কলজেবুটি কাঠঠোকরা
কলজেবুটি কাঠঠোকরা ওরফে হৃৎপিণ্ড-ফোঁটাযুক্ত কাঠঠোকরা (Hemicircus canente) একটি পাখির প্রজাতি যা উডকিপার গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।[১] এদের সাদা-কালো পালক রয়েছে। এদের শরীর তুলনামূলক ছোট এবং পাতলা এবং একটি বড় কীলকাকার মাথা রয়েছে। এরা জোড়া বা ছোট দলে ঘুরে বেড়ায় এবং প্রায়শই মিশ্র প্রজাতির চরাঞ্চল পশুর মধ্যে দেখা যায়। মধ্য ভারতের বনাঞ্চলসহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া জুড়ে তাদের বিস্তৃত বিচরণ রয়েছে পাশাপাশি হিমালয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলেও এদের বিচরণ করতে দেখা যায়।
কলজেবুটি কাঠঠোকরা Dinopium javanense | |
---|---|
পুরুষ কলজেবুটি কাঠঠোকরা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Aves |
বর্গ: | Piciformes |
পরিবার: | Picidae |
গণ: | Hemicircus |
প্রজাতি: | H. canente |
দ্বিপদী নাম | |
Hemicircus canente (Lesson, 1830) | |
প্রতিশব্দ | |
|
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা
[সম্পাদনা]১৮৩২ সালে মিয়ানমারের বাগো হতে সংগ্রহ করা নমুনা থেকে ফরাসি প্রকৃতিবিদ রেনে লেসন কাঠঠোকরার এই প্রজাতিটিকে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি কাঠঠোকরার এই প্রজাতিটির দ্বিপদী নাম, Picus canente তৈরি করেছিলেন। [৩][৪] বৈজ্ঞানিক নামটি রোমান পৌরাণিক কাহিনী থেকে নেয়া হয়েছিল: ক্যানেন্স (Canens) নামক রূপসী নারীর কণ্ঠস্বর ছিল অত্যন্ত সুন্দর। তাঁর স্বামী ছিলেন পিকাস(Picus)। [৫] প্রজাতিটি পরবর্তীতে হেমিসার্কাস গণে স্থাপন করা হয়েছে যা ১৮৩৭ সালে ইংরেজ প্রকৃতিবিদ উইলিয়াম জন সোয়েনসান প্রবর্তন করেছিলেন। [৬][৭] প্রজাতিটির কোনোও স্বীকৃত উপ-প্রজাতি নেই। [৭]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]একটি ছোট, অনন্য আকারের, কালো কলজেবুটি কাঠঠোকরার লম্বা লেজ, ছোট শরীর এর মাথাটিকে দেখতে তুলনামূলক বৃহদাকার করে তোলে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই সাদা কাঁধে হৃদয়াকৃতির কালো দাগ রয়েছে। স্ত্রী কলজেবুটি কাঠঠোকরার কপাল সাদা রঙের এবং এদের মুকুট রয়েছে। অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে কপাল দেখতে কালো রঙের। [৮][৯]
বাসস্থান
[সম্পাদনা]এদের প্রাকৃতিক আবাস হচ্ছে উপ-ক্রান্তীয় অথবা ক্রান্তীয় আর্দ্র নিম্নভূমি বনাঞ্চল। এই প্রজাতির কাঠঠোকরাকে ভারতের হিমালয়ের বনাঞ্চলে এবং বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়েও দেখতে পাওয়া যায়। উল্লেখ্য- ভারতের অভ্যন্তরে মূলত এগুলি পশ্চিম ঘাট এবং মধ্য ভারতের বনাঞ্চলে বিচরণ করতে দেখা যায়। [১০]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Lesson, René P. (১৮৩০)। Centurie zoologique, ou, Choix d'animaux rares, nouveaux ou imparfaitement connus : enrichi de planches inédites, dessinées d'après nature par M. Prêtre, gravées et coloriées avec le plus grand soin। Paris: Chez F.G. Levrault। পৃষ্ঠা 215।
- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Hemicircus canente"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2012। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ Lesson, René P. (১৮৩০)। Centurie zoologique, ou, Choix d'animaux rares, nouveaux ou imparfaitement connus : enrichi de planches inédites, dessinées d'après nature par M. Prêtre, gravées et coloriées avec le plus grand soin। Paris: Chez F.G. Levrault। পৃষ্ঠা 215। Although the title page gives the year as 1830, the book was not published until 1832.
- ↑ Peters, James Lee, সম্পাদক (১৯৪৮)। Check-List of Birds of the World। Volume 6। Cambridge, Massachusetts: Harvard University Press। পৃষ্ঠা 223।
- ↑ Jobling, James A. (২০১০)। The Helm Dictionary of Scientific Bird Names। London: Christopher Helm। পৃষ্ঠা 88। আইএসবিএন 978-1-4081-2501-4।
- ↑ Swainson, William John (১৮৩৭)। On the Natural History and Classification of Birds। Volume 2। London: John Taylor। পৃষ্ঠা 306।
- ↑ ক খ Gill, Frank; Donsker, David; Rasmussen, Pamela, সম্পাদকগণ (২০২০)। "Woodpeckers"। IOC World Bird List Version 10.1। International Ornithologists' Union। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০।
- ↑ Bock, WJ; LL Short Jr (১৯৭১)। "'Resin secretion' in Hemicircus (Picidae)"। Ibis। 113 (2): 234–238। ডিওআই:10.1111/j.1474-919X.1971.tb05149.x।
- ↑ Menon GK; J Menon (২০০০)। "Avian epidermal lipids: functional considerations and relationship to feathering"। American Zoologist। 40 (4): 540–552। ডিওআই:10.1093/icb/40.4.540 ।
- ↑ Kanoje, R (১৯৯৫)। "Heartspotted Woodpecker in the Kanha National Park"। Newsletter for Birdwatchers। 35 (5): 96।