বিষয়বস্তুতে চলুন

অঞ্জুম চোপড়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অঞ্জুম চোপড়া
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অঞ্জুম চোপড়া
জন্ম (1977-05-20) ২০ মে ১৯৭৭ (বয়স ৪৭)
নয়া দিল্লি, ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনবা-হাতি
বোলিংয়ের ধরনডান-হাতি মিডিয়াম ফাস্ট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক১৭ নভেম্বর ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৯ আগস্ট ২০০৬ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক১২ ফেব্রুয়ার ১৯৯৫ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২১ মার্চ ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
এয়ার ইন্ডিয়া নারী
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০ আই
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ১১৬
রানের সংখ্যা ৫৪৮ ২৭০৬ ৬৫
ব্যাটিং গড় ৩০.৪৪ ৩৩.৪০ ৩২.৫০
১০০/৫০ ০/৪ ১/১৭ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৯৮ ১০০ ৩৭*
বল করেছে ২৫৮ ৬০১
উইকেট
বোলিং গড় ৪৪.০০ ৪৬.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট n/a n/a
সেরা বোলিং ১/৯ ২/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৩/– ৩১/– ১/–
উৎস: Cricinfo, 18 June 2009

অঞ্জুম চোপড়া (জন্মঃ ২০ মে ১৯৭৭) হলেন ভারতীয় জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের একজন সদস্য।[] তিনি নতুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র নয় বছর বয়সে অঞ্জুম ক্রিকেটে মাঠে পা রাখেন এবং প্রথমদিন থেকেই তিনি বুঝিয়ে দেন যে তিনি একজন মস্ত বড়ো ক্রিকেটার হবেন। তিনি তাঁর প্রথম প্রীতি ম্যাচ খেলেন, কলেজের মেয়েদের দলের সাথে আন্ত-কলেজ পর্যায়ে, ২০ রান করেন এবং সাথে ২ উইকেট নেন। পরে একই বছর অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সীদের টুর্নামেন্টে তিনি নয়া দিল্লির হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।

তিনি অল্প বয়সে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করতেন, তিনি তাঁর স্কুল ও কলেজের হয়ে অ্যাথলেটিকস, বাস্কেটবল এবং সাঁতারে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায়, দিল্লি রাজ্য বাস্কেটবল দলের সদস্যও ছিলেন।[]

তিনি ১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নিউজিল্যান্ড এর ক্রাইস্টচার্চের মাঠে নিউজিল্যান্ড বিরুদ্ধে মাত্র সতের বছর বয়সে একদিনের আন্তর্জাতিকে আত্মপ্রকাশ করেন। এছাড়াও কয়েক মাস পরে ১৭ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।[] একই বছর তাঁর দ্বিতীয় সিরিজে তিনি ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬৭.৫ গড়ে রান করে প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজ হন।

তিনি একজন বা-হাতি ব্যাটসম্যান এবং ডান হাতের মাঝগতির ফাস্ট বোলার। তিনি ১২টি টেস্ট এবং ১১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন।[][] সনেট ক্লাবের সুনিতা শর্মা, হরদীপ দুয়া এবং তারক সিনহা ভিভন্ন সময়ে তাঁকে প্রশিক্ষণ দেন।[]

দেশের বেশীরভাগ পুরুষ-অধ্যুষিত খেলাধুলায় থাকা স্বত্বেও আনজুম একজন খেলোয়াড়, অধিনায়ক, পরামর্শদাতা, অনুপ্রেরণাকারী স্পিকার, লেখক এবং অভিনেতা হিসাবে ভারতের মহিলা ক্রিকেটের মুখ হিসাবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

অঞ্জুম ক্রীড়াবিদদের এক পরিবারে জন্ম তাঁর মাতামহ দাদু বেদ প্রকাশ সাহনি একজন ক্রীড়াবিদ যিনি ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন এবং পরে একজন ক্রিকেট ভাষ্যকার। তাঁর পিতা কৃষ্ণ বাল চোপড়া একজন গল্ফ খেলোয়াড়। তাঁর মা, পুনম চোপড়া গুডইয়ার কার রেলি জয় করেছেন। তাঁর ভাই নিরভান চোপড়া অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে দিল্লি রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর মামা রোহিত সাহনি একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। স্কুল ছাত্র হিসাবে তিনি মেয়ো কলেজের ক্রিকেট দলে উইকেটরক্ষক এবং উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলেছেন। পরে তিনি হিন্দু কলেজ এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় উভয়েরই ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। আনজুম একজন পোষ্য প্রেমিকা, যখন তিনি বাড়িতে থাকেন তখন তিনি তাঁর কুকুরের সাথে সময় কাটাতে ভালবাসেন।

কৃতিত্ব

[সম্পাদনা]

অঞ্জুম চোপড়া "উইমেন'স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড - এ জার্নি ফ্রম ১৭৪৫-২০১৩ শীর্ষক কফি টেবিল বইয়ের সহ-রচনা করেছিলেন। বইটি বিশ্বের ইতিহাস তথা বর্তমান সময়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে খেলাধুলার তথ্য তুলে ধরেছে।

তিনি একটি ডকুড্রামায়, " পুওর কাসিন্স অফ মিলিয়ন ডলার বেবিস " তেও অভিনয় করেছিলেন। ২০১১ সালে ওহাইও, আর্নল্ড স্পোর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি খুব প্রশংসা পায়। ছবিটি পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটের বৈষম্য নিয়ে কথা বলেছে, মেয়েরা ক্রিকেট খেলতে পেরে খুবই আনন্দিত এবং তাঁদের নিজেদের প্রতি পারস্পরিক আস্থা আছে।[][]

মহিলা ক্রিকেটে প্রচারের জন্য, তিনি কলার্স চ্যানেলে প্রচারিত, ফিয়ার ফ্যাক্টর খতরোঁ কি খিলাড়ি সিজন ৪, একটি রিয়েলিটি শোতেও অংশ নেন। তিনি মহিলা ক্রিকেটে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শীর্ষস্থানীয় মডেলদের সাথে র‌্যাম্পে হাঁটেন।

তিনি দূরদর্শন এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবং ক্রীড়া চ্যানেলগুলির সাথে একজন ভাষ্যকার এবং বিষয় বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন।[] একজন মহিলা ক্রিকেটের এবং ক্রীড়াবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি খেলার বিশ্লেষণ করেন। তিনি অন্যান্য খেলাধুলাও সাথে নিজেকে যুক্ত করেন, সনি সিক্সে ২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড কাবাডি লিগের ভাষ্যকার হিসাবে কাজ করেছিলেন।

তিনি মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সম্মানিত আজীবন সদস্যপদ প্রাপ্ত ভারতের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "IPL8: Four female commentators who are former cricketers-IndiaTV News" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  2. "Live Cricket Scores & News International Cricket Council" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  3. "Player Profile: Anjum Chopra"Cricinfo। ১৬ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১০ 
  4. "Player Profile: Anjum Chopra"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১০ 
  5. "People would say, 'Oh, ladki ne kaise out kar diya': Anjum Chopra"www.hindustantimes.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  6. ইউটিউবে Poor Cousins of Million Dollar Babies preview
  7. Garg, Swati (২২ আগস্ট ২০১৪)। "Indian women's cricket team: Poor cousins of the million dollar babies"Sportskeeda। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  8. "Anjum Chopra and other former women cricketers part of IPL commentary team"। ২০১৫-০৪-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  9. Lokapally, Vijay (২০১৬-০৯-০৭)। "Anjum, India's first woman to get MCC membership"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-২৫ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]