আরশি নগর ফিউচার পার্ক
আরশি নগর ফিউচার পার্ক | |
---|---|
ধরন | পল্লী উদ্যান |
অবস্থান | জোরারগঞ্জ, মীরসরাই, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°৫১′৫৬.৭৪১৭৬″ উত্তর ৯১°৩২′৪১.০৩৮০৮″ পূর্ব / ২২.৮৬৫৭৬১৬০০০° উত্তর ৯১.৫৪৪৭৩২৮০০০° পূর্ব |
আয়তন | ১৪ একর (০.০৫৭ কিমি২)[১] |
প্রতিষ্ঠিত | ২০০৮ |
মালিকানাধীন | নাসির উদ্দিন দিদার |
পরিচালিত | মোশরেফা মেহেরিন আরশি |
পরিদর্শক | ১০০০ |
খোলা | ০৯:০০ থেকে ২১:০০ (বিএসটি) |
অবস্থা | সারা বছর উন্মুক্ত |
পথ | ১৪,০০০ ফুট (৪,৩০০ মি) |
প্রজাতি | ১১০ প্রজাতির গাছ |
পার্কিং | ৩০০ |
সুবিধা | রেস্তোরাঁ, শপিং মল, ক্যাম্পিং এবং রিসোর্ট ইত্যাদি |
আরশি নগর ফিউচার পার্ক বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার একটি উন্মুক্ত উদ্যান। এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। ২০০৮ সালে নাসির উদ্দিন দিদার ১৪ একর জমির ওপর উদ্যানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
২০০৮ সালের জুলাইয়ে গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি পার্কটি উদ্বোধন করেন। নাসির উদ্দিন দিদারের মেয়ে আরশি'র নামানুসারে পার্কটির নামকরণ হয়।[১]
বিবরণ
[সম্পাদনা]ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকার প্রায় ১৪ একর পাহাড়ী ও ঢালু জায়গায় পার্কটি অবস্থিত। ২০০৮ সালে বিনোদন কেন্দ্রটির কাজ শুরু করেন নাসির উদ্দিন দিদার।[১] পার্কের বর্তমান প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা।[২]
বিনোদন ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]আরশি নগর ফিউচার পার্কের বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের জন্য রয়েছে ট্রেন, মেরি গোল্ড (ঘোড়া), জাম্পিং, নাগরদোলা সাম্পান, মোটর সাইকেল কিং রাইডস এবং কার্টুনসহ বিভিন্ন রকম রাইড। এছাড়াও ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য রয়েছে প্যাডেল বোট, স্পিডবোট, ঘোড়া, জিরাফসহ আকর্ষণীয় সব রাইড। তরুণ-তরুনীদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি গেম জোন, লাভ পয়েন্ট, ফিশিং জোন এবং কটেজ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে মুক্ত মঞ্চ, ফুড জোন এবং ওয়াচ টাওয়ার। প্রবীনদের জন্য হাঁটাহাঁটি ও বিশ্রাম জোন এবং শপিং কর্ণারের ব্যবস্থা রয়েছে। দূরের পর্যটকদের জন্য রয়েছে কটেজ। এছাড়াও ভেতরে আছে কনভেনশন সেন্টার ও উন্নত মানের রেস্তোরাঁ। আরও রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা, মনোরম ফুলবাগান এবং আলোকসজ্জা।[১][২]
অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]পার্কে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন কারু কাজ ও ভাস্কর্য রয়েছে। দর্শনার্থীদের রাত্রিযাপনের জন্য বর্তমানে ১৮টি রিসোর্টের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ৩টি রিসোর্টের কাজ শেষ হয়েছে। পার্কের ভেতরে ২৫টি পিকনিক স্পট ছাড়াও বিয়ে এবং সেমিনারের জন্য ৫টি বড় হল রুম রয়েছে। স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে লালন ও বাউল সংগীত মঞ্চ। যেখানে দেশবরেণ্য লালন ও বাউল শিল্পীরা প্রতি সপ্তাহে সংগীতানুষ্ঠান করে। পার্কে ৩০০ গাড়ি রাখার পার্কিং ব্যবস্থাও রয়েছে। পার্কে বর্তমানে প্রায় তিনশ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।[৩]
পাখিদের কলরব
[সম্পাদনা]পার্কটিতে রয়েছে চড়ুই, বাবুই, টুনটুনি, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পাখিদের জন্য প্রাকৃতিক খাবার ও উন্মুক্ত বাসস্থানের কথা মাথায় রেখে গাছে গাছে হাঁড়ি টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।[৪]
পাখিদের এই ঠিকানা গড়ে উঠেছে পার্কের ভেতরের অর্কিচ রেস্টুরেন্টের বিপরীতে সবুজ অভয়ারণ্য অংশে। বিশেষ করে লাটোরা জাতের এক ধরনের নতুন প্রজাতির প্রাকৃতিক পাখিদের দলবেঁধে চিৎকার করতে দেখা যায়।
কটেজ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]আরশি নগর ফিউচার পার্কে রয়েছে ৫টি কটেজ। আর ৫টি কটেজেই রয়েছে আধুনিক সব ব্যবস্থা। যে কোনো দর্শনার্থী চাইলে পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে রাত্রিযাপন করতে পারবে। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় যোগাযোগের কোনো অসুবিধা নেই।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "ঘুরে আসুন আরশিনগর ফিউচার পার্ক"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৩ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ ক খ "আরশিনগর ফিউচার পার্ক: পর্যটকদের জন্য একটি নিরাপদ বিনোদন কেন্দ্র" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "মিরসরাইয়ে নজর কাড়ছে আরশিনগর ফিউচার পার্ক"। দৈনিক সমকাল। ২৫ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "পাখিদের কলতানে মুখর আরশিনগর"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২২।