অতি-সাইবেরীয় রেলপথ

দে; স; ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে
লাইনের দৈর্ঘ্য	৯,২৮৯ কিমি (৫,৭৭২ মা)
	১৯১২ সালে পার্ম শহরের কাছে কামা নদীর উপরে সেতু
	ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ লাল রং-এ; বৈকাল আমুর মেইনলাইনসবুজ রং-এ
লাইনের দৈর্ঘ্য	৯,২৮৯ কিমি (৫,৭৭২ মা)
ট্র্যাক গজ	ব্রড ১৫২০

অতি-সাইবেরীয় রেলপথ বা ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে (রুশ: Транссибирская магистраль Transsibirskaya magistral) একটি রেলপথ ব্যবস্থা যা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোকে দেশটির পূর্বাঞ্চল তথা সাইবেরিয়ার সাথে যুক্ত করেছে।^[১] এটি বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ। মঙ্গোলিয়া, চীন এবং উত্তর কোরিয়ায় এই রেলপথের সংযোগকারী শাখা আছে। ১৯১৬ সাল থেকে এটি মস্কোকে ভ্লাদিভস্তকের সাথে যুক্ত করেছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো রেলপথ।^[২]

নির্মাণ

১৮৯১ সালের ৯ মার্চ, রাশিয়ার সরকার একটি সাম্রাজ্যীয় লিপি জারি করে তাতে সাইবেরিয়া জুড়ে একটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে।^[৩] তাসারেভিচ নিকোলাস (দ্বিতীয় জার নিকোলাস) সেই বছরের ১৯ মে ভ্লাদিভোস্টকে রেলপথ নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন।^[৪] ১৮৯১ সালেই পুরোদমে অতি-সাইবেরীয় রেলপথের কাজ শুরু হয়।^[৫] এই নির্মাণকাজটি পরবর্তীকালে সোভিয়েত অর্থমন্ত্রী সের্গেই ভিট তত্ত্বাবধান করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অতি-মহাদেশীয় রেলপথের ন্যায় রুশ প্রকৌশলীরাও অতি-সাইবেরীয় রেলপথের বিপরীত দুই প্রান্ত থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ভ্লাদিভস্তকে উসুরি নদীর তীর ঘেষে উত্তর দিকে চলে গেছে। তাই এটি সেখানে উসুরি রেলপথ নামেও পরিচিত। ১৮৯০ সালে উরাল নদীর উপর দিয়ে একটি সেতু নির্মিত হয় এবং অতি-সাইবেরীয় রেলপথ এশিয়ায় প্রবেশ করে। ওব নদীর উপরের সেতুটি ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়। নভোনিকোলেভেস্ক শহর ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি পরে সাইবেরিয়ার অন্যতম বড়ো শহর নোভোসিবির্স্কে পরিনত হয়। মঙ্গোলিয়া, চীন এবং উত্তর কোরিয়া সংযোগকারী রেলপথগুলি দিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেলপথ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে।^[৬]^[৭]

চিত্রশালা

মস্কোতে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ের শুরু
কামা নদীর উপর সেতু
উরাল পর্বত অঞ্চলে উস্তকাতাভ শহরের নিকটে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ের একজন সুইচম্যান
সিমসকায়া রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফরমের পেছন থেকে দৃশ্যমান ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে
এপ্রিলের শেষে তুষার, নাজিভায়েভস্ক স্টেশন, সাইবেরিয়া.
বৈকাল হ্রদে ট্রেন ফেরি এসএস বৈকাল
কুল্টুক অঞ্চলে ট্রেন একটি টানেলে প্রবেশ করছে
ভ্লাদিভস্টক টার্মিনাল, যেখানে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে শেষে হয়েছে

তথ্যসূত্র

↑ "Lonely Planet Guide to the Trans-Siberian Railway" (পিডিএফ)। web.archive.org। ২০১২-০৯-০৫। ২০১২-০৯-০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৩।
↑ Thomas, Bryn; McCrohan, Daniel (২০১৯)। Trans-Siberian Handbook: The Guide to the World's Longest Railway Journey with 90 Maps and Guides to the Route, Cities and Towns in Russia, Mongolia and China (ইংরেজি ভাষায়)। Trailblazer Publications। আইএসবিএন 978-1-912716-08-1।
↑ Davis, Clarence B.; Wilburn, Kenneth E. Jr; Robinson, Ronald E. (১৯৯১)। "Russia, the Soviet Union, and the Chinese Eastern Railway"। Railway Imperialism। Westport, Connecticut: Greenwood Press। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 978-0313259661। ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ – Questia-এর মাধ্যমে।
↑ Pleshakov, Constantine (২০০২)। The Tsar's Last Armada: The Epic Journey to the Battle of Tsushima। New York: Basic Books। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 0465057926। ৩ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৫ – Questia-এর মাধ্যমে।
↑ Meakin, Annette M. B (১৯৭০)। A ribbon of iron (English ভাষায়)। New York: Arno Press। ওসিএলসি 118166।
↑ "New 8,400 mile train journey will connect London to Toyko"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৩।
↑ "Russia offers a bridge across history to connect Tokyo to the Trans-Siberian railway"। siberiantimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৩।

বহিঃসংযোগ

[1] "Lonely Planet Guide to the Trans-Siberian Railway" (পিডিএফ)। web.archive.org। ২০১২-০৯-০৫। ২০১২-০৯-০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৩।

[2] Thomas, Bryn; McCrohan, Daniel (২০১৯)। Trans-Siberian Handbook: The Guide to the World's Longest Railway Journey with 90 Maps and Guides to the Route, Cities and Towns in Russia, Mongolia and China (ইংরেজি ভাষায়)। Trailblazer Publications। আইএসবিএন 978-1-912716-08-1।

[Questia-3] Davis, Clarence B.; Wilburn, Kenneth E. Jr; Robinson, Ronald E. (১৯৯১)। "Russia, the Soviet Union, and the Chinese Eastern Railway"। Railway Imperialism। Westport, Connecticut: Greenwood Press। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 978-0313259661। ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ – Questia-এর মাধ্যমে।

[4] Pleshakov, Constantine (২০০২)। The Tsar's Last Armada: The Epic Journey to the Battle of Tsushima। New York: Basic Books। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 0465057926। ৩ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৫ – Questia-এর মাধ্যমে।

[5] Meakin, Annette M. B (১৯৭০)। A ribbon of iron (English ভাষায়)। New York: Arno Press। ওসিএলসি 118166।

[6] "New 8,400 mile train journey will connect London to Toyko"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৩।

[7] "Russia offers a bridge across history to connect Tokyo to the Trans-Siberian railway"। siberiantimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৩।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ
সাধারণ	আইএসএনআই ১ ভিআইএএফ ১ ওয়ার্ল্ডক্যাট (ভিআইএএফ হয়ে)
জাতীয় গ্রন্থাগার	ফ্রান্স (উপাত্ত) কাতালুনিয়া জার্মানি ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপান চেক প্রজাতন্ত্র সুইডেন
অন্যান্য	সুডক (ফ্রান্স) ১