হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী
হাবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী একটি বাংলা ফ্যান্টাসি হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র, যা অনিকেত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এবং দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্সের ব্যানারে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি।[১] এটি ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর পূজার ছুটির সময় জলসা মুভিজে সরাসরি টেলিভিশনে প্রদর্শন হয়।
হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী | |
---|---|
পরিচালক | অনিকেত চট্টোপাধ্যায় |
প্রযোজক | দেব |
কাহিনিকার | দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার |
উৎস | লেখক কর্তৃক মূল কাজের শিরোনাম |
শ্রেষ্ঠাংশে | শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় খরাজ মুখোপাধ্যায় অর্পিতা পাল |
সুরকার | স্কোর: স্যাভি গুপ্ত গান: কবীর সুমন |
চিত্রগ্রাহক | সুপ্রিয় দত্ত হরেন্দ্র সিং |
সম্পাদক | মোহাম্মাদ কালাম |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২১ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
সারসংক্ষেপ
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটির গল্প বোম্বাগড়ের রাজা হাবু চন্দ্রকে কেন্দ্র করে। হাবু চন্দ্র ছিলেন দয়ালু ও উদার প্রকৃতির শাসক। তার রাজ্যে প্রজারা সুখে-শান্তিতে দিন কাটাত। সবার জন্য পর্যাপ্ত খাবার-দাবারের ব্যবস্থা ছিল। রাজা একজন জ্ঞানী বৃদ্ধ প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, যিনি সব সময়ই সঠিক পরামর্শ দিতেন। প্রজারা রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিল।
এরপর রাজা চন্দ্রগড়ের রাজকুমারী কুসুমকুমারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর রাজ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। ম্যাজিক, গান এবং নাচের অনুষ্ঠানে সবাই মেতে ওঠে। ঠিক সেই সময়, একদিন রাজা দেখতে পান একজন অপরিচিত ব্যক্তি রাজ্যের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পোশাক এবং চেহারা অন্যদের থেকে আলাদা। রাজা তাকে ডেকে পাঠান। লোকটি নিজেকে গুজ্জর রাজ্যের গবু চন্দ্র বলে পরিচয় দেয়। গবু নিজেকে অত্যন্ত দক্ষ এবং ধনী প্রমাণ করে রাজার বিশ্বাস অর্জন করে এবং রাজাকে বুঝিয়ে পুরনো মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে নিজেকে নতুন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করায়। এরপর থেকেই সবকিছু বদলে যেতে থাকে। গবু রাজা এবং রানিকে এমন এক যাদুকরী চশমা উপহার দেয়, যা দিয়ে তারা ভুল বাস্তবতা দেখতে পান, যেখানে তাদের মনে হয় প্রজারা খুব সুখী এবং সন্তুষ্ট।
গবুর প্রভাবে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। রাজা গবুর আজগুবি পরামর্শে অনেক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন। যেমন, মিষ্টি বিক্রেতারা ক্ষতির সম্মুখীন হলে রাজা রসগোল্লার দাম মুড়ির সমান করে দেন। এক চোর দেয়াল ধসে মারা গেলে গবু এই ঘটনায় কাউকে দোষী করার চেষ্টা করেন। একে একে গবু বিভিন্নজনকে দোষারোপ করতে করতে এক নিরীহ গরু পালকের কাছে গিয়ে ঠেকে এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেন। তবে গবু পালকের ওজন কম হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় না। এ ঘটনায় শহরের মানুষ রাজার প্রশাসনের ওপর হাসাহাসি শুরু করে। এরপর গবু অন্য একজন মোটা ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের জন্য নিয়ে আসে। মোটা ব্যক্তি এক সন্ন্যাসীর বন্ধু এবং সেই সন্ন্যাসী ছিলেন আগের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। সন্ন্যাসী ও এক শক্তিশালী যাদুকর মিলে গবুকে সরানোর পরিকল্পনা করেন।
পরের দিন, যখন মোটা ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে যাচ্ছে, তখন তিনি রাজার কাছে কাজ শেষ করার অনুরোধ করেন। ঠিক তখনই সন্ন্যাসী এসে রাজার সামনে নিজেকে শক্তিশালী মহাপুরুষ হিসেবে প্রমাণ করেন। সন্ন্যাসী রাজাকে বোঝান যে গবুকে সরানো না হলে রাজ্যের সব প্রজা রক্তাক্ত হয়ে মারা যাবে। গবু তার কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও যাদুকর মন্ত্রের মাধ্যমে প্রজাদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখিয়ে সন্ন্যাসীর কথা প্রমাণ করেন। ভয়ে গবু রাজাকে সত্যি কথা বলে এবং তাকে বরখাস্ত করার অনুরোধ করে। রাজা গবুর প্রতারণায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করেন। সন্ন্যাসী রাজা ও রানিকে বুঝিয়ে চশমার যাদু সরান এবং পুরনো মন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেন। পুরনো মন্ত্রী ফিরে আসার পর রাজ্যে শান্তি ফিরে আসে। গবুকে রাজ্য থেকে বের করে দেওয়ার সময় প্রজারা তার ওপর ডিম, টমেটো ইত্যাদি ছুঁড়ে মারে। রাজ্য পুনরায় সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন শুরু করে।
মিড-ক্রেডিট দৃশ্য: দেখানো হয়, গবু দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলে যে সে আবার ফিরে এসে প্রতিশোধ নেবে।
অভিনয়শিল্পী
সম্পাদনা- রাজা হবুচন্দ্র হিসেবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
- মন্ত্রী গবুচন্দ্র হিসেবে খরাজ মুখোপাধ্যায়
- রাজকুমারী কুসুমকলি হিসেবে অর্পিতা পাল
- বৃদ্ধ মন্ত্রী হিসেবে শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়
- গুরুদেব হিসেবে বরুণ চন্দ
মুক্তি
সম্পাদনাছবিটি ১০ অক্টোবর ২০২১-এ পূজার ছুটির সাথে মিলিয়ে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'Hobu Chandra Raja Gobu Chandra Mantri' - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৬।
- ↑ "Dev - Jeet: পুজোয় বাংলা ছবির ভিড়! জব্বর টক্কর দুই সুপারস্টার জিৎ -দেবের"। Aaj Tak বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৬।