বিষয়বস্তুতে চলুন

কারেকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কারেকা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম আন্তনিউ দি ওলিভেইরা ফিলিও
Antônio de Oliveira Filho
জন্ম (1960-10-05) ৫ অক্টোবর ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
জন্ম স্থান আরারাকুয়ারা, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৮৩ মি (৬ ফু ০ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান স্ট্রাইকার
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৭৮–১৯৮২ গুয়ারানি ৭৭ (৪৬)
১৯৮৩–১৯৮৭ সাঁউ পাউলু ৬৭ (৫৪)
১৯৮৭–১৯৯৩ নাপোলি ১৬৪ (৭৩)
১৯৯৩–১৯৯৬ কাশিওয়া রেইসোল ৬০ (৩১)
১৯৯৭ সান্তুশ (২)
১৯৯৮ কাঁপিনাশ ১০ (৬)
১৯৯৯ সাঁউ জুযি (০)
মোট ৩৮৯ (২১২)
জাতীয় দল
১৯৮২–১৯৯৩ ব্রাজিল ৬৪ (৩০)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

আন্তনিউ দি ওলিভেইরা ফিলিউ (পর্তুগিজ: Antonio de Oliveira Filho), যিনি তাঁর ডাকনাম "কারেকা" (Careca) নামেই বেশি পরিচিত, ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকের একজন ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁকে সর্বকালের সেরা ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারদের একজন (আক্রমণভাগের বিশেষায়িত খেলোয়াড় যার কাজ গোলে বল পাঠানো) হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ১৯৮২ সালে ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দলে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ৫টি ম্যাচে ৫টি গোল করে তিনি ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়েন। কেবল ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকার ঐ প্রতিযোগিতার তাঁর চেয়ে বেশি গোল করেছিলেন (৬টি)। কারেকার অসাধারণ লক্ষ্যভেদী নৈপুণ্য সত্ত্বেও ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দল কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের জাতীয় দলের কাছে টাইব্রেকারে পরাজিত হয়। কারেকা ১৯৯০-এর ফুটবল বিশ্বকাপেও ৪ ম্যাচে ২টি গোল করেন। ব্রাজিলের পক্ষে ৬০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩০টি গোল করার পরে ১৯৯৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়াও কারেকা ১৯৮০-র দশকে ক্লাব ফুটবলেও বহু সাফল্য অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬-র বিশ্বকাপের পরে ১৯৮৭ সালে সেসময় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবাহী ঘরোয়া ক্লাব ফুটবল লিগ ইতালীয় ফুটবল লিগ সেরিয়ে আ-তে বিশ্বকাপ জয়ী বিশ্বের তৎকালীন সেরা মধ্যমাঠের খেলোয়াড় দিয়েগো মারাদোনার সাথে একত্রে নাপোলি ফুটবল ক্লাবে খেলা শুরু করেন। কারেকা-মারাদোনা জুটি ১৯৮৯ সালে উয়েফা কাপ জিতে নাপোলিকে ইউরোপের সেরা ক্লাবের মর্যাদা এনে দেন। এর এক বছর পরে কারেকা-মারাদোনা জুটি ২৬টি গোল করে (মারাদোনা ১৬টি, কারেকা ১০টি) ১৯৮৯-১৯৯০ মৌসুমে নাপোলিকে সেরিয়ে আ লিগ জিততে সাহায্য করেন। স্বয়ং মারাদোনা কারেকাকে বিশ্বের ১নং খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি দেন।[] ইংল্যান্ডের কোচ ববি রবসন কারেকাকে তার ক্লাব সতীর্থ মারাদোনা, এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব এসি মিলানের দুই ওলন্দাজ তারকা রুড হুলিত ও মার্কো ফান বাস্টেনের সমকক্ষ হিসেবে গণ্য করতেন।[]

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্রাজিলের জাতীয় দলের করা সর্বকালের সেরা ১০০টি গোলের একটি ভিডিও ধারাবাহিক ২০১৪ সালে প্রকাশ করে। সেই তালিকাতে ১৯৮৬ সালের কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে করা কারেকা-র গোলটিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্রাজিলের ৮ম সেরা গোলের মর্যাদা দেওয়া হয়।[] এই গোলটিতে ব্রাজিলের প্রায় সাত জন খেলোয়াড় রক্ষণভাগ থেকে একে অপরকে পাস দিয়ে বল দেওয়া-নেওয়া করে প্রথমে শ্লথগতিতে, পরে হঠাৎ বিদ্যুৎগতিতে ফ্রান্সের রক্ষণভাগ ভেদ করে পেনাল্টি বাক্সে ঢুকে পড়ে, যেখানে কারেকা সঠিক সময়ে সঠিক অবস্থানে পৌঁছে শল্যচিকিৎসকসম দক্ষতায় কোণাকুনিভাবে প্রচণ্ড জোরে চূড়ান্ত শটটিকে ফ্রান্সের উড়ন্ত গোলরক্ষকের হাতের পাশ দিয়ে জালে প্রেরণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Wiliam Gildea (২৪ জুন ১৯৯০)। "Careca: The Master of All He Surveys"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২২ 
  2. "100 Great Brazilian Goals: #8 Careca (Mexico 1986)"