কিতাবের মাজার
היכל הספר | |
জেরুসালেমে কিতাবের মাজারের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | ৩১°৪৬′২৪″ উত্তর ৩৫°১২′১০″ পূর্ব / ৩১.৭৭৩৩৩° উত্তর ৩৫.২০২৭৮° পূর্ব |
---|---|
অবস্থান | জেরুসালেম |
নকশাকারক | আরমান্ড বার্টস এবং ফ্রেডরিক কিসলার |
ধরন | জাদুঘর |
উপাদান | কৃষ্ণ শিলা |
সম্পূর্ণতা তারিখ | ১৯৬৫ |
ওয়েবসাইট | www.imj.org.il |
কিতাবের মাজার (হিব্রু ভাষায়: היכל הספר, হেইখাল হা'শেফের) হল জেরুসালেমের গিভাত রাম শহরতলিতে অবস্থিত ইসরায়েল জাদুঘরের একটি শাখা যা মৃত সাগরের পুঁথি সংরক্ষণ করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভবনটি প্রকৃতপক্ষে পার্শ্ববর্তী হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের গিভাত রাম ক্যাম্পাসের জাতীয় পাঠাগার হিসেবে নির্মাণ করার কথা ছিলো।
জেরুসালেম জাদুঘরের অংশ, কিতাবের মাজার ভবনটি ১৯৬৫ সালে ডেভিড স্যামুয়েল গোটেসম্যান নামক হাঙ্গেরীয়-ইহুদি সমাজহিতৈষীর পরিবারের অনুদানের অর্থে নির্মিত হয়।[১] স্যামুয়েল গোটেসম্যান কিতাবের মাজারের জন্য পুরনো চারটি ধর্মীয় পুঁথি পর্যন্ত কিনেন। সাত বছর ধরে নির্মিত কিতাবের মাজার আরমান্ড ফিলিপ বার্টস, ফ্রেডরিক জন কিসলার এবং গেজার হেলার নকশা করেন।[২] ফিলিপ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে গোটেসম্যান এর মেয়ে এর স্বামী যার ফলে তাকে নকশার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে ইসরায়েলি প্রকৌশলবিদেরা স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেন। তবে নির্মাণকাজ শেষ হয়।
এই মাজারটি সাদা গম্বুজ হিসেবে নির্মিত হয় যার চারদিকের কাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশ রাখা হয় মাটির নিচে তথা ভূগর্ভস্থে, ফলে ভবনের কাঠামোর উপরের অংশটি এর চারপাশের জলাধারের পানিতে প্রতিফলিত হয়। সাদা গম্বুজের অন্যদিকে একটি কালো শিলার দেওয়াল রয়েছে। একটি ব্যাখ্যা অনুসারে ভবন ও দেওয়ালের রং এবং এদের আকৃতি অন্ধকারের পুত্রদের বিরুদ্ধে আলোর পুত্রদের যুদ্ধ পুঁথির কাহিনী ভিত্তি করে নির্মিত, সাদা গম্বুজটিকে আলোর পুত্র এবং কালো দেওয়ালটিকে অন্ধকালের পুত্রদের প্রতীক ধরা হয়ে থাকে।[৩]
প্রাচীনতম হওয়ায় কিতাবের মাজারে সংরক্ষিত ধর্মীয় পুঁথিগুলোর ভঙ্গুরতার ফলে সেগুলো নিয়মিতভাবে প্রদর্শন করাটা অসম্ভব তাই একটি বিশেষ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। ৩-৬ মাস পুঁথিগুলো প্রদর্শনীর পর পর প্রদর্শনী ক্ষেত্র থেকে সেগুলো সরিয়ে অস্থায়ীভাবে একটি বিশেষ জমা কক্ষে রাখা হয় যেখানে পুঁথিগুলো আলো থেকে কিছুটা সময়ের জন্য বিশ্রাম পেয়ে থাকে।
মাজার ঘরটিতে নবী যিশাইয়ের পুঁথি রয়েছে যার নির্ধারিত তারিখ করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে, এবং এই মাজারে সবচাইতে অক্ষত পুঁথি আলেপ্পো কোডেক্স রয়েছে যার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে দশম শতাব্দীতে। এই আলেপ্পো কোডেক্স বর্তমানে প্রাপ্ত পৃথিবীর প্রাচীনতম টিকে থাকা বাইবেল।[৪] ভঙ্গুল প্রকৃতির হওয়ায় আসল যিশাইয়ের পুঁথির একটি প্রতিকৃতি বর্তমানে কিতাবের মাজারে প্রদর্শন করা হয়।
২০১৩ সালে ব্যাংক অব ইসরায়েল কিতাবের মাজার ভবনটিকে উৎসর্গ করে একটি ইসরায়েলি বুলিয়ন মুদ্রা প্রকাশ করেছিলো যেখানে নোটের পৃষ্ঠায় কিতাবের মাজারের ভবনের ছবি দেখা যায়।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ [http://www.jpost.com/JerusalemReport/Article.aspx?id=176539 Israel's Treasure Trove, Jerusalem Post
- ↑ Classics: Shrine of the Book / Armand Phillip Bartos and Frederick John Kiesler
- ↑ "Shrine of the Book, The Israel Museum, The Temple"। All About Jerusalem। ৮ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ [http://www.jpost.com/Magazine/Features/A-sound-in-silence A Sound in Silence, Jerusalem Post
- ↑ Shrine of the Book bullion coin
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- মির রনেন, "কিপার্স অব দ্যা স্ক্রলস," দ্য জেরুসালেম পোস্ট (জুলাই ২৪, ১৯৯৭).
- লেলকে, রোল্যান্ড, "ডের এন্ডলস রাউম ইন ফ্রেডরিক কিসলার্স শ্রেন দেস বুচেস," ("দ্য ইন্ডলেস স্পেস ইন ফ্রেডরিক কিসলার্স শ্রাইন অব দ্য বুক") (বুক, ১৮৭ পৃ.) শেকার ভার্লাগ, আচেন, (১৯৯৯) (জার্মান)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- জেরুসালেমের ইসরায়েল জাদুঘরে কিতাবের মাজার
- কিতাবের মাজার (হিব্রু ভাষায়)
- ইসরায়েল জাদুঘর, জেরুসালেম