আলাপ:তসলিমা নাসরিন
আলোচনা যোগ করুনএই পাতাটি তসলিমা নাসরিন নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
উইকিপ্রকল্প ময়মনসিংহ | ||||||||||||||
|
উইকিপ্রকল্প সাহিত্য | ||||||||||||||
|
তসলিমার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব
[সম্পাদনা]তসলিমা সম্ভবত এখন আর বাংলাদেশী নাগরিক নন। তবে কি তাঁকে বাংলাদেশী-বংশোদ্ভুত সুইডিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করা যেতে পারে। --অর্ণব দত্ত (আলাপ) ১৬:৩৯, ৩ মার্চ ২০১০ (ইউটিসি)
- তাঁর বাংলাদেশি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনো খবর কী এসেছে কোথাও? রিলায়েবল রেফারেন্স না থাকলে তিনি তো বাংলাদেশি-ই থাকবেন। তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ছোট ছোট আন্দোলন তো মাঝে মাঝেই হয় দেখি। — তানভির • আলাপ ↑ অবদান ↓ ১৬:৫৫, ৩ মার্চ ২০১০ (ইউটিসি)
- বাংলাদেশী নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। কানে শোনা কথা। কনফার্ম নই বলেই জিজ্ঞাসা করলাম। --অর্ণব দত্ত (আলাপ) ১৬:৫৮, ৩ মার্চ ২০১০ (ইউটিসি)
তসলিমা নাসরিনের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব কখনোই কেড়ে নেয়া হয়নি। যেটা এক সময়ে হয়েছিলো তা হলো তাঁর বাংলাদেশী পাসপোর্ট আটকে রাখা হয়েছিলো, সেটাও নব্বই এর দশকের কথা। সেটা ফিরিয়ে দেয়ার পর তিনি ৯৪ সালে বিদেশে যান বাংলাদেশী পাসপোর্টেই। যতদূর জানি, তার এখনো বাংলাদেশী পাসপোর্ট রয়েছে। তাঁকে সুইডিশ নাগরিক বলার কোনো কারণ দেখছি না। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২০:২৮, ৩ মার্চ ২০১০ (ইউটিসি) তসলিমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে যা লেখা আছে তা হলো এরকম - ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকার তার পাসপোর্ট আটক করেছিলো। সেটা ফেরত পাওয়ার পর সেই পাসপোর্টে ৯৪ এ তিনি দেশের বাইরে যান। ৯৫/৯৬ এ তাঁর বাংলাদেশী পাসপোর্টই ছিলো। সুইডেনে ৯৮ সালে থাকার সময়ে তিনি তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট (সুইডিশ সরকারের কাছ থেকে ) ফেরত নিয়ে তা নিয়ে বাংলাদেশে যান। সেখানে ৩ মাস থাকার পরে তিনি আবার বিদেশে যান ঐ পাসপোর্টেই।
বাংলাদেশী পাসপোর্টের মেয়াদ থাকে ৫ বছর। সম্ভবত ২০০১ সালের দিকে ঐ পাসপোর্ট মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা তখনকার ২য় মেয়াদের বিএনপি সরকার নবায়ন করেনি। ২০০৮ সালে তিনি আবারও তার পাসপোর্ট নবায়ন করার আবেদন করেন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার তা নবায়ন করেনি।
যাহোক, এতে এটাই প্রমাণ হচ্ছে, তসলিমার নাগরিকত্ব কখনোই "কেড়ে নেয়া" হয়নি, তার প্রশ্নই আসে না। নাগরিকত্ব আর পাসপোর্ট এক জিনিষ নয়। তসলিমাকে নিয়ে অনেক ভুল খবর ও গুজব বিভিন্ন ভাবে প্রচার পেয়েছে, এই ব্যাপারটা তারই প্রমাণ। তাই "শোনা কথা"য় বিশ্বাস না করাই ভালো :) --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২০:৪০, ৩ মার্চ ২০১০ (ইউটিসি)
- ধন্যবাদ। "শোনা কথা"-য় বিশ্বাস রাখি না বলেই বিষয়টি কনফার্ম করে নিলাম। --অর্ণব দত্ত (আলাপ) ০৩:৩৯, ৪ মার্চ ২০১০ (ইউটিসি)
দয়াকরে নিম্নক্ত কথা টুকু মুল পাতায় যোগ করুন
[সম্পাদনা]তসলিমা নাসরিন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম আপোসহীন নারীবাদী লেখিকা। লেখালেখির জন্য অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন আবার বিতর্কিতও হয়েছেন। নারীর অধিকারের কথা বলতে গিয়ে তিনি শুধু ধর্মীয় মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হননি, গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এর পরিণামে তিনি তাঁর প্রিয় স্বদেশ থেকে বিতাড়িত। মানবতার পক্ষে লেখা তসলিমার পাঁচটি বই বাংলাদেশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তসলিমা প্রচুর পুরস্কার এবং সম্মান অর্জন করেছেন। সাহিত্যের জন্য দু’বার পেয়েছেন আনন্দ পুরষ্কার। ইওরোপিয়ান পার্লামেন্ট থেকে মুক্তচিন্তার জন্য শাখারভ পুরস্কার, সহিষ্ঞুতা ও শান্তি প্রচারের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার, ফরাসি সরকারের মানবাধিকার পুরস্কার, সিমোন দ্য বোভোয়া পুরস্কার। বেলজিয়াম এবং ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারবার সাম্মানিক ডক্টরেট। সুত্রঃ তসলিমার ফেসবুক থেকে নেওয়া — মুক্ত মনা (আলাপ • অবদান) এই স্বাক্ষরহীন মন্তব্যটি যোগ করেছেন।