এলিজাবেথ অ্যাশলি
এলিজাবেথ অ্যাশলি | |
---|---|
Elizabeth Ashley | |
জন্ম | এলিজাবেথ অ্যান কোল আগস্ট ৩০, ১৯৩৯ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৬০-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেমস ফারেন্টিনো (বি. ১৯৬২; বিচ্ছেদ. ১৯৬৫) জর্জ পেপার্ড (বি. ১৯৬৬; বিচ্ছেদ. ১৯৭২) জেমস ম্যাকার্থি (বি. ১৯৭৫; বিচ্ছেদ. ১৯৮১) |
সন্তান | ১ |
এলিজাবেথ অ্যাশলি (ইংরেজি: Elizabeth Ashley; জন্ম ৩০ আগস্ট ১৯৩৯) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তিনটি টনি পুরস্কারের মনোনয়ন হতে ১৯৬২ সালের টেক হার, শি'জ মাইন মঞ্চনাটকে অভিনয়ের জন্য একটি পুরস্কার জয়লাভ করেছেন। অ্যাশলি দ্য কার্পেটবেগার্স (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও সেরা সম্ভাবনাময় নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৯১ সালে ইভনিং শেড-এ অভিনয় করে একটি এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি টুনাইট শো উইথ জনি কারসন-এ ২৪ বার অতিথি হিসেবে আসেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]অ্যাশলি ১৯৩৯ সালের ৩০শে আগস্ট ফ্লোরিডার ওকালা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম এলিজাবেথ অ্যান কোল। তার পিতা আর্থার কিংম্যান কোল একজন সঙ্গীত শিক্ষক এবং মাতা লুসিল (প্রদত্ত নাম: অয়ার)।[১] তিনি লুইজিয়ানার ব্যাটন রুজে বেড়ে ওঠেন।
অ্যাশলি প্রথম বর্ষেই লুইজিয়ানা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে নিউ ইয়র্ক চলে যান। তিনি সেখানে দ্য নেইবারহুড প্লেহাউজ স্কুল অব দ্য থিয়েটারে অভিনয় বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং নিজের ভরণপোষণের জন্য জেল-ও পুডিং গার্ল হিসেবে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ও শো-রুমের মডেল হিসেবে কাজ করতেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]অ্যাশলি টেক হার, শি'জ মাইন নাটকে অভিনয়ের জন্য ১৯৬২ সালে মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি ব্রডওয়েতে নিল সিমনের বেয়ারফুট ইন দ্য পার্ক (১৯৬৩) নাটকের মূল মঞ্চায়নে কোরি চরিত্রে এবং টেনেসি উইলিয়ামসের ক্যাট অন আ হট টিন রুফ (১৯৭৪) নাটকের ব্রডওয়ে পুনরুজ্জীবিতকরণে ম্যাগি চরিত্রে অভিনয় করেন। এই দুটি কাজের জন্য তিনি আরও দুটি টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩] ১৯৮২ সালে তিনি ব্রডওয়েতে অ্যাগনেস অব গড নাটকে অভিনয় করেন এবং অগাস্ট: ওসেজ কাউন্টি নাটকের ব্রডওয়ের মূল মঞ্চায়নে ম্যাটি ফে চরিত্রের বিকল্প অভিনেত্রী হিসেবে ছিলেন।
তিনি দ্য কার্পেটবেগার্স (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার[৪] ও সেরা সম্ভাবনাময় নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৫] পরের বছর তিনি শিপ অব ফুলস ও দ্য থার্ড ডে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল দ্য ম্যারিজ অব আ ইয়াং স্টকব্রোকার (১৯৭১), র্যাঞ্চো ডিলাক্স (১৯৭৫), কোমা (১৯৭৮), প্যাটার্নিটি (১৯৮১), ড্র্যাগনেট (১৯৮৭), ও ভ্যাম্পায়ার্স কিস (১৯৮৯)। তিনি বিতর্কিত উইন্ডোজ (১৯৮০) চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত সাম্প্রতিকতম চলচ্চিত্র হল হ্যাপিনেস (১৯৯৮) ও দ্য কেট ইটার্স (২০০৭)।
তার সন্তান জন্মের চার বছর পর তিনি হলমার্ক হল অব ফেম ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন।[৬] ১৯৬৯ সালে তিনি বার্ট রেনল্ডসের সাথে লাভ আমেরিকান স্টাইল-এর একটি পর্বে এবং বি. এল. স্ট্রাইকার-এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝিতে এনবিসিতে প্রচারিত স্যান্ডবার্গ্স লিংকন-এ কেট চরিত্রে অভিনয় করেন।[৭]:৯২৬ তার অভিনীত সর্বশেষ টিভি ধারাবাহিক হল ইভনিং শেড। তিনি ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই ধারাবাহিকে ফ্রিডা ইভান্স চরিত্রে অভিনয় করেন।[৭] এই কাজের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৮]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]অ্যাশলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তিনবারই তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তার প্রথম স্বামী অভিনেতা জেমস ফারেন্টিনো। ১৯৬২ সালে তাদের বিয়ে হয় এবং ১৯৬৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তার দ্বিতীয় স্বামী জর্জ পেপার্ড তার প্রথম চলচ্চিত্র দ্য কার্পেটবেগার্স (১৯৬৪)-এর প্রধান অভিনেতা ছিলেন।[৯] ১৯৬৬ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৯৭২ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এই দম্পতির এক পুত্র রয়েছে, তার নাম ক্রিশ্চিয়ান।[১০]
২৫ বছর বয়সে অ্যাশলি অভিনয় থেকে অবসর নেন যেন তিনি সংসারের দেখাশোনা করতে পারেন। তিনি তার পুত্র ক্রিশ্চিয়ানের জন্মের পর চার বছর পর্যন্ত অভিনয় বন্ধ রাখেন।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Elizabeth Ashley Biography (1939-)"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ রিড, রেক্স (সেপ্টেম্বর ২২, ১৯৭৪)। "Two First-Rate Talents On Second-Hand Broadway"। ডেইলি নিউজ। নিউ ইয়র্ক সিটি। পৃষ্ঠা Leisure - 5। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮ – নিউজপেপার.কম-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Elizabeth Ashley"। টনি পুরস্কার। ২৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Winners & Nominees 1965"। গোল্ডেন গ্লোব। ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Film in 1965 - BAFTA Awards"। বাফটা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ স্মিথ, সেসিল (নভেম্বর ২১, ১৯৬৯)। "Elizabeth Ashley Returns to Acting"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। পৃষ্ঠা Part IV - 25। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ – নিউজপেপার্স.কম-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ টেরেস, ভিনসেন্ট (জানুয়ারি ১০, ২০১৪)। Encyclopedia of Television Shows, 1925 through 2010 (ইংরেজি ভাষায়) (২য় সংস্করণ)। জেফারসন: ম্যাকফারল্যান্ড। পৃষ্ঠা ৩১৩। আইএসবিএন 978-0-7864-8641-0। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Nominees / Winners 1991"। এমিস (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব টেলিভিশন আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ ম্যানার্স, ডরথি (মে ২৯, ১৯৬৬)। "George Peppard retains his image as a loner"। দ্য নিউজ অ্যান্ড কুরিয়ার। চার্লসটন।
- ↑ গেটস, আনিতা (২০ জানুয়ারি ২০০৮)। "The Unsinkable Elizabeth Ashley"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯৩৯-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী
- ২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী
- নিউ ইয়র্ক শহরের অভিনেত্রী
- ফ্লোরিডার অভিনেত্রী
- ব্যাটন রুজ, লুইজিয়ানার অভিনেত্রী
- মার্কিন আত্মজীবনীকার
- মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- মার্কিন টেলিভিশন অভিনেত্রী
- মার্কিন মঞ্চ অভিনেত্রী
- টনি পুরস্কার বিজয়ী
- লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিনেত্রী
- ২১শ শতাব্দীর মার্কিন নারী