরণ করা হয়।[৩]
বর্তমান পরিস্থিতি
[সম্পাদনা]একটি মাত্র দোতলা ভবন নিয়ে পথচলা শুরু করা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিজস্ব জমিতে বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা- কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল ইত্যাদি। শুরুতে দোতলা ভবনেই বিভিন্ন বর্ষের ক্লাস হলেও স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে ভবনটি পাঁচতলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। ২০০৬ সালে কলেজটি নতুন করে সম্প্রসারিত করা হয়।
২০০৫-২০০৬ সাল থেকে এই কলেজে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। তিনজন পাকিস্তানি ছাত্র, দুইজন নেপালি শিক্ষার্থী,১০জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী এখন এই মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে। এখানে শিক্ষণের মাধ্যম ইংরেজি।
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কুমিল্লা এবং বৃৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগ থেকে সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন। একই সাথে চলতে থাকে ৩য় থেকে ৫ম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষাদান। প্রতিবছর ২০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয় এমবিবিএস কোর্সে। চারটি পেশাগত পরীক্ষার বাধা পেরিয়ে একজন শিক্ষার্থী ডাক্তার হবার যোগ্যতা অর্জন করে এবং এরপর একবছর ইণ্টার্নশিপ করতে হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২০১১সাল থেকে স্নাতকোত্তর কোর্স (ডিপ্লোমা) চালু করা হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই কলেজ থেকে ২৮ টি ব্যাচ পাশ করেছে।
জুলাই'২৪ এর আন্দোলন পরবর্তী সময়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সকল ধরণের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও প্রত্যেক ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়।
ছাত্রাবাস
[সম্পাদনা]বর্তমানে ছাত্রদের জন্য দুইটি পাঁচতলাবিশিষ্ট হোস্টেল এবং ছাত্রীদের জন্য দুটি হোস্টেল আছে। এছাড়াও একটি পুরুষ ইন্টার্নি হোস্টেল এবং একটি মহিলা ইন্টার্নি হোস্টেল রয়েছে।
অধ্যক্ষগণের তালিকা
[সম্পাদনা]শুরু থেকেই অদ্যাবধি যাঁরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
- অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান আনসারী
- অধ্যাপক ডা. আব্দুল হক
- অধ্যাপক ডা. সাহারা খাতুন
- অধ্যাপক ডা. আতাউর রহমান
- অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ
- অধ্যাপক ডা. মহসিনুজ্জামান চৌধুরী[৪]
- অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ
- অধ্যাপক ডা. ইজাজুল হক
- অধ্যাপক ডা. মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম
কৃতি শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]- ডা. মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া এফসিপিএস, এমএস (ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. উজ্জল বড়ুয়া এফসিপিএস (ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. সুবীর চন্দ্র দাস এফসিপিএস (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
- ডা. নাজমুস সাকিব এমএস (অর্থো সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. ফয়সাল সিদ্দিকি এমএস (অর্থো সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. সুলতানা লতিফা জামান এমএস (গাইনি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এফসিপিএস ( ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. নাসির আহমেদ এমডি (ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
- ডা. প্রদীপ কুমার নাথ এফসিপিএস (সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. উম্মে হাবিবা বিনি এমফিল (প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. নুরে আলম অরন্য এফসিপিএস (সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. আদনান ওয়ালিদ এমএস (শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. আশরাফ রহমান এমএস (ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. নাসিম রেজা এমডি (রিউমাটোলজি বিশেষজ্ঞ)
- ডা. শামস্ রূহানী এমডি (ফিজিয়োলজি বিশেষজ্ঞ)
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Comilla Medical College"। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অফিস। Entireeducation.com। ২০ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Official site of Comilla Medical College" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি"। comch.gov.bd। ২০২০-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- ↑ "Comilla Medical College closed indefinitely after students' clash - bdnews24.com"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official site
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ অক্টোবর ২০২০ তারিখে
বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |