আলি (চলচ্চিত্র)
আলি | |
---|---|
পরিচালক | মাইকেল মান |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার |
|
কাহিনিকার | গ্রেগরি অ্যালেন হাওয়ার্ড |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | |
চিত্রগ্রাহক | ইমানুয়েল লুবেজকি |
সম্পাদক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | সনি পিকচার্স রিলিজিং (উত্তর আমেরিকা) জিকে ফিল্মস (ইন্টারন্যাশনাল) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৭ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরাজী |
নির্মাণব্যয় | $১০৭–১১৮ মিলিয়ন[১][২] |
আয় | $৮৭.৭ মিলিয়ন[১] |
আলি ২০০১ সালের একটি আমেরিকান জীবনী মূলক ক্রীড়া কাহিনী চলচ্চিত্র। চিত্রটির সহ-রচয়িতা, প্রযোজনা ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মাইকেল মান। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত উইল স্মিথ অভিনীত বক্সার মুহম্মদ আলীর জীবনের দশ বছরের উপরে এই ছবিটির দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর হেভিওয়েট উপাধি সনি লিস্টন থেকে, ইসলাম এ তাঁর ধর্মান্তরকরণ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এর সমালোচনা এবং বক্সিং থেকে তাঁর নিষিদ্ধকরণ, ১৯৭১ সালে জো ফ্রেজিয়ারের সাথে লড়াই -এ ফিরে আসা এবং অবশেষে ১৯৭৪ সালে জর্জ ফোরম্যান এর কাছ থেকে দ্য রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল লড়াইয়ে পদকটি পুনরুদ্ধার করা পর্যন্ত বিস্তৃত। ছবিটি ম্যালকম এক্স এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এর মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর দুর্দান্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্থানকেও স্পর্শ করে গেছে।
ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা বেশ প্রশংসিত হয় এবং এটি ছিল একটি বক্স-অফিস বোমা। স্মিথ এবং জোন ভয়েট যথাক্রমে সেরা অভিনেতা এবং সেরা সহায়ক অভিনেতা হিসাবে একাডেমি পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
পটভূমি
[সম্পাদনা]চলচ্চিত্রটি শুরু হয় ক্যাসিয়াস ক্লে জুনিয়র এর হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন সনি লিস্টন এর সাথে চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেকের আগের মুহুর্ত থেকে। ক্লে লিস্টনকে কটাক্ষ করেন। তারপরে ম্যাচের প্রথম রাউন্ডগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেন। মাঝ পর্বে তিনি তার চোখে জ্বালা অনুভূতির অভিযোগ করেন (বোঝান যে লিস্টন প্রতারণার চেষ্টা করেছে) এবং বলেন যে তিনি চালিয়ে যেতে পারছেন না। তবে তাঁর প্রশিক্ষক/পরিচালক অ্যাঞ্জেলো ডান্ডি তাঁকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ক্লে দেখতে সক্ষম হয়ে যাওয়ার পর লড়াইয়ে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেন এবং লিস্টন সপ্তম রাউন্ডের আগে সরে দাঁড়ান। ফ্লয়েড প্যাটারসন এর পরে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ক্লে ঘোষিত হন।
ছবিতে দেখা যায় ক্লে ম্যালকম এক্স এর সাথে সময় কাটান। তারপরে জাতির ইসলাম নেতা এলাইজা মুহাম্মদ এর বাড়িতে আমন্ত্রিত হন। সেখানে তাঁকে মোহাম্মদ আলী নাম দেওয়া হয়। তাঁর বাবা ক্যাসিয়াস ক্লে সিনিয়র এটি অস্বীকার করেন। আলি প্রাক্তন-প্লেবয় বানি সোনজি রয়কে বিয়ে করেন। যদিও সোনজি মুসলিম নন এবং যৌন বিচ্ছেদ মেনে চলেন না। আলি আফ্রিকা গিয়ে ম্যালকম এক্স এর সাথে সাক্ষাত করেন। কিন্তু পরে এলাইজা মুহাম্মদের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে রাজি হননি। এক্সকে পরে হত্যা করা হলে আলি ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন।
আমেরিকায় ফিরে আসার পরে আলি দ্বিতীয়বার সনি লিস্টনের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামেন এবং প্রথম রাউন্ডেই তাঁকে পরাস্ত করেন। মুসলিম মহিলার বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার প্রতি তাঁর আপত্তি থাকায় সোনজির সাথে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।[৩]
আলী ভিয়েতনাম যুদ্ধ এর জন্য সৈন্যদলে বাধ্যতামূলক নথিভুক্তিরণ প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে তাঁর বক্সিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট এবং উপাধি ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। আলি ১৭ বছর বয়সী বেলিন্ডা বয়েড কে বিয়ে করেন। তিন বছরের ব্যবধানের পরে তাঁর দন্ডাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং তাঁর প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ে তিনি জেরি কোয়ারি এর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিন রাউন্ডে নকআউটে প্রযুক্তিগত নিস্পত্তিতে তিনি জয়লাভ করেন।
আলি জো ফ্রেজিয়ার এর বিপক্ষে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। "শতাব্দীর লড়াই" - তে ফ্রেজিয়ার সাধারণত আলীর বিরুদ্ধে আপার হ্যান্ড প্রয়োগ করে এক সিদ্ধান্তে জয়লাভ করেন। আলির পেশাদার জীবনে সেটাই প্রথম ক্ষতি। ফ্রেজিয়ার অবশ্য পরে চ্যাম্পিয়নশিপটি জর্জ ফোরম্যান এর কাছে হেরে গিয়ে প্রত্যার্পণ করতে বাধ্য হন।
ফোরম্যান এবং আলি কিনশা, জাইরে -তে যান দ্য রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল লড়াইয়ের জন্য। সেখানে ভেরোনিকা পোরচের সাথে আলির দেখা হয় এবং তাঁর সাথে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খবরের কাগজের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁর স্ত্রী বেলিন্ডা এই সম্পর্কে তাকে মোকাবিলা করার জন্য জাইরে যান। আলি বলেন যে তিনি সত্যই ভেরোনিকাকে ভালোবাসেন কিনা সে সম্পর্কে তিনি অনিশ্চিত এবং তখন তিনি কেবল তাঁর আসন্ন শিরোনাম লড়াইয়ে মনোনিবেশ করতে চান।
ফোরম্যানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি ভাল অংশের জন্য আলি দড়ির উপর ঝুঁকেছিলেন এবং ফোরম্যানকে ক্লান্ত করতে দিয়েছিলেন। তারপরে তিনি ক্লান্ত ফোরম্যানকে ছিটকে দিয়ে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ ফিরে পান।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Ali (2001)"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৭, ২০২০।
- ↑ Zoë Ettinger (জুন ১৫, ২০২০)। "20 films no one expected to lose money at the box office"। Insider Inc.। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৭, ২০২০।
- ↑ Mirror.co.uk (২০১৬-০৬-০৪)। "Muhammad Ali and the women who loved him during his four marriages"। mirror। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-০৮।
- ২০০১-এর চলচ্চিত্র
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- নিউ ইয়র্ক শহরের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- এরিক রথের চিত্রনাট্য সংবলিত চলচ্চিত্র
- জাতি ও জাতিসত্তা সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
- আফ্রিকান-মার্কিন চলচ্চিত্র
- কলাম্বিয়া পিকচার্সের চলচ্চিত্র
- ১৯৬০-এর দশকের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ১৯৭০-এর দশকের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ইসলাম সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র