বিষয়বস্তুতে চলুন

এলডিন ব্যাপটিস্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এলডিন ব্যাপটিস্ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
এলডিন অ্যাশওয়ার্থ এল্ডারফিল্ড ব্যাপটিস্ট
জন্ম (1960-03-12) ১২ মার্চ ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
লিবার্টা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৭৯)
২১ অক্টোবর ১৯৮৩ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১২ এপ্রিল ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯)
১৩ অক্টোবর ১৯৮৩ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১৫ মার্চ ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮১ - ১৯৮৭কেন্ট
১৯৮১ - ১৯৯১লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস
১৯৯১নর্দাম্পটনশায়ার
১৯৯১ - ১৯৯৯ইস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৯৯ - ২০০১কোয়াজুলু-নাটাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৪৩ ২৪৫ ৩১০
রানের সংখ্যা ২৩৩ ১৮৪ ৮,০৭০ ২,৭৩২
ব্যাটিং গড় ২৩.৩০ ১৫.৩৩ ২৭.৭৩ ১৬.৩৫
১০০/৫০ ০/১ ০/০ ৩/৪৭ ০/৯
সর্বোচ্চ রান ৮৭* ৩১ ১৩৬* ৬৫
বল করেছে ১,৩৬২ ২,২১৪ ৪১,৫০৩ ১৪,৭২৪
উইকেট ১৬ ৩৬ ৭২৩ ৩৬৫
বোলিং গড় ৩৫.১৮ ৪১.৯৭ ২৪.৬৫ ২৬.৬৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৩১ ২/১০ ৮/৭৬ ৬/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১৪/– ১২০/– ৯৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

এলডিন অ্যাশওয়ার্থ এল্ডারফিল্ড ব্যাপটিস্ট (ইংরেজি: Eldine Baptiste; জন্ম: ১২ মার্চ, ১৯৬০) অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদার লিবার্টা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদা, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট এবং নর্দাম্পটনশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন এলডিন ব্যাপটিস্ট

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৮১ সাল থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত এলডিন ব্যাপটিস্টের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮১ সালে কেন্টের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটি টেস্ট ও তেতাল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন এলডিন ব্যাপটিস্ট। ২১ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ এপ্রিল, ১৯৯০ তারিখে সেন্ট জোন্সে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তবে, সাত বছরের অধিক সময়ে মাত্র দশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টেই তার দল জয় পেয়েছিল।[] কমপক্ষে ১০টি টেস্টে অংশগ্রহণকারী একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে শতভাগ জয়ের রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।

১৯৮৪ সালে এজবাস্টনে ৮৭ রান তুলেছিলেন। ঐ গ্রীষ্মে লর্ডসে স্মরণীয় ফিল্ডিং করেছিলেন। ৮০ গজ দূর থেকে মাঝের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে জিওফ মিলারকে রান আউট করেছিলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে অনেকগুলো দলের প্রধানে কোচের দায়িত্বে পালন করেছিলেন। তন্মধ্যে, কোয়াজুলু-নাটাল, অ্যান্টিগুয়া প্রো দল ও স্ট্যানফোর্ড সুপারস্টার্স অন্যতম। ইংল্যান্ড দলকে পরাজিত করার পর ২০০৮ সালে স্ট্যানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায় সুপারস্টার্স দলকে $২০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।

২০০৯ সালে কেনিয়া দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৩ সালে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The most exhilarating ODI of them all"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]