বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিপিডিয়া:নামকরণের রীতি (ইন্ডিক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিম্নলিখিত রীতির মাধ্যমে ইন্ডিক-সংক্রান্ত নিবন্ধ লেখা ও সম্পাদনা করা হয় এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যক্তি, স্থান, ও ঐতিহাসিক শব্দের নির্দিষ্ট নামকরণ প্রদান করে। এখানে "ইন্ডিক" বলতে বাংলাসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত এবং ইন্ডিক লিপি ব্যবহার করে এমন ভাষা থেকে জাত বিভিন্ন নাম ও শব্দদের বোঝায়।

ব্যাপ্তি

[সম্পাদনা]

এই রীতি ইন্ডিক-বিষয়ক যেকোনো নিবন্ধ বা কোনো ইন্ডিক লিপি ব্যবহার করে এমন ভাষার শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি ভারতীয় ধর্মের বেশিরভাগ ধার্মিক রচনাবলীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

মূল ভাষা

[সম্পাদনা]

এই রীতি বাংলাসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত এবং ইন্ডিক লিপি ব্যবহার করে এমন যেকোনো ভাষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাংলা বাদে উপমহাদেশে প্রচলিত অন্যান্য ভাষা হলো: অসমীয়া, ওড়িয়া, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কণী, গুজরাটি, তামিল, তেলুগু, নেপালি, পাঞ্জাবি (পূর্ব), পালি, প্রাকৃত, মারাঠি, মালয়ালম, সংস্কৃত, সিংহলী, ও হিন্দি

তবে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত কিছু ভাষা ইন্ডিক লিপি ব্যবহার করে না। এদের মধ্যে কিছু ভাষা আরবি বা ফার্সি লিপি ব্যবহার করে (যেমন উর্দু, পাঞ্জাবি (পশ্চিম), ও সিন্ধি; উইকিপিডিয়া:নামকরণের রীতি (আরবি) দেখুন), আবার কিছু ভাষা লাতিন লিপি ব্যবহার করে (যেমন উত্তরপূর্ব ভারতের একাধিক ভাষা)।

আবার কিছু ভাষা ইন্ডিক লিপি ব্যবহার করে কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে বেশি প্রচলিত নয়, যেমন: খমের, জাভাই, তিব্বতি, থাই, বর্মী, ও লাও)। নামকরণের এই রীতির কিছু ছত্র এদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

বিষয়বস্তু

[সম্পাদনা]

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে নামকরণের এই রীতি নিবন্ধে প্রয়োগ করা উচিত:

  • উপমহাদেশ থেকে জাত ধর্ম, অর্থাৎ ভারতীয় ধর্ম
  • ভারতের পুরাণকথা।
  • উপমহাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিবন্ধ ও স্থাননাম, যার মধ্যে বিশেষত ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের আগের ইতিহাস নিহিত।

সম্মানসূচক শব্দ

[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়ার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও বৃহত্তর নির্দেশাবলীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নামের সঙ্গে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয় যদি নামটি কোনো বহিস্থ উদ্ধৃতির অংশ না হয়।

ধার্মিক গ্রন্থে ভগবান বা দেবদেবীর নামের আগে, এমনকি মাননীয় ব্যক্তিদের নামের সঙ্গে "শ্রী", "শ্রীমান" বা অন্যান্য সম্মানসূচক উপসর্গ যোগ করা হয়। উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে এগুলি অপসারিত করা উচিত; যেমন "কৃষ্ণ", "শ্রীকৃষ্ণ" নয়। কখনো কখনো সম্মানসূচক প্রত্যয়ও যোগ করা হয়, যেমন "জি" বা "জী"। এগুলিও অপসারিত করা উচিত; যেমন "মহাত্মা গান্ধী", "গান্ধীজি" নয়। এছাড়া, উপসর্গ বা প্রত্যয় হিসেবে পদের নামও ব্যবহার করে উচিত নয়, যেমন "সাংসদ", "বিধায়ক" বা "বিচারপতি"।

কিছু ব্যতিক্রম করা যেতে পারে যেখানে ব্যক্তি সম্মানসূচক শব্দ ছাড়া পরিচিত নন (যেমন: শ্রী চিন্ময়) বা এটি দ্ব্যর্থতা নিরসনের জন্য উপযুক্ত।

সম্মানসূচক শব্দের নিম্নলিখিত তালিকাটি দেখুন:

  • আচার্য
  • গুরু, গুরুদেব
  • জি, জী
  • দেব, দেবী
  • পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী
  • পূজ্য
  • বঙ্গবিভূষণ, বঙ্গভূষণ
  • বাবু
  • ভগবান
  • ভারতরত্ন
  • মহৎ, মহান
  • মাননীয়, মাননীয়া
  • রাজা, রানি (কিংবা মহারাজা, মহারানি)
  • শঙ্করাচার্য
  • শহিদ, শহীদ
  • শ্রী, শ্রীমৎ, শ্রীমান, শ্রীযুক্ত
  • সাহেব
  • স্বামী, স্বামিনী

ব্যক্তিদের নামের অন্য রূপের জন্য পুনর্নির্দেশ তৈরি করা যেতে পারে।

নামকরণ ও প্রতিবর্ণীকরণ

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ও অন্যান্য বাংলাভাষী এলাকার নিবন্ধের নামের ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত নাম ও বানান ব্যবহার করা উচিত। নাম সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও বানান সুপ্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী বানান ব্যবহার করা উচিত। সুপরিচিত অন্যান্য বানানের ক্ষেত্রে পুনর্নির্দেশ তৈরি করা যেতে পারে এবং তাদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য বানান মূল অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা যেতে পারে।

বাংলা ব্যতীত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে নামের সহজবোধ্য প্রতিবর্ণীকরণ ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে মূল লিপিতে নামটিও উল্লেখ করা উচিত; যেমন: "শিবাজি (মারাঠি: शिवाजी, প্রতিবর্ণী. শিৱাজি)"।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]